২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রোহিঙ্গাদের জন্য ৯২ কোটি ডলার চেয়েছে জাতিসঙ্ঘ

-

রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয় দেয়া কক্সবাজারের বাসিন্দাদের জন্য চলতি বছর ৯২ কোটি ডলার বা সাত হাজার ৭২৮ কোটি টাকা সহায়তা চেয়েছে জাতিসঙ্ঘ। বাংলাদেশে আশ্রিত ৯ লাখ রোহিঙ্গা এবং আশ্রিত এলাকার তিন লাখ ৩০ হাজার বাংলাদেশীকে সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও সংস্থাগুলোর কাছে এ অর্থ চেয়েছে জাতিসঙ্ঘ। গতকাল জেনেভায় জয়েন্ট রেসপন্স প্লান (জেআরপি) ২০১৯ এর আওতায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সহায়তা চাওয়া হয়।
সূত্র জানান, সহায়তা অর্থের অর্ধেক প্রয়োজন হবে খাদ্য, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও আশ্রয়ের মতো জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য। অন্যান্য চাহিদার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য, নারী ও শিশুদের সুরক্ষা, শিক্ষা ও পুষ্টি।
জেআরপি ঘোষণা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যান্তোনিও ভাইটোরিনো বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের সমর্থন ও মানবিক অংশীদারদের প্রতিশ্রুতির কারণে গত বছরের জেআরপি সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। নাজুক এই জনগোষ্ঠীর জরুরি চাহিদা মেটাতে আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি। এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি বলেছেন, রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু ও তাদের আশ্রয় দেয়া বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে আজ আমরা মানবিক আবেদন জানাচ্ছি। চলতি বছরের চাহিদা পূরণে দাতাগোষ্ঠী যথাসময়ে যথাযথভাবে সাড়া দেবে বলে আমরা আশা করছি। তিনি বলেন, মানবিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এই সঙ্কটের সমাধানের প্রতিও মনোযোগী হতে হবে। দশকের পর দশক ধরে চলতে থাকা সঙ্কটের মূল কারণ মোকাবেলার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে রাখাইন ছেড়ে মানুষকে পালাতে না হয় এবং উদ্বাস্তুরা নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে ফিরে আসতে পারে। বাংলাদেশের প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও মর্যাদার সাথে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে চাপ দিতে আমি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেয়ার আহ্বান : জেনেভায় ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) রাষ্ট্রদূতদের সাথে এক বৈঠকে পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদার সাথে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসান এবং রাখাইনে তাদের চলাফেরার স্বাধীনতাসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়ে বাংলাদেশ কেবল অসংখ্য মানুষের জীবনই বাঁচায়নি, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় ভূমিকা রেখেছে। এখন ফিরতে চাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো পর্যবেক্ষণে রাখাইনে একটি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গঠন করা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে ভাসানচরে স্থানান্তরে সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরেন শাহরিয়ার আলম। বৈঠকে তুরস্ক, সৌদি আরব, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, লেবানন, জর্ডান, লিবিয়া, ফিলিস্তিন ও মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে তাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা আটক জীবন্ত মানুষকে গণকবর আগ্রাসন ও যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃষ্টির জন্য সারা দেশে ইসতিস্কার নামাজ আদায় আরো ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট তাপপ্রবাহ মে পর্যন্ত গড়াবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার ভূমিকা চায় যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎ গ্যাসের ছাড়পত্র ছাড়া নতুন শিল্পে ঋণ বিতরণ করা যাবে না মিয়ানমারে ফিরল সেনাসহ আশ্রিত ২৮৮ জন বিএনপি ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : কাদের

সকল