২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শেখ হাসিনার ট্রেনে হামলা দণ্ডপ্রাপ্তদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ

-

১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলা করে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আটজনসহ অন্যান্য দণ্ডপ্রাপ্তদের খালাস চেয়ে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি মো: রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, এ এইচ এম কামরুজ্জামান মামুন ও সালমা সুলতানা সোমা।
আপিলকারী ৪৩ জনের মধ্যে আটজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, ২২ জন যাবজ্জীবন এবং ১৩ জন ১০ বছর করে দণ্ডপ্রাপ্ত।
গত ২১ জুলাই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ সব আসামির খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
এ বিষয়ে তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে খুশি করার উদ্দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শুধু অন্যায়ই করা হয়নি, অবিচার করা হয়েছে।
গত ৩ জুলাই পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোস্তম আলী ওই মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। এ ছাড়া রায়ে ২৫ জনের যাবজ্জীবন, ১৩ জনের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের তিন লাখ টাকা এবং ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্তদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
আসামিদের মধ্যে কারাগারে থাকা ৩২ জন আদালতে হাজির ছিলেন। গত ১৪ জুলাই যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আরো সাতজন আত্মসমর্পণ করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেনÑ এ কে এম আক্তারুজ্জামান, মো: জাকারিয়া পিন্টু, মোখলেছুর রহমান বাবলু, রেজাউল করিম শাহীন, শহীদুল ইসলাম অটল, আজিজুর রহমান ফড়িং, শ্যামল, মাহাবুবুর রহমান পলাশ ও শামসুল আলম। এর মধ্যে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর খুলনা থেকে ট্রেনে ঈশ্বরদী হয়ে সৈয়দপুরের দলীয় কর্মসূচিতে যাচ্ছিলেন তৎকালীণ বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনা। তাকে বহনকারী ট্রেনটি ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে প্রবেশের মুহূর্তে ওই ট্রেন ও শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। স্টেশনে যাত্রাবিরতি করলে আবারো ট্রেনটিতে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে জিআরপি থানার ওই সময়কার ওসি বাদি হয়ে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর পুলিশ মামলাটি পুনঃতদন্ত করে। তদন্ত শেষে নতুনভাবে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে এ মামলার আসামি করা হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement