২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সরকার ঐক্যফ্রন্টকে ভয় পায় : মওদুদ

-

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে সরকারে আঁতে ঘা লেগেছে মন্তব্য করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, এই সরকার পরাজয়ের ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না। আমাদেরকে একটা জনসভার অনুমতিও দিচ্ছে না। গতকাল দুপুরে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে আঁতে ঘা লেগেছে সরকারের। যে এটা কী করে সম্ভবপর হলো। এই ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর থেকে সরকারকে বিচলিত দেখতে পাচ্ছি। বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে তারা এটাই প্রমাণ করেছে এই ফ্রন্টকে ও দেশের মানুষকে তারা ভয় পায়। এই ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে কোনো লাভ হবে না।
জাতীয় প্রেস কাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে নিরপে সরকারের অধীনে নির্বাচনই সঙ্কট উত্তরণের একমাত্র পথ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মুসলিম লীগের মহাসচিব জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাইদুর রহমান।
ােভ প্রকাশ করে মওদুদ আহমদ বলেন, আমাদেরকে ২৩ অক্টোবর সিলেটে জনসভার জন্য অনুমতি দেয়া হয়নি। আমরা বলেছি হলের মধ্যে করতে দেন। সেটা এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি। এতেই প্রমাণিত হয় সরকারের জনপ্রিয়তা কত নিচে নেমে গেছে। তাদের যে জনপ্রিয়তা নেই, তাদের পেছনে যে মানুষ নেই এটাই তারা বার বার প্রমাণ করছে এসব কাজ করে। তাদের যদি আত্মবিশ্বাস থাকত, যদি মনে করতেন জনগণ তাদের সাথে আছেন তাহলে মানা করতে পারতেন না। আপনারা রোড মার্চ করতে পারলে আমরা কেন পারব না? আপনারা সভা করতে অনুমতি লাগে না, আমাদের কেন অনুমতি লাগবে? আমরা কি বাংলাদেশের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক? আজকে সে জন্য এই বাঁধ ভাঙতে হবে। সময় কম অল্প সময়ের মধ্যেই সরকারের এই বাঁধ ভাঙতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে আগামীতে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, বর্তমান মন্ত্রিসভার একজন মন্ত্রীও নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না। দেখবেন তাই হবে। তার ভয়েই তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না। আর মাত্র তিন মাসও নেই। কিন্তু সরকারের আচরণ দেখে বুঝা যায়, তারা কতটুকু ভীত। নির্বাচনের কোনো পরিবেশ তারা রাখছে না। এককভাবে তারা নির্বাচন করার ল্য নিয়েই কাজ করছে। দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পাঁচ হাজারের অধিক গায়েবি মামলা দায়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাড়ে তিন লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে ওই সব গায়েবি ও ভুতুড়ে মামলায়। এটা কি নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক করার জন্য না নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করার জন্য করা হয়েছে? দেশের মানুষ বুঝে সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে বাধ্য করতে হবে সংলাপে আসতে, সমঝোতায় আসতে। দেশের মানুষ যাতে নিজের ভোট নিজে দিতে পারে, ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে তার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করতেই সরকার নির্বাচনের আগে দু’টি নিবর্তনমূলক আইন করেছে অভিযোগ করে মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার নির্বাচনের আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সম্প্রচার আইনÑ এ দু’টি আইন করেছে। কেন এত বছর করেন নাই? উদ্দেশ্য গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আমাদেরকে আতঙ্কিত করেছে। এই আইনের ধারাগুলো ভয়ঙ্কর, এই আইনে সীমাহীন মতা দেয়া হয়েছে পুলিশকে। এখন সম্প্রচার নীতি করেছে সেটা আরো মারাত্মক কালো আইন। এটা অসম্ভব ধরনের নিবর্তনমূলক আইন। আসলে কেউ যাতে সরকারের সমালোচনা করতে না পারে সে জন্যই এটা করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি

সকল