২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পুরুষ বন্ধ্যত্ব

-

বন্ধ্যত্ব সমস্যাটা নারী-পুরুষ দু’জনেরই হতে পারে, আর তা পৃথিবীর সব দেশেই আছে। আজ আমি আলোকপাত করব পুরুষ বন্ধ্যত্ব নিয়ে। তাই আমাদের জানা দরকার বন্ধ্যা পুরুষ সম্বন্ধেÑ যেকোনো প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ কম করে এক বছরের অধিককাল প্রাপ্ত বয়স্ক এবং সন্তান দানে সক্ষম এমন কোনো নারীর সাথে যথাযথভাবে এবং উপযুক্ত সময়ে কোনো প্রকার জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বা নিয়ন্ত্রণ-কৌশল ছাড়াই সহবাস করে সন্তান দানে অক্ষম হন, তবে তাকেই বন্ধ্যাপুরুষ বলা যেতে পারে। পুরুষের এ বন্ধ্যত্ব দুই ধরনের হতে পারে ১. প্রাইমারি বন্ধ্যত্ব, জন্মগত কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে ২. সেকেন্ডারি এক বা দুইটি সন্তান দানের পর কোনো রোগের কারণে অথবা ওষুধের বা অভ্যাসের কারণে বা কোনো দুর্ঘটনার পর আর সন্তান দানে সক্ষম না হলে।
বিশ্বের সর্বত্রই এ সমস্যাটা দেখা যায়। এ ধরনের নারী-পুরুষ মিলিত হলে প্রায় শতকরা ৯০টির ক্ষেত্রেই সন্তান আসে। আশার কথা হলো, চিকিৎসার পর ওই ১০ জনের মধ্যে ছয়-সাতজন সন্তান জন্মদানে সক্ষম হয়, বাকি তিন-চারজনের ক্ষেত্রে অনেকাংশে সম্ভব হয় না।
আর বন্ধ্যত্বের জন্য মহিলারাই বেশি দায়ী। তবে এর জন্য পুরুষেরাও এক-তৃতীয়াংশ দায়ী। আর এখানে আমরা আলোচনা করব পুরুষ বন্ধ্যত্ব নিয়েÑ সাধারণত উভয়ই প্রজনন অক্ষমতার জন্য দায়ী হবে এমনটা নয়, যেকোনো এক জনের সমস্যার জন্যই হয়ে থাকে।
যে কারণে বন্ধ্যত্ব হতে পারে : এজুস্পারমিয়া বা স্পার্ম না থাকা, জন্মগতভাবে অণ্ডকোষ না থাকা, বীর্যের বা শুক্রের ত্রুটি থাকলে, বীর্যবাহী নালী যদি বন্ধ থাকে বা না থাকে, পুরুষের প্রজনন অঙ্গে আঘাত পেলে, প্রজনন অঙ্গে অস্ত্রোপচার হলে, এন্ডোক্রাইন গ্রন্থির যেমনÑ থাইরয়েড গ্রন্থি ঠিকমতো কাজ না করলে, পিটুইটারির কাজ কম হলে শুক্রকিটের ক্রোমোজম ঠিকমতো না থাকলে, টেসটিস হতে সুস্থ শুক্রকীট যদি নির্গত না হতে পারে, তাহলে বন্ধ্যত্ব হয়ে থাকে বা পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা থাকে না। সিস্টেমেটিক বা সহযোগী যেসব কারণ এসে সহযোগিতা করে থাকে এবং কারো ক্ষেত্রে প্রথম সন্তান হওয়ার পর ও দ্বিতীয় সন্তান আর আসে না বা সেকেন্ডারি বন্ধ্যত্বের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়Ñ ডায়াবেটিস মেলিটাস যদি থাকে তবে অক্ষমতা আসতে পারে, দীর্ঘ সময় কঠিন কোনো রোগে ভুগলে, কালা জ্বরে অথবা ম্যালেরিয়ার, টাইফয়েড বা বসন্তে ভুগলে, গনোরিয়া থাকলে, সিফলিস থাকলে, হাইড্রোসিল বা একশিরা হলে, ফাইলেরিয়া থাকলে, মাম্পস অরকাইটিস, প্রস্টেট গ্রন্থির প্রদাহ, জেনিটাল হার্পিস।
চিকিৎসা ও ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা : পুরুষের বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত দিক অতীত, বর্তমান অবস্থা, আর্থিক সঙ্গতি, কাজের ধরন, অতীত রোগের ইতিহাস, বর্তমানে যৌন সমস্যা ছাড়া কোনো রোগে ভুগলে তার ধরন এবং চিকিৎসা। স্ত্রীর সাথে ভোজাপড়া, সঙ্গম জ্ঞান, বংশে বন্ধ্যত্ব কেউ ছিল কি না, সঙ্গমে কোনো ধরনের অক্ষমতা, বর্তমানে পুরুষাঙ্গের কোনো ত্রুটি আছে কি না, ধূমপান, মধ্যপান, ক্ষতিকর ওষুধ সাথে অন্য বিষাক্ত দ্রব্য নিচ্ছে কি না, ভালোভাবে জানতে হবে। পুষ্টির অভাব, অ্যানিমিয়া বর্তমান কি না, টিবি বা যক্ষ্মা আছে কি না।
ল্যাব টেস্ট : সিমেন অ্যানালাইসিস, টেস্টোস্টেরন, প্রোল্যাকটিন, ব্লাড সুগার, ভিডিআরএল, এসটিএস, টিএসএইচ , সিবিসি ।
ওষুধ ও চিকিৎসা : একজন ভালো চিকিৎসকই শুধু পারেন, আপনাকে ওষুধ দিয়ে সাহায্য করতে। যত্রতত্র কখনো কোনো ওষুধ নেয়া ঠিক নয়, আর হোমিওপ্যাথি তো নয়ই, এর ক্ষতিকর প্রভাব আরো তীব্র। সমাজে যার উল্টটাই প্রচলিত। এর প্রত্যেক ডোজ সেবনের পর এর মাত্রা, শক্তি এবং ওষুধ পরিবর্তন করে দিতে হয়।
যেমনÑ লাইকো, কোর্নিয়াম, আয়োডিয়াম, টেসটিস, ক্যালকোরিয়া কাব ইত্যাদি।
লেখক : অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, তানজিম হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ।
চেম্বার : সিটি হোমিও ইন্টারন্যাশনাল, ২৩, জয়কালী মন্দির, ঢাকা। ফোন : ০১৯১২৮৪২৫৮৮


আরো সংবাদ



premium cement
সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু

সকল