২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লজ্জায় ডুবল ওয়ার্নারের সিলেট!

-

নিজ মাঠে লজ্জায় ডুবল সিলেট। এতটা বেহাল দশা ব্যাটিংয়ের, যা ছিল কল্পনাতীত। বিশেষ করে অসি দুর্দান্ত ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার, ক্যারিবিয়ান আন্দ্রে ফ্লেচারের মতো ব্যাটসম্যান-সমৃদ্ধ দলটির। নিজ মাঠে, নিজ দলের খেলা দেখতে আসাদেরও বিমুখ করেছে দলটি, ৬৮ রানে অল আউট হয়ে। দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল ওয়ার্নারের ব্যাটিংটা দেখবেন। রান উৎসবে মেতে উঠবেন তারা; কিন্তু বিমুখ তারা। ১৫ ওভারও খেলতে পারেনি দলটি। ১৪.৫ ওভারে অল আউট তারা। একমাত্র অলক কাপালী ছাড়া আর কারোর ব্যাটেই নেই রান। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলারদের যতটা না কৃতিত্ব তার চেয়েও বেশি ব্যর্থ সিলেটের ব্যাটসম্যানরা। টি-২০ ক্রিকেট ম্যাচ চার ছক্কার; কিন্তু সেখানে গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকেরা দেখল আউট হওয়ার মহড়া। শেষ পর্যন্ত হেরে যায় দলটি তামিম ইকবালের কুমিল্লার কাছে আট উইকেটে।
সিলেটের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একমাত্র অলক কাপালী নিজের মতো করে খেলেছেন। ৩১ বলে করেছেন তিনি ৩৩ রান, যার মধ্যে ছিল এক ছক্কা ও চার চারের মার। এ ছাড়া ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারসহ চার ব্যাটসম্যান আউট হন শূন্য রানে। দুই ভিন দেশী ওপেনার দ্রুত আউট হওয়াতেই বিপাকে পরে যায় দলটি। ওয়ার্নার আউটের পর তার পথ ধরেন আন্দ্রে ফ্লেচার। একটি চার হাঁকিয়েই আউট তিনি। আফিফ হোসেন ও পোড়ানও আউট হন শূন্য রানে। সাব্বির, সোহেল তানভিরও ছিলেন। সুবিধা করতে পারেননি তারাও। বল হাতে মেহেদী হাসান নেন চার উইকেট। মূলত তার দুর্দান্ত বোলিংয়েই সিলেট ওই দুর্দশায় পতিত হয়। এ ছাড়া ওয়াহাব রিয়াজ নিয়েছেন তিন উইকেট। অন্য বোলারদের মধ্যে ডসন নেন দুই উইকেট। মেহেদী নিয়েছেন ২২ রানে উইকেটগুলো। রিয়াজ ১৫ রানে। এ ছাড়া ডসন ৪ রানের বিনিময়ে নেন তার দুই উইকেট।
এরপর সহজ জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমেও সুচনা ভালো হয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। শূন্য রানে এনামুল হক বিজয় রান আউট হয়ে কিছুটা চাপে ফেলে দেন। এরপর আউট হন তামিম ইকবালও। সোহেল তানভিরের বলে লেগ বিফোর। দলের রান সবে ১০। এরপর অভিজ্ঞ শামসুর রহমান ও ইমরুল কায়েস দায়িত্ব নিয়ে খেলছিলেন। যেহেতু টার্গেট কম। তাই সব দিক বিবেচনা করে সহজ টার্গেটে দলকে সাবধানের সাথে এগিয়ে নিয়ে যান তারা এবং অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে মাঠ ছাড়েন ওই দুই ব্যাটসম্যান। ১১.১ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছেন তারা। শামসুর রহমান অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে। আর ইমরুল কায়েস ৩০ রানে। শামসুর খেলেছেন ৩৭ও ইমরুল খেলেছেন ২২ বল। ৫৩ বল হাতে রেখে দলটি জিতে নেয় ম্যাচ আট উইকেটে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল