২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চার সন্তান নিলে কর মাফ, লোনের সুযোগ

- ছবি : সংগৃহীত

ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরিতে জনসংখ্যা কমছে আশঙ্কাজনক হারে। বিশ্বের প্রায় সব দেশে যেখানে কম বেশি জনসংখ্যা বাড়ছে, সেখানে হাঙ্গেরিতে প্রতি বছর কমছে ৩২ হাজার মানুষ।


এ অবস্থা থেকে উত্তরণে নতুন এক উদ্যোগ নিয়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। দেশের নাগরিকরা যাতে বেশি বেশি সন্তান নেয় সেজন্য তাদের করের দায় থেকে মুক্তি এবং সুদমুক্ত ঋণের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর আশা, এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে অভিবাসী ছাড়া কেবল হাঙ্গেরির মানুষ দ্বারাই দেশটির জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।


প্রস্তাবনায় বলা হয়, যেসব হাঙ্গেরিয়ান নারীর চার বা তার অধিক সন্তান রয়েছে, তাদের সারা জীবনের জন্য আয়কর থেকে মুক্তি দেয়া হবে। বেশি বেশি সন্তান জন্ম দেয়ার আগ্রহ তৈরি করতে এ প্রস্তাবনা তৈরি করা হচ্ছে। এতে আরো বলা হয়, সন্তান লালন-পালনে তরুণ দম্পতিদের সুদমুক্ত ৩৬ হাজার ডলার সমপরিমাণ অর্থঋণ দেয়া হবে।


অরবান বলেন, এর মাধ্যমে অভিবাসীদের ছাড়াই হাঙ্গেরির জনসংখ্যা ঠিক রাখা বলে আশা করা যায়। হাঙ্গেরির এই প্রধানমন্ত্রী ও তার ডানপন্থী সরকার অভিবাসন বিশেষ করে মুসলিম অভিবাসনের কড়া বিরোধী।


হাঙ্গেরিতে প্রতি বছর জনসংখ্যা ৩২ হাজার করে কমছে। আর দেশটির নারীপ্রতি সন্তানের হার ইউরোপের গড় হারের চেয়ে অনেক কম।


অরবান বলেন, পশ্চিমা অনেক দেশ তাদের জনসংখ্যার ঘাঁটতি অভিবাসীদের দ্বারা পূরণ করছে। সেসব দেশে একজন নারী সন্তান নিতে চাচ্ছেন না, কিন্তু তার সেই শূন্য জায়গা পূরণ করে দিচ্ছে একজন অভিবাসী। সব মিলিয়ে তাদের জনসংখ্যা ঠিক আছে। কিন্তু হাঙ্গেরির লোকজন এর চেয়ে ভিন্ন কিছু চিন্তা করে। আমাদের এ ধরনের সংখ্যার দরকার নেই। সংখ্যাতত্ত্বে আমরা বিশ্বাসী নই। আমাদের দরকার হাঙ্গেরিয়ান শিশু।


অরবান অভিবাসনের বিরুদ্ধে বরাবরই কড়া অবস্থান নিয়ে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশের সাথে তার মতানৈক্যও হয়েছে।


বুদাপেস্টে সরকারের নীতি সম্পর্কিত এক ভাষণে অধিক সন্তান নেয়ায় ক্ষেত্রে নারীদের এসব সুবিধা প্রদানের ঘোষণা দেন। তার ভাষণের শেষ পর্যায়ে তিনি বলেন, হাঙ্গেরি দীর্ঘজীবী হোক এবং হাঙ্গেরিয়ানদের সাথেই দীর্ঘজীবী হোক।


বর্তমানে হাঙ্গেরির নারীপ্রতি সন্তান জন্মের হার এক দশমিক ৪৫। যেখানে ইউরোপের দেশগুলোর গড় হার এক দশমিক ৫৮। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ হার ফ্রান্সের, এক দশমিক ৯৬। অন্যদিকে সর্বনিম্ন হার স্পেনের; এক দশমিক ৩৩। অন্যদিকে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের ক্ষেত্রে এ হার বিশ্বের সর্বোচ্চ। নারীপ্রতি সন্তান হার সেখানে সাত দশমিক ২৪।

 

সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান


আরো সংবাদ



premium cement
থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা

সকল