১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


নির্বাচনের তারিখ কেন পেছাতে চায় ঐক্যফ্রন্ট?

আওয়ামী লীগের সাথে সংলাপের সময় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের একাংশ - সংগৃহীত

সংসদ নির্বাচনের তারিখ আরো পেছানোর দাবিতে আজ নির্বাচন কমিশনে কথা বলতে যাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

বিরোধীদের দাবির মুখে নির্বাচন ইতোমধ্যে এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে। কিন্তু জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বলছে, এটি যথেষ্ট নয়।

সেই দাবি নিয়ে আজ নির্বাচন কমিশনে যাবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

নির্বাচন আরো পেছানোর পক্ষে তাদের যুক্তিগুলো কী?

এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল গণফোরামের নেতা মোস্তাফা মহসীন মন্টু বিবিসিকে জানান, নির্বাচনী প্রস্তুতির জন্য শরিক দলগুলোর যে সময়টুকু দরকার সেটা যথেষ্ট নয়।

তিনি বলেন, "একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে গেলে প্রার্থীদের যার যার এলাকায় থাকা প্রয়োজন এবং কমপক্ষে এক মাস ধরে প্রচার ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করতে হয়।"

তিনি বলেন, "প্রার্থীরা যারা আছেন তাদের সমর্থকদের বেশিরভাগই মামলা মোকদ্দমা নিয়ে ফেরারি হয়ে আছেন। সে বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে।"

"এখানে হঠাৎ করে নির্বাচন কমিশন তফসিলটা ঘোষণা করলেন এরপর তারা মাত্র সাতদিন পেছালেন, আমাদের কিন্তু দাবি ছিল আরো একমাস পিছিয়ে দেয়া।"

নির্বাচনের একটা সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে গেলে প্রার্থীদের প্রচার কাজে সহযোগিতা করা যেমন, লিফলেট বিতরণ, পোস্টার টানানো, তারপর মিছিল মিটিং করা - এসব নানা কাজের জন্য একটা পরিবেশ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন শেষ করার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনেরও একটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এ বিষয়ে মোস্তাফা মহসীন মন্টু বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর সাথে দুই দফা সংলাপে ড. কামাল হোসেন সংবিধানের মধ্যে দিয়েই নির্বাচনটা যে হতে পারে এবং নির্বাচনটা পেছানো যেতে পারে সেই ব্যাখ্যাগুলো দিয়েছেন।"

আজ তারা যে কাগজটা নির্বাচন কমিশনে জমা দেবেন, সেখানে সেই বিষয়গুলো লিপিবদ্ধ করা আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তবে নির্বাচন কমিশন যদি ভোট গ্রহণের তারিখ না পেছায় তখন পরিবেশ পরিস্থিতি চিন্তা করে আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান মোস্তাফা মহসীন মন্টু।

তিনি বলেন, "নির্বাচনে আমাদের সাত দফা এবং ১১ দফা কর্মসূচি কিছুই তো মানা হয়নি। তারপরও কিন্তু জাতীয় স্বার্থে আমরা একটা নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করেছি।"

"আমরা পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে, সবার সাথে আলোচনা করে যা সিদ্ধান্ত নেয়ার নেব।"

তবে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে যে সমস্ত দাবিগুলো তোলা হয়েছে সেগুলো সরকারের ওপর এক ধরণের চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবে তোলা হয়েছে বলে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে।

এ প্রসঙ্গে মোস্তাফা মহসীন বলেন, "ভোটাধিকার ও তা প্রয়োগের মাধ্যমেই জনগণ যাচাই করে যে তারা কাকে সংসদে দেখতে চাইছে, কারা সরকার গঠন করবে, কারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। মানুষের এই সিদ্ধান্ত নিতে উপযুক্ত পরিবেশ দিতেই হবে।"

"যদি সেই পরিবেশই না থাকে, মানুষ যদি ইচ্ছামতো ভোট দিতে না পারে, কার্যক্ষেত্রে যদি বাধা প্রদান করা হয়, বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমায় কর্মীদেরকে সরিয়ে রাখা হয়, তাহলে তো অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করতে করা যাবে না।"


আরো সংবাদ



premium cement
কিরগিজস্তানে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ সরকারি কেন্দ্রে ধান বেচতে পারে না কৃষক, লাভ খাচ্ছে দালালরা ব্যবসা সম্প্রসারণে ইএসজি কমপ্লায়েন্স রিপোটিং স্ট্যান্ডার্ড থাকা জরুরি জীবন দিয়ে দেশবিরোধী অপশক্তিকে মোকাবেলা করবো : বাহাউদ্দিন নাছিম পাটকলগুলো নিয়ে নতুন করে চিন্তা করছে সরকার ধনবাড়ীতে পুলিশ পিটিয়ে হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়েছে আসামি যে কারণে ডিবিতে গিয়েছিলেন মাওলানা মামুনুল হক? ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডুসেন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ সাফল্য পেয়েছে : আইজিপি বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে : রেলপথমন্ত্রী বাংলাদেশের আসছেন ‘ওসমান বে’

সকল