২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

থ্যালাসেমিয়া

থ্যালাসেমিয়া - সংগৃহীত

থ্যালাসেমিয়া এক ধরনের রক্তশূন্যতা, যা বংশগতভাবে বিস্তার লাভ করে। থ্যালাসেমিয়ায় স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন তৈরির হার কমে যায়, তবে কতটা কমে তা নির্ভর করে একটা অথবা দু’টি জিনই খারাপ কি না তার ওপর।

সাধারণত শরীরের যেকোনো বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য দুটি জিনই দায়ী, এর একটা বাবা আর একটা মা থেকে আসে। যদি হিমোগ্লোবিন তৈরির একটি জিন ভালো এবং একটা মন্দ থাকে, তবে হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিকের চেয়ে (১০-৫০%) কম তৈরি হবে। এ ধরনের রোগীকে থ্যালাসেমিয়া মাইনর বলে। এদের মধ্যে রোগের লক্ষণ কম প্রকাশ পায় বিধায় রোগ সহজে ধরা যায় না। কারণ, এরা ডাক্তারের কাছে দেরিতে আসেন। এদেরকে থ্যালাসেমিয়া ট্রেইট বা কেরিয়ার বলে। আর যাদের দুটি জিনই মন্দ অর্থাৎ যাদের মা এবং বাবা উভয়ই থ্যালাসেমিয়া ট্রেইট, তাদের মধ্যে রোগের লক্ষণ শিশুকালেই প্রকাশ পায় এবং সহজেই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়। এদের থ্যালাসেমিয়া মেজর বা বিশেষ ক্ষেত্রে থ্যালাসেমিয়া ইন্টারমেডিয়া বলে। এরা শিশুকাল থেকেই নানা সমস্যায় ভোগে। হিমোগ্লোবিন গঠন পদ্ধতিতে সমস্যা থাকতে পারে, যেমন- Hb-E, Hb-C, Hb-D ইত্যাদি। অনেক ক্ষেত্রে এদের সংমিশ্রণও হতে পারে, তবে প্রায় সব ক্ষেত্রেই বাবা অথবা মা উভয়েই দায়ী। বাংলাদেশে হিমোগ্লোবিন-ই (Hb-E) এবং হিমোগ্লোবিন বিটা থ্যালাসেমিয়া ট্রেইটের (Hb-B trait) প্রকোপ বেশি।

লক্ষণ : রোগের লক্ষণগুলো নির্ভর করে রোগটা কেরিয়ার না ডিজিজের ওপর। কেরিয়ারের বেলায় কমবেশি রক্তশূন্য থাকে। অনেক সময় হালকা জন্ডিসও থাকতে পারে। কিন্তু থ্যালাসেমিয়া মেজর বা ইন্টারমেডিয়ার বেলায় রক্তশূন্যতা, জন্ডিস, প্লীহা বড় হতে পারে। জন্ডিসের লক্ষণ থাকায় অনেকে লিভারের সমস্যা মনে করেন। এ ছাড়া শিশুদের শরীর বৃদ্ধির ব্যাঘাত ঘটে ও ঘন ঘন ইনফেকশন হতে পারে। পিত্তে পাথর হওয়ার প্রবণতা থাকে। শরীরে অধিক পরিমাণে আয়রন জমা হয়ে ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা ও লিভার সিরোসিসের মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে। কেরিয়ার রোগীদের বেলায় ভুল চিকিৎসায় শরীরে অধিক আয়রন জমা হয়ে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। তা ছাড়া, একজন কেরিয়ার না জেনে আরেকজন কেরিয়ারকে বিয়ে করলে তাদের সন্তানদের জীবন হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।

চিকিৎসা : থ্যালাসেমিয়া চিকিৎসাব্যবস্থা অপ্রতুল। তবে চিকিৎসার জন্য একজন রক্তরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রে ঘন ঘন ব্লাড ট্রান্সফিউশন ও আয়রন চিলেশনের প্রয়োজন হয়। কিউরেটিভ চিকিৎসা হিসেবে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন (ইগঞ) লাভজনক। তবে রোগের বিস্তার রোধে প্রতিকারের দিকে অধিক মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৬-৭ শতাংশ লোক এ রোগের কেরিয়ার বা বাহক এবং ভবিষ্যতে তা আরো বৃদ্ধি পাবে যদি না আমরা সতর্ক হই।

রোগীদের প্রতি কিছু পরামর্শ
- আয়রন-জাতীয় ওষুধ খাবেন না।
- অধিক আয়রন-জনিত জটিলতা এড়ানোর জন্য তিন-ছয় মাস পর পর রক্তরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
- একজন কেরিয়ার (ট্রেইট) অন্য একজন কেরিয়ারকে বিয়ে করবেন না।
- মা ও বাবা উভয়েই কেরিয়ার হলে প্রিনেটাল ডায়াগনসিসের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।


আরো সংবাদ



premium cement
‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

সকল