২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানিতে ভোট জালিয়াতির তথ্য দিলেন প্রার্থীরা

লুটেরাদের কবল থেকে দেশ রক্ষা করতে হবে : ড. কামাল

খালেদা জিয়ার মুক্তিতে দ্রুত কর্মসূচি দাবি
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানিতে বক্তব্য রাখছেন ড. কামাল হোসেন :নয়া দিগন্ত -

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হয়েছে সেটাকে কোনোমতেই নির্বাচন বলা যায় না। কারণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে না হয় সেজন্য সরকার সবই করেছে। সে নির্বাচনে যত কূকীর্তি হয়েছে তাতে সেটাকে নির্বাচন বলা যায় না। স্বৈরাচার ও লুটেরাদের কবল থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশের মালিকানা পুনরুদ্ধার করতে হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে গণশুনানি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এই গণশুনানির আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ গণশুনানি হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা ভোটের নানা ‘অনিয়ম’, ‘কারচুপি’সহ বিভিন্ন বিষয় গণশুনানিতে তুলে ধরেন।
ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে গণশুনানির বিচারক প্যানেলে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন ব্যাপারী, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, সাবেক বিচারক আ ক ম আনিসুর রহমান খান ও অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ। গণশুনানির শুরুতে চকবাজারে আগুনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন। দু’ভাগে অনুষ্ঠিত গণশুনানির প্রথম ভাগে ১৯ জন এবং দ্বিতীয় ভাগে ২২ জনসহ মোট ৪১ জন প্রার্থী তাদের নির্বাচনী আসনে বিভিন্ন অনিয়ম ও নির্যাতন প্রসঙ্গে সংক্ষেপে বক্তব্য রাখেন। বেশির ভাগ বক্তা বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দী রেখে শেখ হাসিনার অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। আওয়ামী লীগ একতরফা ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন করবে এটা সবাই জানত। কিন্তু বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ কেনো প্রতিবাদ বা আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে পারলেন না? এটাকে তারা নেতাদের ব্যর্থতা হিসেবে অভিহিত করেন। তবে ভুলভ্রান্তি যা হয়েছে তা শুধরে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে আগামী দিনের আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার দাবি জানান তারা।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর দেশে একটি প্রহসনের নির্বাচন করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকার কারণে যা ইচ্ছা তাই করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীকে কোনো কিছুর জন্য জবাবদিহিতা করতে হয় না।
শুনানির শুরুতে ড. কামাল হোসেন বলেনÑ আমরা বিচারক না, কোনো বিচার করার ক্ষমতা আমাদের নেই, কর্তব্যও নেই। গণশুনানি হচ্ছে, জনগণের উদ্দেশে প্রার্থীরা বক্তব্য দেবেন। বিচার যেটা হচ্ছে সেটা ট্রাইব্যুনালে হবে। আর গণ আদালত যেটা বলা হয়, সেটার বিচার জনগণ করবে। যে বক্তব্যগুলো আসবে সেগুলো পরে প্রকাশ করা হবে। বই আকারেও প্রকাশ করা হবে। সবার বক্তব্য রেকর্ড করা হবে। এই গণশুনানির মূল উদ্দেশ্যÑ সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেন, দুই ঈদ ছাড়া আমি সাড়ে সাত বছর ধরে আমার এলাকায় যেতে পারি না। এবারের নির্বাচনের আগে যেতে চাইলে এসপি ফোন করে বলে না যাওয়াটা ভালো। তারপর নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর কোনোমতে গেলাম, তবুও বাধা। নির্বাচনী অফিস ইউএনও পুলিশ দিয়ে সিল করে দেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকেও হার মানিয়েছে বাংলাদেশের পুলিশ। তাদের সাথে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অনেকেই সাধারণ মানুষকে নির্যাতন করেছে। নির্বাচনের কোনো পরিবেশ ছিল না। নারীকে ধর্ষণের হুমকি দেয়া হয়। এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে দেশের সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। কারণ, দেশ এখন পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ।
শেরপুর-৩ আসনের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, ২৯ ডিসেম্বর রাতেই নির্বাচন হয়েছে। আমরা সবাই শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিলাম। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমাদেরকে বিশেষ কোনো নির্দেশনা দিতে পারেননি। তারা নির্বাচন কমিশনের সামনে ৩০০ আসনের প্রার্থীদের এনে এক ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচিও পালন করতে পারতেন। কিন্তু ন্যূনতম প্রতিবাদও করতে পারিনি। তৃণমূলকে কোনো জবাব দিতে পারিনি।
চট্টগ্রাম-৯ আসনের প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, সীমাহীন নির্যাতন-নিপীড়নের পরও আমরা নির্বাচন কমিশনের সামনে এক ঘণ্টার প্রতিবাদও করতে পারিনি। এবার পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে আমাদেরকে জেগে উঠতে হবে। মানুষের কাছে যেতে হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নতুন কর্মসূচি দিতে হবে।
ফরিদপুর-২ আসনের প্রার্থী শামা ওবায়েদ বলেন, আওয়ামী লীগ এতই দুর্বল যে গোপালগঞ্জের মতো জায়গায় ভোট কাটতে হয়েছে। আমার আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাজেদা চৌধুরীর ছেলে অস্ত্র নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তায় ভোটারদের ভয় দেখিয়েছে। ৮০ ভাগ কেন্দ্রে ভোট কেটেছে আগের রাতেই। এখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া এই সরকারের পতন হবে না।
কুমিল্লা-১০ আসনের প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় নেতারা অনিয়মের নির্বাচনে কিছুই করতে পারলাম না, জবাবদিহিতার জন্য একটা সম্মেলন হওয়া দরকার। বর্তমান হুদা নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত নি¤œমানের। এ জন্য পুলিশ, প্রশাসন ও জনগণের বক্তব্য শুনে গণশুনানির রায় দেয়া উচিত। এখন থেকে নতুনভাবে লড়াই শুরু করতে হবে।
কুষ্টিয়া-২ আসনের প্রার্থী আহসান হাবীব লিঙ্কন বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর আওয়ামী লীগসহ অন্য সবাই আমাকে সমর্থন দেয়। কিন্তু পুলিশের এসপি আর ওসি আমাকে বাধা দেন। আর হাসানুল হক ইনুর ঈগল বাহিনী আমার বাড়ি পর্যন্ত আক্রমণ ও ভাঙচুর করে। আসলে এবার নির্বাচন পুলিশ নয়, নির্বাচন কমিশনই ছিল পুলিশের অধীনে। ৩০ ডিসেম্বর জনগণ ভোট দিতে পারলে বিএনপির বিজয় হতো এবং বাংলাদেশ আরেকবার স্বাধীন হতো।
নোয়াখালী-২ আসনের প্রার্থী জয়নুল আবদীন ফারুক দলের নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, নির্বাচনের আগে বাড়িতে বাড়িতে হামলা হয়েছে। অভিযোগ করেও প্রতীকার পাইনি। এ সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়নি। এ নিয়ে বহু কথা হয়েছে। তাহলে কি আমরা আওয়ামী লীগের কৌশলের কাছে পরাজিত হয়েছি? আপনারা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কর্মসূচি দিলেন না। ২৭ ডিসেম্বর জনসভাও করলেন না। ভোটের জন্য শুনানি হলে তো দলের কোনো ব্যর্থতার জন্যও শুনানি হতে পারে।
ঢাকা-৬ আসনের প্রার্থী সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমার আসনে ৯৮টি সেন্টারের সবগুলোতে এজেন্ট দিলেও কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি। নেতা-কর্মীদেরকে বিড়ালছানার মতো পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এটা নির্বাচন হয়নি, ভোট ডাকাতি হয়েছে। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা যে নির্মমতা করেছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের দিন ২৯ ডিসেম্বরও এ সরকারের ভোট ডাকাতির ঘটনা ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। ওয়ারি থানার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এজেন্ট সোনিয়া আখতার ভোটের দিন সকালে পুলিশের সামনে তার ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা তুলে ধরেন।
সকালে গণশুনানিতে সিরাজগঞ্জে পুলিশের গুলিতে দুই চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়া মেরি বেগম তার অবর্ণনীয় ঘটনা তুলে ধরলে পুরো মিলনায়তনের প্রার্থী-সমর্থকরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। মঞ্চে বসা ড. কামাল হোসেনসহ অন্যদের চোখও অশ্রুসজল দেখাচ্ছিল। মেরি বেগম বলেন, ১৪ ডিসেম্বর পুলিশ যে আমাকে গুলি করবে, এটা আমার কল্পনার বাইরে ছিল। সে দৃশ্য আমাকে কাঁদাচ্ছে, এ দৃশ্য আমি এখনো ভুলতে পারি না। আমার একটা কথা দেশবাসী কাছেÑ চোখ হারিয়েছি আমার দুঃখ নাই। কিন্তু সবচেয়ে বড় দুঃখ যে, আমি ৩০ তারিখে ভোট দিতে পারিনি। যখন শুনেছি ২৯ তারিখে রাত ১২টায় ভোট শেষ হয়ে গেছে, তখন সবচেয়ে বড় কষ্ট হয়েছে আমার। আমি দাবি জানাতে চাই, আমি ভোট দিতে চাই, আমাকে ভোট দেন নইলে আমার দুই চোখ ফেরত দেন।
