১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


তিন দিনেই লজ্জাজনক হার বাংলাদেশের

-

হতাশা। বেদনা। দুঃখ। এবং লজ্জা। সব কিছুকেই সঙ্গী করে বাংলাদেশ পরাজিত হয়ে মাঠ ছাড়ল। ইন্দোরে প্রথম টেস্টে তিন দিনের পুরোটা সময়ও তারা খেলতে পারল না। অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ। হেরে যাওয়ার টুপিতে আরেকটি ব্যর্থতার পালক যুক্ত করল মুমিনুল বাহিনী। দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৩ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে ইনিংস এবং ১৩০ রানের হার মেনে নিতে হলো। প্রথম ইনিংসে ভারত ৬ উইকেটে ৪৯৩ রান করে। তবে গতকাল শনিবার তারা আর ব্যাট করতে নামেনি। ভারতের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। প্রথম ইনিংসেই ৩৪৩ রানে এগিয়েছিল স্বাগতিকরা। কারণ তারা জানত যে বাংলাদেশের পক্ষে অসম্ভবকে বাস্তবে রূপ দেয়া হবে কঠিন। ভারতের তিন পেসার সামি, যাদব ও ইশান্ত শর্মার জাদুর ঝলক টাইগারদের বেশিদূর যেতে দেবে না। এ ছাড়া দুই স্পিনার আশ্বিন ও জাদেজার ঘূর্ণি বলের মোহনীয় ছোবল তো রয়েছেই। কোহলির আত্মবিশ্বাস ছিল তার বোলাররা তৃতীয় দিনেই দলকে জয়ের আনন্দে ভাসাবে। ভুলে গেলে চলবে না যে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে জেনেই গিয়েছিল যে ইন্দোরে পরাজয় তাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। ফলে লড়াই করার মানসিকতা কারো মধ্যেই ছিল না। শোককে শক্তিতে পরিণত করে বীরের মতো লড়াই করে পরাজয়কে স্মরণীয় করে রাখার জন্য যে দৃঢ়তার প্রয়োজন, তা লাল-সবুজ ক্রিকেটারদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে দেখা যায়নি। ফলে ব্যাটিং বিপর্যয়ের আরো একটি কাহিনী উপহার দিলেন বাংলাদেশের নামী-দামি তারকা ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ইনিংসের চিত্ররূপ দ্বিতীয় ইনিংসেও দেখা গেল। ২২ গজের সবুজ ক্যানভাসে উইলো হাতে শৈল্পিক উপস্থাপনার চেয়ে প্যাভিলিয়নের পথে পা বাড়ানোকে একমাত্র লক্ষ্য মনে করলেন ওরা ১১ জন। দুই ওপেনার সাদমান ও ইমরুল কায়েস ব্যর্থতার কবিতা রচনা করে দলকে বিপদের মধ্যে ফেলে দেন। এই দু’জনের দেখানো পথ নতুন অধিনায়ক মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ মিথুন সাজঘরে ফিরে যান। ফলে সকালের সেশনে ৪ উইকেটে ৬০ রান তুলে মধ্যাহ্নহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় সেশনটা ভালোই কেটেছে বাংলাদেশের। ইন্দোর টেস্ট চতুর্থ দিনে গড়াবে কি না সে স্বপ্নে বিভোর হয়ে মুশফিকুর রহীম শুরু করেন তার জ্বলজ্বলে ব্যাটিংশেলী। তবে মাহমুদউল্লাহকে দীর্ঘক্ষণ সাথী হিসেবে পাওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ সবাইকে বিস্মিত করে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিলেন। এরপর আসেন লিটন দাস। তিনি তার স্বভাবগত ছন্দে রান করেছেন ওয়ানডে স্টাইলে। মুশফিকও তাকে সহযোগিতা দিয়ে গেছেন। লিটন যখন আউট হন আশ্বিনের বলে, তখন তার নামের পাশে রান ৩৫। ৩৯ বলে তিনি ৬ চারে এই ইনিংস সাজান। এরপর অলরাউন্ডার হিসেবে পরিচিত মিরাজ ৫৫ বলে ৩৮ রান তোলেন পাঁচ বাউন্ডারি ও এক ছক্কা দিয়ে। মুশফিক তখনো অবিচল ছিলেন। তবে টেলএন্ডার দিয়ে যে বেশিদূর যাওয়া যাবে না, তা এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান বুঝেছিলেন। ৬৪ রান করে আশ্বিনের বলে পূজারার হাতে ক্যাচ তুলে দেন। এই ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ রান। প্রথম ইনিংসেও বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছিলেন মুশফিক।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন মোহাম্মদ সামি। তিনি ৪ উইকেট নেন ৩১ রানে। এ ছাড়া অভিজ্ঞতার ফুলঝুরি ছড়িয়ে আশ্বিন ৩ উইকেট নেন ৪২ রানে। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন আগারওয়াল।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের জয়রথ ছুটেই চলেছে। কোহলির দল টানা ষষ্ঠ জয় পেল। আর বাংলাদেশের অভিষেক হলো ভুলে ভরা এক লজ্জাজনক পরাজয়ের মধ্যে দিয়ে। কলকাতার ইডেনে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। গোলাপি বলের ডে-নাইট টেস্টে প্রথমবারের মতো মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও ভারত।


আরো সংবাদ



premium cement
টেবিল টেনিসে রুমেল খানের দ্বিমুকুট জয় ২৮ দিন ধরে নিখোঁজ অটোরিকশাসহ চালকের সন্ধান চায় তার পরিবার ৭ মাসে ইসরাইলি হামলায় ৩৫৩৮৬ ফিলিস্তিনি নিহত বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা হারাবে : কর্নেল অলি ‘জেলা পরিষদই নির্মাণ করবে রাজশাহী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার’ ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম দেবিদ্বারে বিরিয়ানির প্যাকেট আনতে গিয়ে ট্রাক্টরচাপায় শিশু নিহত কিরগিজস্তানে বাংলাদেশী, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিষিদ্ধ পল্লী : প্রশ্ন গয়েশ্বরের গাজীপুরে জীপের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত আইন পেশাকে সংগ্রামের অংশ হিসেবে নিতে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার

সকল