২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মেজর গণির আদর্শ ও কর্ম স্মরণীয় হয়ে থাকবে প্রধান বিচারপতি

-

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘মেজর গণির আদর্শ ও কর্ম প্রতিটি বাঙালির জীবনে প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
গতকাল শনিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আজ ১১ নভেম্বর মেজর গণির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মেজর গণি পরিষদের সভাপতি আইনজীবী মো: হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ফারুক খান এবং দিদারুল আলম দিদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মেজর জেনারেল (অব:) ইমামুজ্জামান বীর বিক্রম, এফবিসিআইআইয়ের পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নতুন প্রজন্মকে মেজর গণির কীর্তিময় জীবন ও আদর্শ চর্চা করার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তিনি বাঙালি জাতির কৃতি সন্তান হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করি। নতুন প্রজন্মকে আমি তার কীর্তিময় জীবন ও আদর্শ চর্চা করার জন্য অনুরোধ করব।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের অগ্রসেনানী দল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা, ভাষা আন্দোলনের অগ্র সৈনিক, প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য, জাতীয় বীর বঙ্গশার্দুল মেজর আবদুল গণি প্রকৃত দেশপ্রেমিক ছিলেন।
তিনি বলেন, মেজর আবদুল গণি ছিলেন একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। তিনি বাঙালি জাতির ভয়হীন সৈনিক, তার হাতে গড়ে উঠেছে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধে বার্মার রণাঙ্গনে মেজর গণির বীরত্বের কারণে বাঙালিদের নিয়ে আলাদা রেজিমেন্ট গঠনের সূত্রপাত হয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, শৈশবেই আবদুল গণির মানসকাঠামো শক্ত ভিতের ওপর গড়ে উঠেছিল। তার জীবনের উষা ও গোধূলিলগ্ন এক মহানুভব জীবনধারার স্বতঃস্ফূর্ত স্মারক চিহ্ন। তারুণ্যের শুরুতেই তিনি তরুণ সম্প্রদায়কে সুপথে পরিচালনায় ‘সবুজ কোর্তা’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। তিনি একজন শিক্ষানুরাগী ছিলেন। শিক্ষা বিস্তার, সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি এবং শোষণমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে মেজর গণি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন।
অনুষ্ঠানে মেজর গণির রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন নাগাইশ দরবার শরিফের পীর মাওলানা মোশতাক ফয়েজী।
আজ ১১ নভেম্বর মেজর গণির ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী। মেজর আব্দুর গণির জন্ম ১৯১৫ সালের ১লা ডিসেম্বর কুমিল্লার ব্রাক্ষণপাড়া উপজেলার নাগাইশ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে।
মেজর গণি ১৯৫৩ সালে সামরিক চাকরি থেকে বেরিয়ে যোগ দেন রাজনীতিতে। ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক আইন সভার নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিজ জেলা কুমিল্লার বুড়িচং এলাকা থেকে তিনি বিপুল ভোটে আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৭ সালে জার্মানি সফরকালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৪২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা

সকল