১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


নিখোঁজ ৫ জনকে আদালতে উপস্থাপন তিন দিনের রিমান্ড

-

রাজধানীর বিমানবন্দর ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে ১৬ দিন পর ওয়ারী থানায় দায়ের করা বিস্ফোরদ্রব্য আইনের মামলায় পাঁচজনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। তাদেরকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কামরুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই-এর আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
আসামিপক্ষে আব্দুর রেজ্জাক, লুৎফর রহমান, আবুবক্কর সিদ্দিক প্রমুখ আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিনের আবেদন করেন। তারা বলেন, ১৬ দিন আগে তাদের তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়। এতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের প্রার্থনা করছি। শুনানি শেষে আদালত ৫ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। মায়াজ কিশোর হওয়ায় তার বিষয়ে শুনানির জন্য কিশোর আদালতে পাঠিয়ে দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেনÑ টাঙ্গাইলের গোপালপুরের বাঁধাই এলাকার বাসিন্দা ও ঢাকা বারের শিক্ষানবিস আইনজীবী শাফিউল আলম ও তার ছোট ভাই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মনিরুল আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালিয়াডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মো: আবুল হায়াত, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার পশুরিয়া এলাকার বাসিন্দা ও ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শেষবর্ষের শিক্ষার্থী শফিউল্লাহ এবং মোশাররফ হোসেন খান।
ঢাকার ডেমরার সারুলিয়া এলাকার ডগাইর ফাজিল মাদরাসার নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোশারফ হোসাইন মায়াজকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন কিশোর আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক নূরুল আমীন বিপ্লব। সেখানে এক প্রবেশন কর্মকর্তাকে মায়াজকে ২ দিনের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত।
পুলিশ জানায়, শাফিউল আলম ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি, মায়াজ ও মোশাররফ শিবিরের কর্মী, অপর তিন আসামি শিবিরের সাথী। ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে ওয়ারী থানাধীন ২২ নং বনোগ্রাম লেনের ৬ষ্ঠ তলা বাড়ির নিচ তলার রুম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলন করে নিখোঁজের স্বজনরা সংবাদ সম্মেলনে স্বজনদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে শাফিউল আলম ও মনিরুল ইসলামের মা রমিছা খানম বলেন, ‘১২ সেপ্টেম্বর রাতে আমাদের পাঁচ সন্তানকে ডিবি পরিচয়ে সাদা পোশাকধারীরা তুলে নিয়ে গেছে। ওই দিন পবিত্র হজ পালন শেষে আমি ঢাকা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছি। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার জন্য একটি মাইক্রোবাসে উঠি। ঠিক তখনই একদল অপরিচিত লোক আমার দুই ছেলেকে গাড়ি থেকে নামানোর জন্য টানা-হেঁচড়া শুরু করে। তখন আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ওরা তাদের পরিচয়পত্র ও অস্ত্র দেখিয়ে নিজেদের ডিবি পুলিশ দাবি করে। আমি তখন আমার ছেলেদের কী অপরাধ জিজ্ঞেস করি। কিন্তু তারা কিছু না বলে আমার চোখের সামনে থেকে আমার দুই ছেলেকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় গাড়িতে থাকা আমার ছেলের বন্ধু মো: আবুল হায়াতকেও তারা তুলে নিয়ে যায়। পরে ওই রাতেই ডিবি পরিচয়দানকারীরা আমার ছেলে শাফিউলকে নিয়ে গভীর রাতে তার বাসায় যায়। সেখান থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা শাফিউলের বন্ধু অপর দুই রুমমেট শাফিউল্লাহ ও মোশারফ হোসাইন মায়াজকে তুলে নিয়ে যায়।’


আরো সংবাদ



premium cement
শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী সংসদ ভবনের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগকর্মী নিহত জুজুৎসুর সম্পাদকের যৌন নিপীড়নের তথ্য দিলো র্যা ব পানচাষীদের পরিশ্রমের ফসল জিআই স্বীকৃতি : প্রতিমন্ত্রী বগুড়ায় অবৈধ মজুদকৃত ১ লাখ ডিম উদ্ধার তথ্যের জন্য সাংবাদিকরা শতবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যেতে পারেন : ডেপুটি গভর্নর ইসরাইলি হামলায় ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত আফগানিস্তানে গুলিতে ৩ স্প্যানিশ ও ৩ আফগান নিহত বিভিন্ন অপরাধে সাতজনের ফাঁসি কার্যকর করল ইরান কিরগিস্তানে আতঙ্কে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা ‘প্রাচীন হিব্রুদের সাথে ইসরাইলি ইহুদিদের জেনেটিক সংযোগ নেই’

সকল