২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফে’থাই শেষ আজো ঝরবে বৃষ্টি

-

শীতকালীন ঘূর্ণিঝড় ফে’থাই স্থলভাগে উঠে গেছে। গতকাল বিকেলে ভারতের অন্ধ্র উপকূলের কাকিনাদার কাছ দিয়ে স্থলভাগে উঠে যায়। বাংলাদেশের চার সমুদ্র বন্দরের জন্য আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
প্রতি বছরই ডিসেম্বরে একটি বা দু’টি নি¤œচাপ সৃষ্টি হয়ে থাকে বঙ্গোপসাগরে। এসব নি¤œচাপ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাগরেই দুর্বল হয়ে যায় এবং স্থলভাগে বৃষ্টি হয়ে থাকে। এ বছর ছিল ব্যতিক্রম। এক সপ্তাহ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করার পর শেষ পর্যন্ত নি¤œচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়।
সাগরে থাকাকালে ঘূর্ণিঝড়টি যে শক্তি নিয়ে ঘুরছিল উপকূলে ওঠার পর অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। উপকূলে ওঠার সময় ফে’থাই ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল সামনের দিকে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার ফে’থাই আরো অনেকটা দুর্বল হয়ে যাবে এবং পরে বৃষ্টি ঝরিয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরানো ছাড়া আর কোনো প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলতে পারেনি। এর কেন্দ্র বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর থেকে কমপক্ষে এক হাজার ১০৫ থেকে এক হাজার ২৯০ কিলোমিটার দূরে ছিল। বৃষ্টি হয়তো চলবে আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শীতকালীন এ ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে যে বৃষ্টি হয়েছে এর অব্যবহিত পরই শুরু হয়ে যাবে কনকনে ঠাণ্ডা। একই সাথে শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়তে পারে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো।
দেশের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে সামান্য ঠাণ্ডা লাগলেও সার্বিকভাবে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা গত রোববারের চেয়ে গতকাল সোমবার একটু বেশিই ছিল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কিছুটা বেশি ছিল গতকাল। ঢাকায় রাস্তায় পানি না জমলেও সেগুলো ছিল কাদায় ভর্তি। সারা বছর রাজধানীতে নির্মাণকাজ চলায় ধুলাবালু জমে থাকায় বৃষ্টি হলেই তা থেকে কাদা জমে যায়। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সারা দেশেই বৃষ্টি হলেও গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয় রাজধানী ঢাকায় ৭ মিলিমিটার। আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

 


আরো সংবাদ



premium cement