শুনানি শেষে ড. কামাল হোসেন বলেন, এই নির্বাচনকে নির্বাচন বলা যাবে না। এটা তো নির্বাচন ছিল না, তথাকথিত নির্বাচন। আজকে এই শুনানিতে আমরা বুঝতে পেরেছি এটা কোনো নির্বাচন হয়নি। ৪১ জনের কথা শোনার পরে আমরা বলতে পারিÑ এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। এটাকে বলা যেতে পারে সরকার একটা প্রহসন করেছে, দেশের নাগরিককে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে, সংবিধান অমান্য করেছে, গণতন্ত্রের মূলনীতির অবমননা করেছে। সংবিধান অনুয়ায়ী এ প্রজাতন্ত্রের ক্ষমতার মালিক জনগণ। তাদেরকে মালিকানা থেকে বঞ্চিত করার চেয়ে বড় অপরাধ কিছু হতে পারে না। এটাকে আমি বলব, স্বাধীনতার ওপর আঘাত হচ্ছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে, দেশের মালিকানা যেন আমরা ফিরিয়ে আনতে পারি। স্বৈরাচার যে ক্ষমতা আত্মসাৎ করে, লুটপাট করে দেশ ধ্বংস করছে, দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ধবংস করছে, সংবিধানকে ধ্বংস করছে, মানুষের অধিকার ধ্বংস করছে, আসুন তাদের হাত থেকে দেশকে বাঁচিয়ে আমরা একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হই।
স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও নির্বাচনী প্র্রক্রিয়ার এহেন অবস্থাকে ‘দুঃখজনক’ অভিহিত করে ড. কামাল বলেন, আমাদের দুঃখ লাগছে, যে দলের নামে এগুলো হচ্ছে সে দলটা কিন্তু বঙ্গবন্ধুর দল। আমরাও সে দল করেছি, লাখো লোক জীবন দিয়েছে তার ডাকে সাড়া দিয়ে। লাখ লাখ শহীদের তালিকা আমরা পাবো। সেই দলের নামে এগুলো হলো, এগুলো কোনোভাবে আমরা মেনে নিতে পারছি না। অনেকেই বলে যে, আওয়ামী লীগে নামে যেটা করা হচ্ছে এটাকে আওয়ামী লীগ বলা চলে না। আমরাও সেটা মনে করি। আমরা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করেছি, এ আওয়ামী লীগ না।
সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, গণতন্ত্রকে অপব্যাখ্যা না করে, সংবিধানকে অমান্য না করে তারা যদি বলেন, আমরা এক ব্যক্তির শাসন চালাতে চাই তাহলে এটার যে নাম দিতে চান, সেটা দিতে পারেন। তাকে গণতন্ত্র বলবেন না। এক ব্যক্তির শাসন যে আছে, এটাকে অস্বীকার করতে পারেন না। এখানে এক ব্যক্তি ও প্রশাসনের সবকিছু করছেন। প্রশাসনের লোকেরা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের চেহারা একবার দেখুন। আপনাদের নিজেদের উপর ঘৃণা হওয়া উচিত। আপনাদের নিয়ে আপনাদের উত্তরসূরিরা লজ্জাবোধ করবে।
গণশুনানি থেকে ড. কামাল হোসেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, আজকে অনেকে এখানে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কথাটি বলেছেন। এটা একটি ন্যায্য দাবি। আমরা অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে তার মুক্তি চেয়েছি। আজকে সবাই এখান থেকে জোরালোভাবে তার মুক্তি চেয়েছেন। আমি অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি। এটা দুঃখজনক যে ৪৮ বছর পরে এরকম দাবি করতে হচ্ছে। বিরোধী দলের হাজার হাজার লোককে কারণ-অকারণে বন্দী রাখা হয়েছে। এটা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশের পরিপন্থী। এজন্য আমরা আন্দোলনের ডাক দিয়ে যাচ্ছি। আসুন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হই। এখন যে অবস্থা চলছে তা মেনে নেয়া যায় না। আমরা মেনে নেব না। ইনশা আল্লাহ, এটা থেকে অবশ্যই আমরা মুক্ত হবো।
অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতা ও ধানের শীষের প্রার্থীদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, মাহমুদুল হাসান, শামসুজ্জামান দুদু, আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জহিরউদ্দিন স্বপন, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, তানিয়া রব, শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, এস এম আকরাম, শহিদুল্লাহ কায়সার, জাহেদ-উর রহমান, গণস্বাস্থ্যের ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, আজমিরি বেগম ছন্দা, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement