কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদকে হত্যার হুমকি!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ মার্চ ২০১৯, ১২:১৯
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক ও সদ্য সমাপ্ত ডাকসু নির্বাচনে জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী মোহাম্মদ রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার বিকেলে রাশেদের গ্রামের বাড়িতে তার মাকে এই হুমকি দেয়া হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া জনপ্রিয় এই ছাত্র নেতা পুনরায় কোনো আন্দোলনে নেতৃত্ব দিলে তাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা।
এদিকে ছেলেকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি শুনে রাশেদের মা সালেহা বেগম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর তিনি জ্ঞান ফিরে পান। বর্তমানে তিনি ঝিনাইদহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, বুধবার বিকেলে দুই ব্যক্তি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চরমুরাড়ীদহ গ্রামে রাশেদের বাড়িতে গিয়ে রাশেদকে হত্যার হুমকি দেন। এসময় পরিবারের সদস্যরা ওই দুই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে তারা পরিচয় না দিয়ে ফিরে যান। এরপরই অসুস্থ্য হয়ে পড়েন রাশেদের মা সালেহা বেগম।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের জনপ্রিয় নেতা মোহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, বুধবার দুই ব্যক্তি মোটর সাইকেলে করে আমাদের বাড়িতে যান। তারা আমার মা বাবাকে হুমকি দিয়ে বলেন, রাশেদ আন্দোলন করছেন এবং সরকারবিরোধী কথাবার্তা বলছেন। তাকে শেষবারের মতো সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে। এরপর এসব করলে বা কোনো আন্দোলনে নেতৃত্ব দিলে তাকে গুলি করে মেরে ফেলা হবে।
রাশেদ আরো বলেন, এরপরই মা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। আড়াই ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরেছে। আপনারা আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন।
তিনি বলেন, এর আগেও আমাকে এমন হুমকি দেয়া হয়েছে।
এদিকে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। রাশেদের পরিবারের পক্ষ থেকেও কিছু জানানো হয়নি পুলিশকে।
আরো পড়ুন : কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদকে তুলে নেয়ার অভিযোগ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, (০১ জুলাই ২০১৮)
কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানসহ দুইজনকে তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার দুপুর পৌনে দুইটায় ডিবি পরিচয়ে তাদের তুলে নেয়া হয় বলে আন্দোলনের আহ্বায়ক ও রাশেদ খানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, দুপুরে মিরপুর ১৪ নম্বরের ভাষানটেক বাজার এলাকার মজুমদার মোড়ের ১২ নম্বর বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি। এ সময় রাশেদের সাথে থাকা মাহফুজ খান নামে আরেকজনকে ধরে নেয়া হয়।
এ বিষয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, আমাদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান ও মাহফুজ খানকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। এসময় সাদা পোশাকের পুলিশ ছাড়াও পোশাকধারী পুলিশ ছিল বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে রাশেদ খানের স্ত্রী রাবেয়া আলো বলেন, ‘রাশেদকে ডিবি পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তুলে নিয়ে গেছে বাসা থেকে। এ সময় তাকে অনেক মেরেছে।’ এ বলে কান্না করতে থাকেন তিনি।
রাবেয়া জানান, তিনি এখন থানায় জিডি করতে যাচ্ছেন।
এদিকে রাশেদকে তুলে নেয়ার আগে ফেসবুক লাইভে এসে এ বিষয়ে কথা বলেন রাশেদ। তাকে ধরার চেষ্টা করা হলে তিনি পালিয়ে বাসায় চলে আসেন এবং পুলিশ সদস্যরা এসে দরজায় ধাক্কাচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ করেন।