২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গোল পাচ্ছেন ডিফেন্ডার বোন, খরায় স্ট্রাইকার বোন

বাংলাদেশ দলের দুই যমজ বোন
আনাই মগিনি ও আনু চিং মগিনি - ছবি : নয়া দিগন্ত

এক মায়ের গর্ভ থেকেই দুনিয়ায় আসা এবং তা একই দিনে। সময়ের ব্যবধান মাত্র দুই মিনিট। অর্থাৎ তারা যমজ বোন। মায়ের পেটে যেমন এক সাথে বড় হয়েছেন, বাংলাদেশ দলেও তারা একসূত্রে গাঁথা। সেই ২০১৫ সাল থেকে এই যমজ আনাই মগিনি ও আনু চিং মগিনি গায়ে পরে আসছেন লাল-সবুজ জার্সি।

বাংলাদেশের ফুটবলের প্রতিনিধি হয়ে দুজনে একত্রে এখন পর্যন্ত সফর করেছেন ১১ টি দেশ। এখন ভুটানে চলা মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলেও দলের অপরিহার্য খেলোয়াড় এই যমজ বোনদ্বয়। রাইট ব্যাক পজিশনে খেলছেন আনাই মগিনি। আনু চিং মগিনির পজিশন স্ট্রাইকার।

তবে সমস্যা হলো দুই মিনিটের বড় ডিফেন্ডার আনাই গোলের দেখা পেলেও ভুটানে টানা দুই ম্যাচে গোল শূন্য স্ট্রাইকার আনু চিং। ফলে পাকিস্তান ও নেপালের বিপক্ষে কোচ ছোটন তাকে পুরো নব্বই মিনিট খেলাননি। তুলে নিয়েছেন বিরতির পর। উল্লেখ্য গত সাফের ফাইনালেও বেশ কয়েকটি সুযোগ মিস করেছিলেন আনু চিং।

খাগড়াছড়ির সাতভাইয়া পাড়ার মেয়ে আনাই ও আনু চিং। উপজাতীয় মারমা সম্প্রদায়ের এক পরিবারে জন্ম তাদের। কৃষক বাবার সাত সন্তানের দুই জন তারা । মোট তিন বোন। অন্য বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। ভাইয়েরা এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করছেন। ২০১১ সালে রাঙ্গামাটির স্কুলের হয়ে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবলে অংশ নেন। সেই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় তাদের দল।

এরপর ২০১৫ সালে বাংলাদেশ দলে অভিষেক। ভুটানের মাঠের গোলে আনাই এগিয়ে গেলেও পড়ালেখায় বড় বোনকে পেছনে ফেলেছেন আনু চিং। তিনি এসএসসি পাশ করলেও আনাই একটি বিষয়ে খারাপ করায় আবার তাকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা দিতে হবে। এ জন্য কষ্ট হচ্ছে আনু চিংয়ের। অন্য দিকে ছোট বোন এখনও ভুটানের মাটিতে গোল না পাওয়ায় তার জন্য করুনা আনাইয়ের।

থিম্পুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে আনাই মগিনি জোড়া গোল করেছেন ডিফেন্স থেকে উঠে গিয়ে। বিপরীতে স্ট্রাইকার আনু চিং বেশ কয়েকটি সুযোগ মিস করেন সেই ম্যাচে। দ্বিতীয় খেলায় নেপালের বিপক্ষেও গোলের দেখা পাননি এই ফরোয়ার্ড। অবশ্য তার একটি ভলি ফেন্সের
গায়ে লেগে কর্নার না হলে তখনই উল্লাসে ভাসতে পারতেন তিনি, সাথে দলও। অবশ্য ওই কর্নার থেকেই তহুরার গোলে এগিয়ে গেছে দল।

গোল না পাওয়া প্রসঙ্গে আনু চিংয়ের জবাব. ‘ইনজুরি থেকে উঠেছি। সে জন্য গোল পাচ্ছি না। তবে আগামী ম্যাচে চেষ্টা করবো গোলের।’ যোগ করেন, ‘আামি গোল না পেলেও আমার বোন গোল পাচ্ছে এতে খুশী আমি।’ অন্যদিকে আনাইয়ের বক্তব্য, ‘গোলটা আসলে খেলারই অংশ। গোল পাওয়াটা নির্ভর করে ম্যাচের পরিস্থিতির উপর। আনু গোল না পেলেও আমি স্কোর করতে পারছি।’

আনু চিং বাংলাদেশ দলের অন্যতম স্ট্রাইকার। ২০১৬ তে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাই ফুটবলে তার গোল ছিল ৫টি। গত বছরের অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে তার গোল সংখ্যা ২টি। এছাড়া হংকংয়ে ২ এবং তাজিকিস্তানে করেছেন ৫ গোল। আর রাইটব্যাক পজিশন থেকে উঠে কিছুদিন আগে হংকংয়ের জকি কাপে ৩ গোল করেছেন আনাই। ২০১৬ তে তাজিকিস্তানে করেছেন ১ গোল।

এবারের আসরে আনু চিং গোল না পেলেও তার খেলার স্টাইলে খুশি কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। তার বক্তব্য, আনু চিং গোল না পেলেও সে যে প্রেসার দেয় বিপক্ষ রক্ষণ প্রাচীরে তাতে অন্যদের জন্য গোলের সুযোগ উন্মুক্ত হয়। প্রেসিংটা অসাধারণ তার।


আরো সংবাদ



premium cement
ঈশ্বরদীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড ‘মুক্ত সাংবাদিকতা চরম সঙ্কটে’ ‘রাফা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা’ ৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের

সকল