২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্বাস্থ্য রক্ষায় পানি

-

পানির অপর নাম জীবন। বেঁচে থাকতে হলে পানি খেতেই হবে। তবে দূষিত পানি অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করে থাকে। যেমনÑ টাইফয়েড, প্যারাটাইফয়েড, জন্ডিস, পাতলা পায়খানা এ রকম অসংখ্য রোগ। তাই পানি পান করার আগে অবশ্যই তা ফুটিয়ে ফিল্টেশন করে অথবা ক্লোরিন ট্যাবলেট দিয়ে বিশুদ্ধ করে নিতে হবে। লন্ডন, জাপান ও আমেরিকার বিভিন্ন স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট মানবদেহের রোগ নিরাময়ে পানির ওপর পরীক্ষা চালান। এখানে পানিকে পথ্য বা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে চিকিৎসকেরা প্রায় ৯৫ ভাগ সফল হয়েছেন এবং চিকিৎসকেরা দাবি করছেন, তাদের নিয়ামানুযায়ী পানি পানে নিম্নেœাক্ত রোগগুলোর হাত থেকে নিরাময় কিংবা ঝুঁকি থেকে বাঁচা সম্ভব। রোগগুলো হচ্ছেÑ মাথাব্যথা, রক্তচাপ, রক্তশূন্যতা, হাত-পায়ে ব্যথা, প্যারালাইসিস, বুক ধড়ফড় করা, ইপিলেপসি এবং মেদ ভুঁড়ি, কফ, ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি ও যক্ষ্মা রোগ, মেনিনজাইটিস, জন্ডিস, যকৃতের রোগ এবং কিডনির ছোট পাথুরি, প্রসাবের থলে ছোট পাথুরি এবং প্রস্রাব সম্পর্কীয় রোগ, গ্যাস্ট্রিক, হাইপার এসিডিটি, আমাশয়, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, চোখ, নাক, কানের রোগ, মহিলাদের অনিয়মিত মাসিকÑ উপরিউক্ত প্রত্যেকটি রোগে পানি নিরাময়যোগ্য ওষুধ হতে পারে। তবে পানিতে যে রোগ সম্পূর্ণ সেরে যাবে তা বলা হয়নি, রোগের পরিমাণ কমে যাবে।
চিকিৎসকেরা চিকিৎসার পদ্ধতিটি দিয়েছেন নিম্নেœাক্তভাবেÑ
১. সকালে ঘুম থেকে উঠে চার গ্লাস (১৬০ মিলি) পূর্ণবয়স্ক/প্রাপ্তবয়স্করা) পানি পান করবে এবং অবশ্যই খালি পেটে কোনো শক্ত এবং নরম খাবার পানি পান করার ৪৫ মিনিট পর্যন্ত নিষেধ।
২. ৪৫ মিনিট পর সাধারণ নাশতা খাবে।
৩. নাশতা খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর কোনো কিছু খাওয়া যাবে না এবং প্রত্যেক ডিনার ও লাঞ্চে এমন হবে। এমনকি ডিনারের পরও পানি খাওয়া যাবে না।
এ পদ্ধতি অবলম্বনে, হাইপার টেনশন বা অতিরিক্ত উচ্চ রক্তচাপ ৩০ দিনে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে এবং গ্যাসট্রিক বা হাইপার এসিডিটি ১০ দিনে, ডায়াবেটিস ৩০ দিনে, কোষ্ঠবদ্ধতা ১০ দিনে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব। কোলনিক ক্যান্সার বা কর্কট রোগ ও যক্ষ্মা ছয় থেকে ৯ মাসের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসে।
মিসরের একটি স্বাস্থ্য গবেষণা ইনস্টিটিউট দাবি করেÑ প্রতিদিন আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করলে হাড় জোড়ার ব্যথা এবং দেহের পেছনের ব্যথা ৮০ ভাগ কমে যায় এবং প্রতিদিন ছয় গ্লাস পানি পান করলে ৫০ ভাগ কোলনের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমায়। ৭৯ ভাগ ব্রেস্ট (স্তন) ক্যান্সার না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং মূত্রনালী ও প্রোস্টেটের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ৫০ ভাগ।
চিকিৎসকেরা বাত রোগীদের যেভাবে পানি পানের সময়সূচি দিয়েছেন, সেভাবে তা মেনে চলা উচিত। অনেকের পক্ষেই তা খারাপ লাগতে পারে, তবুও পানি পান এভাবে চালিয়ে যেতে পারলে প্রস্রাব বেশি হওয়া ও সাদা রক্তকণিকা ভাঙা ছাড়া এবং কিডনি ডিজিজ না থাকলে পানি পানের পার্শ¦প্রতিক্রিয়া নেই বলেই চিকিৎসা বৈজ্ঞানীরা দাবি করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি ইতিহাস গড়া জয় পেল পাঞ্জাব শিরোপার আরো কাছে রিয়াল মাদ্রিদ গাজানীতির প্রতিবাদে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের পদত্যাগ

সকল