২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্বাধীনতা আল্লাহর দান

-

স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার, যা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য এক বিশেষ নেয়ামত। এ অধিকার যে কত বড় মাপের, তা পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধরাই কেবল অনুধাবন করতে পারেন। মহান আল্লাহ তা খর্ব করার অধিকার দেননি কাউকে। ইসলামের শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠিত এ অধিকার খর্ব করা যেমন মানবাধিকার পরিপন্থী; তেমনি মহান আল্লাহর আইনের বিরোধীও বটে। শান্তির ধর্ম ইসলাম গতানুগতিক কোনো স্বাধীনতার সেøাগান নিয়ে আসেনি, বরং বিশ্ব মানবতার সামগ্রিক জীবনে মুক্তি, সাম্য ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার বাস্তব কর্মসূচি দিয়ে মানুষকে সৎপথে চলার দিকনির্দেশনা দিতে এসেছে।
আইয়ামে জাহেলিয়া তথা অন্ধকার যুগেই ইসলাম দেখিয়েছে স্বাধীনতার আলোকরশ্মি। যেখানে ছিল প্রচুর রাজনৈতিক শক্তি। সর্বসাধারণকে রোম-পারস্যের মতো পরাশক্তিগুলোর কঠিন নিপীড়ন ও অত্যাচারী আইন-কানুনের অধীনে জীবন কাটাতে হতো। এক ধরনের গৃহবন্দী অবস্থায় জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছিল চরমে। বিশেষভাবে ধর্মীয় অঙ্গনে এই মাত্রা ছিল ধ্বংসাত্মক। অথচ ধর্মীয় স্বাধীনতা ছিল একটি মৌলিক স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতা রক্ষায় ইসলাম বদ্ধপরিকর। তাই অন্য ধর্মাবলম্বীদের ঈমান বা বিশ্বাস গ্রহণ করানোর ক্ষেত্রে কোনোরূপ জবরদস্তি ইসলামে বৈধ নয়। কুরআনে বলা হয়েছেÑ ‘তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করলে পৃথিবীতে যারা আছে তারা সবাই ঈমান আনত। তবে কি তুমি মুমিন হওয়ার জন্য মানুষের ওপর জবরদস্তি করবে?’ (সূরা ইউনুস : ৯৯) অন্যত্র বলা হয়েছেÑ ‘দ্বীনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই।’ (সূরা বাকারা : ২৫৬) ইসলামে অন্য ধর্মের উপাস্যকে গালি দিতে নিষেধ করে বলা হয়েছেÑ ‘আল্লাহকে ছেড়ে যাদের তারা ডাকে, তাদের তোমরা গালি দিও না।’ (সূরা আনয়াম : ১০৮)।
ইসলাম অমুসলিমদের শুধু তাদের ধর্ম পালনে স্বাধীনতা দেয়নি, বরং ইসলামী আইন অমুসলিমদের তাদের কার্যক্রম এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারেও সাহায্য করে থাকে।
প্রখ্যাত উপন্যাসিক মর্গান রবার্টসন লিখেছেন, ‘অন্য ধর্মের অনুসারীদের প্রতি সহনশীলতার ঈর্ষান্বিত দাবিদার এবং দাবি করার উপযুক্ত একমাত্র মুসলিমরাই, তাদের ধর্ম পালনের মাধ্যমে এমনকি যখন তারা তাদের ধর্মকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য খোলা তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হয় তখন বিজিত স্থানের লোকদের তাদের ধর্মমত পরিত্যাগ করার জন্য বাধ্য না করে তাদের ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেয়।’
মানুষের বহুরূপ দাসত্ব-শৃঙ্খলের বিরুদ্ধে ইসলাম স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে। বিশ্বাসের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা এবং সমালোচনা সব ক্ষেত্রেই ইসলাম এই স্বাধীনতা দিয়েছে। ইসলাম মানুষকে চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গির স্বাধীনতা দিয়ে মানব অস্তিত্বে স্বাধীনতার বীজ বপন করে দিয়েছে। ইসলাম মানুষকে সঠিক পথ প্রাপ্তির জন্য কুরআন নিয়ে গভীর পর্যবেক্ষণ ও চিন্তাভাবনা করার আহ্বান জানিয়েছে। বলা হচ্ছেÑ ‘তবে কি তারা কুরআন সম্পর্কে চিন্তা গবেষণা করে না? এটা যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছ হতে আসত তবে তারা তাতে অনেক অসঙ্গতি পেত।’ (সূরা নিসা : ৮২)
বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রসরতা ও মুক্তচিন্তাকে ইসলাম সাধুবাদ জানায়। আল্লাহ চিন্তাশীল মানুষদের ভালোবাসেন। যারা চিন্তা করে না, তাদের ভর্ৎসনা করে আল্লাহ বলেনÑ ‘আমি জাহান্নামের জন্য বহু জীন ও মানবকে সৃষ্টি করেছি। তাদের হৃদয় আছে, কিন্তু তদ্দারা তারা উপলব্ধি করে না, তাদের চোখ আছে কিন্তু তাদ্বারা তারা দেখে না।’ (সূরা আরাফ : ১৭৯)
মূলত ইসলাম যুক্তি, বুদ্ধি-বিবেচনার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছে, দিয়েছে যথাযথ মর্যাদা। আল্লাহ বলেনÑ ‘আমি বোধসম্পন্ন লোকদের কাছে নিদর্শনাবলি বিবৃত করি।’ (সূরা রূম : ২৮)
এই আয়াতে প্রতীয়মান হয়, বোধসম্পন্ন লোক তারাই যারা বিবেক বা চিন্তাশক্তির মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করতে পারে। তাই কুরআনে চিন্তা ও গবেষণার ক্ষেত্রে বিবেক কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেনÑ ‘হে নবী! বলুন, আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে তার প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করো।’ (সূরা ইউনুছ : ১০১)
মত প্রকাশের অধিকার মানুষের জন্মগত। ইসলাম প্রতিটি নাগরিককে জাতীয়, আঞ্চলিক এমনকি ব্যক্তিগত বিষয়েও সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ মত প্রকাশের অধিকার দিয়েছে। এ অধিকার উপেক্ষা করে যুগে যুগে কিছু পাপাচারী স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে আইনি বাধ্যবাধকতা আরোপ করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করে পরোক্ষভাবে নাগরিক জীবনকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে দেশে দেশে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
ইসলাম শুধু পুরুষদের তার মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়নি, নারীদেরও তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। মদিনা প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে মহানবী সা: নারীর মতামত দেয়াকে আইনগত ভিত্তি দান করেন। তিনি পুরুষদের মতো নারীদের থেকেও বিভিন্ন বিষয়ে অঙ্গীকার গ্রহণ করতেন। তাঁর এ সুন্নতের ওপর আমল করে খুলাফায়ে রাশেদিন তাঁদের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে নারীদের মতামতের গুরুত্ব নিশ্চিত করেন।
একদিন মসজিদে খুতবা দানকালে হজরত উমর রা: বেশি পরিমাণ দেনমোহর দেয়াকে নিরুৎসাহিত করেন। এ ভাষণ শুনে এক মহিলা প্রতিবাদ করে বললেন, ‘আল্লাহ তো আমাদের দিয়েছেন আর আপনি কেড়ে নিচ্ছেন? আপনি কি জানেন না, আল্লাহ বলেছেনÑ ‘তোমরা যদি এক স্ত্রীর স্থলে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করা স্থির করো এবং তাদের একজনকে অগাধ অর্থও দিয়ে থাকো, তবুও তা থেকে কিছুই প্রতিগ্রহণ করো না।’ (সূরা নিসা : ২০) মহিলার এ কথা শুনে উমর রা: সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বললেন, একজন নারী সত্য বলেছে, উমর ভুল করেছে।’ এটাই ইসলাম।
ইসলামে স্বাধীনতার মর্ম : ইসলাম রক্তপাত, হানাহানি, মারামারি, হত্যা অথবা ইসলাম গ্রহণে জবরদস্তির অনুমোদন দেয় না, কিন্তু অন্যায়, হত্যা, স্বাধীনতা হরণ প্রতিরোধে যুদ্ধ করতেও নির্দেশ দেয়। নিজ দেশকে পরাধীনতামুক্ত রাখতে সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগে নির্র্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা, কোনো জুলুমকেই প্রশ্রয় দেয় না ইসলাম। জালিমদের খপ্পর থেকে মুক্ত ও স্বাধীন করতে লড়াই করার তাগিদ দিয়ে কুরআনে ইরশাদ হয়েছেÑ ‘তোমাদের কী হলো যে, তোমরা যুদ্ধ করবে না আল্লাহর পথে এবং অসহায় নর-নারী এবং শিশুদের জন্য যারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! এই জনপদ-যার অধিপতি জালিম, তার থেকে আমাদের অন্যত্র নিয়ে যাও, তোমার কাছ থেকে কাউকে আমাদের অভিভাবক করো এবং তোমার কাছ থেকে কাউকেও আমাদের সহায় করো।’ (সূরা নিসা : ৭৫)
জুলুম ও শোষণমুক্ত, আল্লাহদ্রোহী মানসিকতামুক্ত স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রকে কল্যাণরাষ্ট্রে অক্ষুণœ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা অধিক কঠিন। তাই তো আল্লাহ আদেশ করেছেনÑ ‘তোমরা সর্বদাই তোমাদের শত্রুদের প্রতিহত করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে সাবধান থাকবে। এই প্রস্তুতি দ্বারা তোমরা তোমাদের এবং আল্লাহর দুশমনদের ভীতসন্ত্রস্ত করে রাখবে।’ (সূরা আনফাল : ৬০)
স্বাধীনতার সীমারেখা : ইসলাম স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হলেও সে স্বাধীনতা বল্গাহীন স্বাধীনতা নয়। সে স্বাধীনতা কিছু বিধিনিষেধ দ্বারা সুনিয়ন্ত্রিত। ইসলামে স্বাধীনতা হচ্ছে নিজেকে আল্লাহর কাছে অত্মসর্ম্পণ করে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করা। আল্লাহ বলছেনÑ ‘বলো, আমার সালাত, আমার ইবাদত, আমার জীবন ও আমার মরণ জগতের প্রতিপালক আল্লাহরই উদ্দেশ্যে।’ (সূরা আনয়াম : ১৬২) ইসলাম মানুষকে রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছে, কিন্তু স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বৈরতান্ত্রিকতাকে মোটেও প্রশ্রয় দেয়নি। দলের ঊর্ধ্বে উঠে ছোট-বড়, ধনী-নির্ধন, দুর্বল-সবল সবার প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। আল্লাহ বলেনÑ ‘আমি তো তোমার প্রতি সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যাতে তুমি আল্লাহ তোমাকে যা জানিয়েছেন সে অনুসারে মানুষের মধ্যে বিচার মীমাংসা করো।’ (সূরা নিসা : ১০৫) ইসলাম মানুষকে বৈধভাবে জৈবিক চাহিদা পূরণ করার অনুমতি দিয়েছে, কিন্তু যেনা-ব্যভিচারকে নিষেধ করেছে। বলা হয়েছেÑ ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না, নিশ্চয় এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ।’ (সূরা বনি ইসরাঈল : ৩২) ইসলাম পোশাক পরিধানের স্বাধীনতা দিয়েছে, অশালীন পোশাক পরিধানে বারণ করেছে। হজরত উমর রা: বলেন, ‘নারীদের এমন আঁটসাঁট পোশাক পরতে দিও না, যাতে শরীরের গঠন পরিষ্ফুটিত হয়ে উঠে।’ ইসলাম মানুষকে পানাহারের স্বাধীনতা দিয়েছে, কিন্তু অপচয় করতে নিষেধ করেছে। ইরশাদ হয়েছেÑ ‘তোমরা আহার করবে ও পানাহার করবে, কিন্তু অপচয় করবে না।’ (সূরা আরাফ : ৩১) ইসলাম মানুষকে অর্থ উপার্জনের স্বাধীনতা দিয়েছে, কিন্তু অবৈধ পথ পরিহারের নির্দেশ দিয়েছে। বলা হয়েছেÑ ‘সালাত সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে।’ (সূরা জুমুয়া : ১০) ইসলাম বৈধভাবে অর্থ ভোগের স্বাধীনতা দিলেও অর্থনৈতিক বৈষম্যরোধে ধনীদের সম্পদে একচ্ছত্র ভোগাধিকার দেয়নি। বলা হয়েছেÑ ‘তাদের ধন-সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের হক।’ (সূরা জারিয়াত : ১৯) অর্থ উপার্জনে ইসলাম ব্যবসাকে বৈধ করলেও সুদকে চিরতরে হারাম ঘোষণা করেছে। অর্থ উপার্জনের তাগিদ দিয়ে অন্যায় পথ অবলম্বন নিষিদ্ধ করেছে। আল্লাহ বলেছেনÑ ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন।’ (সূরা বাকারা : ২৭৫)
ইসলাম শোষণমুক্তির কথা বলে। মানুষের দায়বদ্ধতা থেকে মুক্ত হয়ে মানুষকে আল্লাহর কাছে সমর্পিত হতে শিক্ষা দেয়। কাজেই মুসলমানের প্রকৃত মুক্তি ও সফলতা হলো পরকালীন মুক্তি ও সাফল্য। কোনো কাজে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য না হওয়া পর্যন্তই মুসলমানদের স্বাধীনতা রয়েছে।
ইসলাম স্বাধীনতা ও দেশপ্রেমের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে। বস্তুত দেশপ্রেম ও জাতিপ্রেমের কোনো বিকল্প নেই। দেশের প্রচলিত (ইসলামবিরোধী নয় এমন) দেশীয় পণ্যকে প্রাধান্য দেয়া, জাতীয় সম্পদের সুরক্ষা, অপচয় রোধ, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ইত্যাদি বিষয় হলো দেশপ্রেমের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এসব বিষয়ের প্রতি প্রতিটি নাগরিককে যেমন সজাগ থাকতে হবে, তেমনি শাসকদেরও এর প্রতি যতœশীল হতে হবে।
শেষ কথা : ইসলাম শান্তির কথা বলে। মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর কাছে সমর্পিত হতে শিক্ষা দেয়। কাজেই মুসলমানদের প্রকৃত মুক্তি ও সফলতা হলো ইহজগতে স্বাধীন হয়ে বেঁচে থাকা এবং পরকালীন মুক্তি ও সাফল্য। প্রতি বছর মহান স্বাধীনতা দিবস জাতির জীবনে প্রেরণায় উজ্জীবিত হওয়ার নতুন বারতা নিয়ে আসে। স্বাধীনতা দিবস তাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে মুক্তির প্রতিজ্ঞায় উদ্দীপ্ত হওয়ার ইতিহাস। যাদের রক্তদান এবং ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীন, তাদের জন্য আমাদের উচিত হবে মহান আল্লাহর দরবারে মন উজাড় করে দোয়া করা। মহান আল্লাহর অপূর্ব দান স্বাধীনতা মূলত তখনই অর্থবহ হবে, যখন প্রতিটি ক্ষেত্র থেকেই দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, আত্মীয়করণ, লুটপাট, ক্ষমতার অপব্যবহার, আইনের অপপ্রয়োগ, জবরদখল, সুদ-ঘুষ, ঋণখেলাপি, যিনা-ব্যভিচার, হত্যা, গুম ইত্যাদি অপশাসন দূর হবে।
প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছেÑ শহীদদের স্বপ্ন ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা, শোষণমুক্ত একটি বাংলাদেশ গঠনে সর্বাত্মক চেষ্টা করা। এবারের স্বাধীনতা দিবসে এটাই হোক আমাদের প্রত্যাশা।
লেখক : গবেষক


আরো সংবাদ



premium cement
দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু দোয়ারাবাজারে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা : স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

সকল