২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ায় ঢাবি ছাত্রের আত্মহত্যা!

নিহত সৌমিক মিত্র সবুজ - সংগৃহীত

মিডটার্ম পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় অর্থ্যাৎ কম নম্বর পাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মেধাবী ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। নিহত ছাত্রের নাম সৌমিক মিত্র সবুজ (২২)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দি ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে শুক্রবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সবুজ ওই গ্রামের মৃত নিরঞ্জন মিত্রের ছেলে। এ ব্যাপারে গলাচিপা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডটার্ম পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল না পাওয়ায় সবুজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে বাড়িতে চলে আসে। পরে শুক্রবার ভোররাতের কোনো এক সময় ঘরের পিছনের আম গাছের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সবুজ।

পরে ভোর ৬টার দিকে সবুজের বড় বোন সাবিত্রী রানী ঘুম থেকে উঠে বাইরে বের হয়ে সবুজকে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। সে ডাক চিৎকার দিলে সকলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এরপর স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।

পরে গলাচিপা থানার এসআই জাকির হোসেন ঘটনাস্থল থেকে নিহত সবুজের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহত সবুজের ভগ্নিপতি ঝন্টু দেবনাথ বলেন, সবুজের বড় বোন সাবিত্রী রাণী শুক্রবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে আম গাছের সঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। একটি বিষয়ে নম্বর কম পাওয়ায় সবুজের মন-মেজাজ খারাপ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে- এ কারণেও সে আত্মহত্যা করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, সবুজ তার ফেসবুকে ‘হাতের লেখা এত গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে একটা স্ট্যাটাস দেন।

ঝন্টু দেবনাথ অভিযোগ করেন, যে ছাত্র প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় বিভাগের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন, দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা তার কিছুতেই খারাপ হতে পারে না। নিশ্চয় এর মধ্যে রহস্য লুকিয়ে আছে।

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর গোলাম রাব্বানী বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। এ ব্যাপারে খোঁজ নেয়ার জন্য একজন শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার ওসি মোঃ আখতার মোর্শেদ জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহত সবুজের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ওসি মোঃ আখতার মোর্শেদ আরো বলেন, এলাকায় সবুজের কোনো শত্রু, প্রেমের সম্পর্ক বা বন্ধু নেই। তারা গরিব মানুষ। তার ছোট বোন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ও বড় ভাই ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে।

আরো পড়ুন : অভাবের তাড়নায় ঢাবি ছাত্রের আত্মহত্যা!
নয়া দিগন্ত অনলাইন, (১৬ অক্টোবর ২০১৮)

পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে সুইসাইড নোট লিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মেধাবী ছাত্র জাকির হোসেন (২২) আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার ভোরে নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের পীরগঞ্জের কুমেদপুর ইউনিয়নের বগেরবাড়ী গ্রামের দরিদ্র কৃষক মোস্তাফিজার রহমান বুদার তৃতীয় সন্তান জাকির হোসেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে রোববার রাতে বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় জাকির হোসেনের। পরে বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে সোমবার ভোরে সবার অজান্তে নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

এ ব্যাপারে ভেণ্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, জাকির হোসেন মৃত্যুর আগে তার ডায়েরির পাতায় ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’ এমন সুসাইড নোট লিখে গেছে। তবে সংসারে অভাব-অনটন তার আত্মহত্যার মূল কারণ।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মমিনুর রহমান বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করেছেন। তার অকালমৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল