২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দেশ ক্রমশ রক্তপাতের দিকে যাচ্ছে : অলি আহমদ

দেশ ক্রমশ রক্তপাতের দিকে যাচ্ছে : অলি আহমদ - ছবি : সংগৃহীত

দেশ ক্রমশ রক্তপাতের দিকে যাচ্ছে। যদি রক্তপাত হয়, এ জন্য দায়ী সরকার। সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ২০ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক এলডিপি চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম এ কথা বলেন।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীদের দেশের বাইরে চলে যেতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ২০ দলীয় জোটের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য চট্টগ্রাম-১১ আসনের প্রার্থী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম-১০ আসনের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম-৫ আসনে ২০ দলের প্রার্থী কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল(অব:) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক, চট্টগ্রাম-১৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ আসনের প্রার্থী সরওয়ার জামাল নিজাম, চট্টগ্রাম-৮ আসনের প্রার্থী আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম-১২ আসনের প্রার্থী এনামুল হক প্রমুখ।

অলি আহমদ বলেন, প্রতিহিংসামূলক রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা চাই জনগণ যেন নিরাপদে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। কিন্তু এখনও বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অব্যাহত আছে। সরকার দেশে অশান্তি চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, শান্তি চাই। কিন্তু সরকার চায় অশান্তি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, আপনি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেন।

তিনি বলেন, এখন অবস্থা এমন যে, হাতের কাছে যাকে পায়, তাকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। জামিন নেওয়ার যখন সময় হয় তখন তাকে আরেকটি মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। যারা এ কাজ করছেন তাদের বলতে চাই, আপনারা কি সৃষ্টিকর্তাকে ভয় করেন না? আপনারা কি মনে করেন না, অন্যায় কাজে লিপ্ত থাকলে শাস্তি পাবেন।

অলি আহমদ বলেন, পূর্বে যারা অন্যায় কাজ করেছেন তাদের সন্তান, স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের অপমৃত্যু হয়েছে। অনেকেই কারাবরণ করেছে। এটি আল্লাহর স্বাভাবিক শাস্তি।

তিনি বলেন, এখন মনে হচ্ছে আমরা নিজের দেশে পরাধীন। আমাদের কোনো বক্তব্য নেই, ন্যায়বিচার নেই। যখন প্রথমে জামিন নিয়ে জজকোর্টে যাচ্ছে তখন কোর্ট বিচারের জন্য সময় দিচ্ছে না।

বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সরকারের কথায় কাজ করবেন না। আপনারা জনগণের বন্ধু। জনগণ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেন। ঘরে ঘরে ঢুকে ভয় দেখাবেন না। 

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা ঐক্যফ্রন্ট থেকে যে ৭ দফা দাবি করেছি তার একটিও পূরণ হয়নি। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে এখনও পর্যন্ত সন্ধিহান। এরপরও আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি, যাতে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসে। আমরা কাল থেকে গণসংযোগ করবো, ক্যাম্পেইন করবো- এতে যেন কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন না হই। কাল থেকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কার্যক্রম জনগণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। তারা সাংবিধানিক ভূমিকাটুকু পালন করছে কি-না।

তিনি বলেন, প্রতিটি এলাকায় এখনও পর্যন্ত পুলিশের অভিযান চলছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে নেতাকর্মীদের। এর মানে সরকার চাইছে জনগণকে বাইরে রেখে আরও একটি নীলনকশার নির্বাচন।

আমীর খসরু বলেন, সরকারদলীয় প্রার্থীরা দুই মাস আগে থেকে প্রচারণা চালিয়ে নির্বাচনী আইন লংঘন করছে। কিন্তু আমরা আইনের প্রতি সম্মান রেখে নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত থেকেছি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবো, তাদের সহযোগিতা করবো। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কখনো শ্রদ্ধাশীল হবো না।

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, জনগণ এখন ভোট দিতে বদ্ধ পরিকর। তারা বলছে, এবারে কোনো শক্তি তাদের থামাতে পারবে না। সরকার জনগণের ভয়ে এবার ভিন্ন কৌশল নিয়েছে। বিএনপি প্রার্থীদের ঘরে ঘরে গিয়ে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু আমরা পিছপা হবো না।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল