২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিদায় কবি আল মাহমুদ

আজ গ্রামের বাড়িতে দাফন ; মিলেনি রাষ্ট্রীয় শেষ সম্মানটুকু ; বায়তুল মোকাররমে নামাজে জানাজা ; শোকাহত সারা দেশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে কবি আল মাহমুদের শেষ যাত্রা; ইনসেটে আল মাহমুদ : নয়া দিগন্ত -

নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের শোক শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় নিলেন বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি কবি আল মাহমুদ। স্বজন, সহকর্মী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, কবি, বন্ধু, ভক্তদের উপস্থিতিতে নামাজে জানাজা শেষে গতকাল শনিবার নিজের স্মৃতি শহর ছেড়ে কফিনে জন্মস্থানে ফিরে গেলেন তিনি। আজ রোববার বাদ জোহর নিজ গ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোড়াইল মোল্লাবাড়ীতে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য গতকাল প্রথমে কবির লাশ বাংলা একাডেমিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাংলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজীর নেতৃত্বে কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কবির লাশ একটি অ্যাম্বুলেন্সে জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে আনা হয়। সেখানে শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, কবি, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে কবিকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, কবি আবদুল হাই শিকদার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, চিত্র নায়ক হেলাল খান, জাসাস নেতা ও অভিনেতা বাবুল প্রমুখ।
এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘কবি আল মাহমুদ ছিলেন দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তিনি এই সমাজকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার সে স্বপ্ন পূরণ হোক।’
গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘উনার মতো কবি সাধারণত সব সময় জন্ম হয় না। প্রতিটি ধারাতেই ওনার উপস্থিতি আমরা দেখেছি। এতে আমরা অভিভূত হয়েছি, অনুপ্রাণিত হয়েছি। সেই অনুপ্রেরণাটুকু উনি রেখে গেছেন আগামী প্রজন্মের জন্য।’
কবি আল মাহমুদের ছেলে মীর মোহাম্মদ মুনির বলেন, ‘উনার ইচ্ছা ছিল শুক্রবারে মৃত্যুবরণ করার। আল্লাহ উনার ইচ্ছা পূরণ করেছেন। তার অজান্তে কোনো ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
জোহরের নামাজের আগে প্রেস ক্লাব থেকে লাশ নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। সেখানে জোহরের নামাজের পর দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে লাশ মগবাজারের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান শেষে কবিকে তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোড়াইলে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ বাদ জোহর সেখানেই তাকে দাফন করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান এই কবি রাজধানীর ধানমন্ডি ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, কবির নিউমোনিয়া বৃহস্পতিবার থেকে বেড়ে গিয়েছিল। শুক্রবার সকাল থেকে নতুন করে প্রেসার কমে যেতে শুরু করে। তবে ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। এরপর রাতে হঠাৎ হৃৎপিণ্ড ঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তখন রক্তচাপ কমতে থাকে। এতে মস্তিষ্কসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন না পৌঁছায় তিনি মারা যান।
কবি আল মাহমুদের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে সোনালী কাবিন ছাড়াও লোক লোকান্তর ও কালের কলস রয়েছে। এ ছাড়া ডাহুকী, কবি ও কোলাহল, নিশিন্দা নারী উপন্যাস লিখেছেন আল মাহমুদ। তার গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে পানকৌড়ির রক্ত, সৌরভের কাছে পরাজিত ও গন্ধবণিক।
আল মাহমুদ দীর্ঘ দিন সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক দৈনিক পত্রিকায় কাজ করেছেন তিনি। পাকিস্তান আমলে দৈনিক ইত্তেফাকের মফস্বল বিভাগ প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন আল মাহমুদ। স্বাধীনতার পর দৈনিক গণকণ্ঠ এবং চট্টগ্রামের দৈনিক কর্ণফুলীর সম্পাদক ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন আল মাহমুদ।
‘ধরে নেবেন রাষ্ট্রযন্ত্র তাকে মেনে নিয়েছে’
জনগণ যখন একজন কবিকে বিবেচনায় নেয়, কবি হিসেবে মানেন ধরে নেবেন রাষ্ট্রযন্ত্র তাকে মেনে নিয়েছে। রাষ্ট্রকে আলাদা করে দেখবেন না’ এমন মন্তব্য করে ‘বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেছেন, রাষ্ট্র এমন কোনো অবকাঠামো না যা জনগণের বাইরে।
বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে গতকাল কবি আল মাহমুদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অমর একুশে গ্রন্থমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব জালাল আহমেদ।
হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, আল মাহমুদ কবি ছিলেন। কবি হিসেবেই তিনি বাঙালির কাছে বেঁচে থাকবেন।
তিনি বলেন, ৪৭ সালের পরে পূর্ব পাকিস্তানে নব কবিতার যে আন্দোলন শুরু হয়, পঞ্চাশের দশকে আল মাহমুদ তার অগ্রগণ্য কবি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। তার লোক-লোকান্তর থেকে শুরু করে সোনালী কাবিন সে সময় প্রকাশিত হয়। তার ভেতর দিয়ে বাঙালি জাতি নব উত্থানের একটি পথ পায়। আল মাহমুদ আমাদের লোক জীবনকে শহর জীবনের কাছে যে মাত্রায় উপস্থাপন করেছেন তা এক অভিনব ব্যাপার ছিল। সে জন্যই আল মাহমুদ বাংলা সাহিত্যের অনন্য কবি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিলেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন- ‘আগামী দিনে পরবর্তী প্রজন্ম তার পাঠের ভেতর দিয়ে বাংলা সাহিত্যের সারাংশ শুধু নয়, উপজীব্য বিষয়গুলো কিঞ্চিৎ হলেও লাভ করবে।’
কবি আল মাহমুদ পাননি রাষ্ট্রীয় শেষ সম্মানটুকু
‘স্মৃতির মেঘলা ভোর’ এর গত শুক্রবারে বিদায় নেয়া বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি কবি আল মাহমুদ রাষ্ট্্রীয় শেষ সম্মানটুকুও পাননি। অথচ ৫০ বছর ধরে বাংলা কবিতার জগতে আলোড়ন তুলেছেন এই কবি। ‘সোনালী কাবিন’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে সাহিত্যানুরাগীদের মনে স্থায়ী জায়গা করে নেয়া এ কবি বাংলা একাডেমি পুরস্কারও পেয়েছিলেন। কিন্তু কাবিনবিহীন হাতে মহাকাল স্পর্শ করতে চলা কবির স্থান হয়নি শহীদ মিনার, জাতীয় ঈদগাহ, কবি কাজী নজরুলের সমাধির পাশে কিংবা বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শেষ সম্মান গার্ড অব অনারটুকুও তাকে দেয়া হয়নি।
কবি পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা প্রথমে নামাজে জানাজা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে করতে প্রশাসনের অনুমতি চেয়েও পাননি। দাফনের জন্য চেয়েছিলেন কবি কাজী নজরুলের সমাধির পাশে অথবা বুদ্ধিজীবী কবরস্থান। কিন্তু তারো অনুমতি মেলেনি। যার কারণে কবির গ্রামের বাড়িতেই দাফনের সিদ্ধান্ত হয়। এমনকি দেশের প্রধান এই কবিকে সর্বশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনারও না দেয়ায় জানাজায় আসা মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, সরকারের উচিত ছিল কবি পরিবার ও কবিভক্তদের পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে ভাষাসৈনিক, মুক্তিযাদ্ধা, আধুনিক বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রধান পুরুষ কবি আল মাহমুদকে সর্বোচ্চ সম্মান জানানো।
কবির শেষ ইচ্ছা অনুসারে শনিবার মেঘলা আকাশেই তাকে শেষ বিদায় জানিয়েছে দেশের মানুষ।
শোকাহত সারা দেশ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের ইন্তেকালে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গভীর শোক প্রকাশ করেছে। পৃথক বিবৃতিতে কবির রূহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।
বিএনপি : কবি আল মাহমুদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘দেশের একজন প্রতিভাবান কবি এবং সাংবাদিক হিসেবে তিনি ছিলেন সর্বজনপ্রিয়। তিনি সমকালীন বাংলা ভাষার লেখকদের মধ্যে অগ্রগণ্য। কবিতা, ছোট গল্প, উপন্যাসসহ সাহিত্যের নানা অঙ্গনে তার ছিল অভূতপূর্ব বিচরণ। তিনি এই সময়ের প্রধান শক্তিশালী কবি। কাব্যগ্রন্থ রচনার পাশাপাশি সাংবাদিকতায় তিনি নিবিড় পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করেছেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি অত্যাচারিত হয়েছেন তবু স্বৈরশাহীর রক্তচক্ষুকে গ্রাহ্য করেননি। তার কাব্যের মধ্যে ছিল মানবপ্রেম, সৃষ্টিকর্তার প্রতি একনিষ্ঠ আত্মনিবেদন এবং জাতির ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের প্রতি নিবিড় সংশ্লিষ্টতা। দেশ ও দশের প্রতি অঙ্গীকারের তাগিদে তিনি আমাদের জাতীয় স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য দেশের মানুষের মনে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার মৃত্যুতে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ একজন বরেণ্য কবিকে হারাল, তার চলে যাওয়াতে এমন এক মহা শূন্যস্থান সৃষ্টি হলো, যা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
অপর এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তিনি ছিলেন জাতীয়তাবাদী কবি। এই যুগজয়ী যুগপুরুষের মৃত্যুতে দেশবাসীর মতো আমিও মর্মাহত ও শোকার্ত।
জাতীয় পার্টি : কবি আল মাহমুদের মৃত্যুতে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, কবি আল মাহমুদের মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্যের অপূরণীয় ক্ষতি হলো, যা সহসাই পূরণ হওয়ার নয়। আলোকিত মানুষ হিসেবে কবি আল মাহমুদ সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে আলো ছড়িয়েছেন। তিনি বেঁচে থাকবেন তার কর্মের মধ্যে।
জামায়াতে ইসলামী : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মকবুল আহমাদ বলেন, তার ইন্তেকালে গোটা জাতি শোকে মুহ্যমান। কবি আল মাহমুদের ইন্তেকালে যে গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। তিনি ছিলেন ইসলামী মূল্যবোধ ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী একজন সৎ এবং দেশপ্রেমিক কবি। বিদেশী সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তিনি লেখনীর মাধ্যমে গোটা দেশ ও জাতি এবং বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে গেছেন।
খেলাফত মজলিস : খেলাফত মজলিসের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, কবি আল-মাহমুদ তার মানোত্তীর্ণ সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে আমাদের বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে গেছেন। তিনি কবিতার মাধ্যমে মানুষের মায়া-মমতা ও প্রকৃতির সৌন্দর্যের হৃদয়গ্রাহী ছবি এঁকেছেন। তার কবিতা বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। বিশ্বাসের কবি আল মাহমুদ তার সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়পটে সুদীর্ঘকাল অম্লান হয়ে থাকবেন। কবি আল মাহমুদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে আজ রোববার বিকেল ৫টায় বিজয়নগরের মজলিস মিলনায়তনে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
লেবার পার্টি : বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো: ফারুক রহমান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিন বলেন, কবি আল মাহমুদের ইন্তেকালে বাংলা সাহিত্য একজন শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিককে হারাল। দেশ ও জাতি একজন দেশপ্রেমিক মহান মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি যোদ্ধাকে হারিয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : দুই বাংলার শ্রেষ্ঠ কবিÑ আল মাহমুদের মৃত্যুতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই ও মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, কবি আল মাহমুদ বাংলাদেশের গর্ব। জীবিত থাকাকালীন সরকার তার যথাযথ মূল্যায়ন ও সুচিকিৎসার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
বাংলাদেশ ন্যাপ : বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, রবীন্দ্রনাথ-নজরুলরা যেমন যুগে যুগে জন্মায় না। তেমনই আল মাহমুদের মতো কবিও যুগে যুগে জন্মায় না। বহু প্রতীক্ষার পর একজন বড় কবির আবির্ভাব ঘটে।
ছাত্রশিবির : বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন ও সেক্রেটারি জেনারেল সিরাজুল ইসলাম বলেন, কবি আল মাহমুদ বাংলাদেশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি প্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবেন অনন্তকাল। বাংলাদেশের মানুষ তাকে চিরদিন শ্রদ্ধার সাথেই স্মরণ করবে।
সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্র : সভাপতি কবি মোশারফ হোসেন খান ও সেক্রেটারি কবি শিল্পী যাকিউল হক জাকী বলেন, কবি আল মাহমুদ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রধান কবি। কবিতা, গল্প এবং উপন্যাসসহ সব শাখাতেই বিচরণ রয়েছে মহান এ কবির। তার সাহিত্য আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
এ ছাড়াও শোকপ্রকাশ করেছেন তমদ্দুন মজলিস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর সভাপতি মো: শহীদুননবী ডাবলু, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো: নজরুল ইসলাম, ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, কিশোর কণ্ঠ ও বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি লিমিটেড।

 


আরো সংবাদ



premium cement
দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন

সকল