১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


চট্টগ্রাম বন্দরের সমূহ সম্ভাবনা

কাজে লাগাতে হবে এটাকে

-

চট্টগ্রাম বন্দর বঙ্গোপসাগর উপকূলে সবচেয়ে ব্যস্ত বন্দর। বাংলাদেশের আমদানি-রফতানির ৯২ শতাংশ সম্পাদন হয় এই বন্দর দিয়ে। এ অঞ্চলের পণ্য পরিবহন ও বাণিজ্যে এ বন্দর ভূমিকা রাখতে পারে। ঠিকভাবে এর ব্যবহার করা গেলে জাতীয় অর্থনীতিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এ বন্দর। প্রথমত, দেশের আমদানি-রফতানি দুটোই দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এর বাইরে এ অঞ্চলের ভূমি পরিবেষ্টিত নেপাল ও ভুটান এ বন্দর ব্যবহার করতে চায়। তাদের সুযোগ করে দেয়ার মাধ্যমে অর্থনৈতিক লাভালাভ হিসাব করে নিতে পারে বাংলাদেশ। ভারত চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের সুযোগ এর মধ্যে গ্রহণ করেছে। পশ্চিমবঙ্গ-ত্রিপুরাসহ দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যের বিপুল আমদানি-রফতানি এ বন্দর দিয়ে করার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশকে অগ্রসর হতে হবে। বাস্তব চাহিদার সাথে চট্টগ্রাম বন্দর তার পরিধি বাড়াতে পারেনি। তাই বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এর পুরো সুযোগ নিতে পারছে না বন্দরটি। এখন বন্দরের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দক্ষতার সাথে এসব উন্নয়নকাজ সম্পন্ন করে এর পরিপূর্ণ ব্যবহার করা গেলে অর্থনীতিতে আরো ভালো অবদান রাখতে পারবে চট্টগ্রাম বন্দর।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের ১৩২তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে বন্দরের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এ বন্দরের সমূহ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ জানান, সমুদ্র অর্থনীতিকে গতিশীল করতে বন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে। মাইনিং পোর্ট ও মৎস্য পোতাশ্রয় নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় সবুজ বন্দর ধারণার আলোকে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে বন্দর ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকি বেড়েছে। সে জন্য নতুন পরিকল্পনায় সবুজ বন্দর ধারণাটির উদ্ভব। সে লক্ষ্যে বন্দরের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের কাজ সময়োপযোগী পদক্ষেপ। চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করে চারটি বড় প্রকল্পের কথা জানান তিনিÑ বে-টার্মিনাল, পতেঙ্গা টার্মিনাল, কর্ণফুলী কনটেইনার টার্মিনাল ও লালদিয়া মালটিপারপাস টার্মিনালের কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে। বে-টার্মিনাল চালু হলে বন্দরের সক্ষমতা তিন গুণ বাড়বে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের প্রত্যাশা রয়েছে বলে জানান তিনি। চারটি বড় প্রকল্প সম্পন্ন হলে বন্দরের সক্ষমতা বেশ কয়েক গুণ বেড়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আশাব্যঞ্জক ব্যাপার হচ্ছে বন্দরে জট ইতোমধ্যে অনেকটা কমেছে। ইয়ার্ড ও টার্মিনাল সম্প্রসারণের ফলে এমনটা হয়েছে বলে জানান বন্দরের চেয়ারম্যান। বন্দরে এখন জাহাজ ও কনটেইনার জট নেই বলে দাবি করছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। মার্চ মাসে ৩২টি জাহাজ বন্দরে এসেই জেটিতে ভেড়ার সুযোগ পেয়েছে। সাত নটিক্যাল মাইল থেকে বাড়িয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সীমানা ৫৪ নটিক্যাল মাইল করা হয়েছে। এখন বন্দরের সীমা সীতাকুন্ড থেকে কুতুবদিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এতে করে বন্দরের আয়ও বাড়ছে। ইকো ট্যুরিজমকে জনপ্রিয় করতে নৌপথে যাত্রী পরিবহনের উদ্যোগের কথা জানান বন্দর চেয়ারম্যান। ২০২৫ সালের মধ্যে ক্রুজ টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।
বন্দরের চেয়ারম্যান জানাচ্ছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সমূহ উন্নয়নের কথা। বাস্তবে দীর্ঘ দিন এই বন্দর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। এই বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো হয়নি। এর সাথে উৎপাত হিসেবে বিভিন্ন সময় যুক্ত হয়েছে রাজনীতি। অনেকে এই বন্দরকে অচল করে দিয়ে বারবার রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করেছে। এমনটা যেন আর না হয়। দীর্ঘ দিন ধরে এই বন্দরের প্রয়োজনীয় উন্নয়ন হয়নি। আমরা মনে করি, যে বড় বড় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেগুলো সময়মতো বাস্তবায়ন করা হবে। বন্দরের পুরো সম্ভাবনাকে ব্যবহার করা গেলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। এ দেশের অর্থনীতি গতিশীল হবে। এর সুফল পাবে পুরো দেশবাসী।


আরো সংবাদ



premium cement
এক বছর পর দাউদকান্দিতে ড. মোশাররফ গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবিতে সুষ্ঠুভাবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন রাজধানীতে আ’লীগের শান্তি সমাবেশ আজ কুয়াকাটা সৈকতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সমুদ্রস্নান সরকারি হাসপাতালে অবৈধ ক্যান্টিন ও ওষুধের দোকান বন্ধের নির্দেশ ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে আ’লীগ জনগণকে নাগরিক হিসেবে বাতিল করেছে : জোনায়েদ সাকি ইবিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন মালয়েশিয়ায় বিএমইটি কার্ডের নামে প্রতারণার ফাঁদ : সতর্ক করল দূতাবাস ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল আল মাহমুদপুত্র মীর তারিকের ইন্তেকাল

সকল