২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
গুলিসহ ৯টি অস্ত্র উদ্ধার

রায়পুরায় আ’লীগের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় গ্রেফতার ১৩

-

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল বাঁশগাড়ি ও নীলক্ষা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের পৃথক সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রায়পুরা থানার এসআই রাফিউল করিম রাফি বাদি হয়ে অস্ত্র আইনে রায়পুরা থানায় মোট ১৩ জনকে আসামি করে পৃথক দু’টি মামলা করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার চরমধুয়ার সিকদার বাড়ি ঘাট থেকে আটটি বন্দুক ও ৬ রাউন্ড গুলিসহ ৯ জনকে এবং বাঁশগাড়ির সোবাহানপুর ঘাট থেকে একটি একনালা বন্দুক ও একটি কার্তুজসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের ডা: আনিসুল ইসলাম লিটন, মঙ্গল মিয়া, মাইনুদ্দিন, রাসেল, মামুন মিয়া, রুবেল, সালাউদ্দিন, সফর উদ্দিন, জিয়া উদ্দিন, চরমধুয়া ইউনিয়নের চরমধুয়া গ্রামের মো: গয়েছ আলী, মো: কামাল, দানা মিয়া ও মো: খাজা আলী শিকদার।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হাসান গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করে বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই চরাঞ্চলে এ সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এখানে আধিপত্য বিস্তারের ঘটনা দীর্ঘদিনের। দুই দলের দুই নেতা মরহুম সাহেদ সরকার ও মরহুম সিরাজুল হক চেয়ারম্যান মারা যাওয়ার পর কিছু দিন এই সংঘর্ষ থেমে ছিল। হামলার ভয়ে এলাকাছাড়া সাহেদ সরকারের সমর্থকেরা শুক্রবার ভোরে হঠাৎ গ্রামে উঠতে চাইলে প্রতিপক্ষ সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল হক সমর্থকেরা বাধা দেন। এ নিয়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে এ সংঘর্ষ পার্শ্ববর্তী নিলক্ষা ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের সংঘর্ষে শুক্রবার ভোরে এসএসসি পরীক্ষার্থী তোফায়েল আহম্মদ রানা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় এবং অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিলক্ষা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আরো তিনজন গুলি ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে মারা যান এবং অর্ধশত লোক আহত হন। নিহতরা হলেন- বাঁশগাড়ীর বালুয়াকান্দি এলাকার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ফকিরের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী তোফায়েল হোসেন রানা, নিলক্ষা ইউনিয়নের বীরগাঁও এলাকার মৃত উসমান মিয়ার ছেলে সোহরাব হোসেন, গোপীনাথপুর এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে মো: স্বপন মিয়া ও আমিরাবাদ গ্রামের রেদোয়ান।
জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ছয়বারের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সিরাজুল হক ও সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহেদ সরকারের সমর্থকদের মধ্যে প্রায় দেড় যুগ ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জেরে গত মার্চে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান শাহেদ সরকার। এর ৪০ দিন পর গত ৩ মে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক। এরপর প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান শাহেদ সরকারের সমর্থকেরা। দুই গ্রুপের দল প্রধান মারা গেলেও এখনো তাদের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবারের সংঘর্ষে চারজন নিহত ও অন্তত ৫০ জন আহত হন।।
নিহতদের পরিবারের লোকজন জানান, সিরাজুল হক সমর্থকদের আরো কয়েকজনের লাশের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হতে দেখা যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত চারজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। গতকাল শনিবার দুপুরে অতিরিক্ত ডিআইজি আবুল কালাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি

সকল