খুলনায় ওমর ফারুক নামে এক পাষণ্ড স্বামী তার স্ত্রী নূপুর বেগমকে (২২) পিছমোড় দিয়ে দু’ হাত এবং কাপড় দিয়ে মুখ ও চোখ বেঁধে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে গত সোমবার রাতে নগরীর খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী পাড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের একটি বাগানে। নিহত গৃহবধূ নূপুর বেগমের এক বছরের বয়সের একটি শিশু পুত্র রয়েছে। পুলিশ ঘাতক স্বামী ওমর ফারুককে (২৭) গ্রেফতার করেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, চার বছর আগে খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী পাড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে রাজমিস্ত্রীর হেলপার ওমর ফারুকের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার বালিয়ারডাঙ্গা গ্রামের খলিল হাওলাদারের মেয়ে নূপুরের বিয়ে হয়। তাদের হাসান নামের এক বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওমর ফারুক তার স্ত্রী নূপুরকে বাড়ি থেকে ৫০০গজ দূরে একটি বাগানে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে সে তার স্ত্রীকে প্রলোভন দিয়ে প্রথমে তার দু’হাত গামছা দিয়ে পিট মোড়া দিয়ে বাঁধে। পরে কাপড় দিয়ে তার মুখ ও দু’ চোখ বাঁধে। একপর্যায়ে সে নূপুরকে কুড়াল দিয়ে ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যা করে বাড়ি চলে আসে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফারুক হত্যাকাণ্ডটির ঘটনা তার পিতাকে জানায়। পরিবারের লোকজন ওই বাগানে গিয়ে হাত, মুখ ও চোখ বাঁধা মৃত অবস্থায় তার পুত্রবধূকে দেখতে পেয়ে বাড়িতে এসে ঘাতক ফারুককে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে খালিশপুুর থানা পুলিশ রাতেই তাকে আটক করে। মঙ্গলবার সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপির) অতিরিক্ত কমিশনার এডিসি (উত্তর) মোঃ জামিরুল ইসলাম, এসি (ভারপ্রাপ্ত) উত্তর ভাস্কর সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক জানিয়েছে, পারিবারিক কলহের কারণে সে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহত নূপুরের পিতা খলিল হাওলাদার ফারুকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা