ঐক্যফ্রন্ট জনগণের সাড়া পাচ্ছে না : তথ্যমন্ত্রী

খড়কুটো আঁকড়ে ধরা ঐক্যফ্রন্ট জনগণের সাড়া পাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ঐক্যফ্রন্ট যে সমাবেশ করতে যাচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন করতে যাচ্ছে এই জন্য তাদেরকে অভিনন্দন। কারণ আমরা চাই রাজপথে এবং সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক। কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে, তারা এসব সভা সমাবেশ করে জনগণের কোনো সাড়া পাচ্ছে না এবং কোনো ইস্যুও খুঁজে পাচ্ছে না। ছাত্র এবং অন্যান্য ইস্যু নিয়ে খড়কুটো আঁকড়ে ধরে তারা রাজনীতির মাঠে সরগরম থাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণের কোনো সাড়া না পেলেও তারা যে মাঠে নামার চেষ্টা করছে এই জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ।
গতকাল রোববার রাজধানীর কাকরাইলে নবনির্মিত তথ্যভবন মিলনায়তনে গণযোগাযোগ অধিদফতর আয়োজিত সরকারি প্রচারকার্যক্রমের উদ্বোধন ও সেবা সহজীকরণ বিষয়ে জেলা তথ্য অফিসারদের কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মো: মুরাদ হাসান ও তথ্যসচিব আবদুল মালেক উপস্থিত ছিলেন। গণযোগাযোগ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো: জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অধিদফতর ও সারা দেশের ৬৮টি তথ্য অফিসের প্রতিনিধিরা কর্মশালায় যোগ দেন।
‘সরকারের দেশ পরিচালনার নৈতিক অধিকার নেই’Ñ বিএনপির এমন মন্তব্যের প্রতি সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে পরপর তিনবার আমরা নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করার সুয়োগ পেয়েছি। বিএনপি তো ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকেই বলে আসছে দেশ পরিচালনায় সরকারের কোনো নৈতিক অধিকার নেই। বিএনপির এটি কোনো নতুন কথা নয়, এটি পুরনো বুলি। পুরনো ঢোলই তারা বাজাচ্ছে, এই ঢোল আমরা গত ১১ বছর ধরে শুনে আসছি।
সাংবাদিকেরা এ সময় এমপি রাশেদ খান মেননের ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, কয়েকটি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আমিও বিষয়টি দেখেছি, তবে বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা ক্যাসিনো পরিচালনা করত তাদেরকেই ধরা হয়েছে। সবাই দুর্নীতিবাজ। ক্যাসিনো অবৈধ। বড় বড় রাঘববোয়ালকেই ধরা হয়েছে। এখন আরো অনেকের নাম আসছে। যারা অভিযোগগুলো করছেন, বড় বড় কথা বলছেন, তাদের নামও আসছে। এটি চলমান আছে। প্রধানমন্ত্রী দেশকে পরিশুদ্ধ করার জন্য, সব ধরনের অনিয়ম দূর করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ধীরে ধীরে দায়ী সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা তথ্য অফিসারদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে সরকারের সাথে জনগণের সেতুবন্ধ রচনা করা এবং দেশ ও জাতির প্রয়োজনে একটি ন্যায়ভিত্তিক, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজকে উদ্বুদ্ধ করা। সেই লক্ষ্যেই গণযোগাযোগ অধিদফতর দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। গত দশ বছরে প্রচার প্রচারণার ক্যানভাস অনেক পরিবতির্ত হয়ে গেছে। সময় এসেছে পুরনো ধাঁচের প্রচারকার্যক্রম বদলে ফেলে আধুনিক যুগোপযোগী, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি ব্যবহার করে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে সাথে নিয়ে সমন্বিত প্রচারকার্যক্রম পরিচালনা করার। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের লক্ষ্য একটি উন্নত রাষ্ট্রগঠনের পাশাপাশি একটি উন্নত জাতিগঠন করা। শুধুমাত্র বস্তুগত উন্নয়ন দিয়ে উন্নত জাতি গঠন করা সম্ভব নয়। উন্নত জাতি গঠন করার জন্য সমাজকে উন্নত করতে হবে। প্রচার প্রচারণার অংশ হিসেবে জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে মূল্যবোধ, মানবিকতা ও দেশপ্রেমের বার্তা।