২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গবেষণায় যে সব নির্বাচনী অনিয়ম পেয়েছে টিআইবি

-

সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করেছিল টিআইবির গবেষণায়ও সেই অভিযোগগুলো ফুটে এসেছে। টিআইবি দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ৪৫ টি জেলার ৫০টি আসনের নির্বাচন বিষয়ে গবেষণা করে। গবেষণায় ৪৭ টি আসনেই অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে টিআইবি।

টিআইবির গবেষণায় উঠে আসা অনিয়ম গুলো হলো-

- নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালটে সিল মেরে রাখা।

- আগ্রহী ভোটারদের হুমকি দিয়ে তাড়ানো বা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেওয়া।

- বুথ দখল করে প্রকাশ্যে সিল মেরে জাল ভোট দেওয়া।

- ভোটারদের জোর করে নির্দিষ্ট মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করা।

- ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই ব্যালট পেপার ভর্তি বাক্স পাওয়া।

- ভোট শেষ হওয়ার আগেই ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়া।

- প্রতিপক্ষের পোলিং এজেন্টকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেওয়া।

- সব দল ও প্রার্থীর জন্য ইসি সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করতে পারে নি।

- সব দলের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা সমানভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি ইসি।

এছাড়া বৈশ্বিক এ সংস্থাটির গবেষণায় উঠে এসেছে যে ভোটের দিন সারাদেশে বেশিরভাগ কেন্দ্র আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের নেতা-কর্মীদের দখলে ছিল।

অন্যদিকে বেশিরভাগ কেন্দ্রে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট ছিল না, অথবা সকালে তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এসব অভিযোগ সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য অনুযায়ী “কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি ভালো”। অন্যদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক’ ছিল। কিন্তু টিআইবির গবেষণায় দেখা গেছে নির্বাচন কমিশন তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে ব্যর্থ হয়।


এছাড়া গবেষণার অন্তর্ভুক্ত আসনগুলোতে জয়ী প্রার্থীরা গড়ে ১ কোটি ২৭ লাখ ৩৩ হাজার ৮৭৭ টাকা ব্যয় করেছেন। এর মধ্যে একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয় করেছেন বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে।

নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোট, যাদের মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, সিপিবি, খেলাফত মজলিস, বাসদ, গণ সংহতি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট স্মারকলিপি প্রদান করে ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি।

নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সক্রিয় উদ্যোগ নেয়নি। সব দলের সভা-সমাবেশ করার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ছিল না। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমনে সরকারের ভূমিকার প্রেক্ষিতে অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নীরবতা পালন করেছে বা ক্ষেত্রবিশেষে অস্বীকার করেছে।

এছাড়া নির্বাচন কমিশন সব দল ও প্রার্থীর প্রচারণার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে পারে নি, এবং একইসাথে সব দলের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা সমানভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি বলেও গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

নির্বাচনী অনিয়ম ও আচরণ বিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে বিশেষকরে সরকারি দলের প্রার্থী ও নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার উদাহরণও তৈরি করতে পারে নি। এর ফলে নির্বাচন কমিশন যেমন সব দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করতে পারে নি, আবার অন্যদিকে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ আছে কি না তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে মতবিরোধ প্রকাশ পেয়েছে, যা নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থার ঘাটতি তৈরি করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

সকল