২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাহিত্য কবিতাবলী

-

জাহাঙ্গীর ফিরোজ
হয়নি বলা

কথার মালা গাঁথব বলে
কথার বনে এসে
কোন্ কথাটি গন্ধকুসুম
কোন্ কথাটি কুসুম কুসুম
কোন্ কথাটি হলুদ বরণ
কোন্ কথাটি লাল।
এসব ভেবে সন্ধ্যা এলো
দিন ফুরোল রাত ফুরোল
হয়নি বলা আর।

এমন কেন হয়
কে দেখালো ভয়?

মনের খাঁচায় গুমরে মরে
কথক পাখি আজ

সোলায়মান আহসান
তুমি রবে চিরকাল

আর তো হবে না দেখা, নিয়মের আগলে অদ্ভুত
আমাদের আঙিনাকে শূন্য করে দিয়েছো উড়াল
যতই বিলাপ করিÑ বেদনার্ত স্বরে ডাকে কাল,
জানি হে তোমার দেখা মিলবে না আল মাহমুদ!
এভাবে সকলে যায় যাওয়ার আদিম বিধান,
প্রস্থানের চিহ্নরেখা না রেখে অকালযবনিকা
অথচ তোমার বেলা ভিন্ন এক শিষ্ট অহমিকাÑ
কেননা তোমার সৃষ্টি বেঁচে রবে দিয়েছে জানান।

সাহিত্যের মরুপথে হেঁটে ক্লান্ত হয় বহু লোক
মরীচিকা টেনে নেয় অন্ধকার মরু ভূগহ্বরে
জীবন হারিয়ে শেষে পায় শুধু নিষ্করুণ শোক
এমন কঠিন যাত্রা, যে করে সাহসী অম্বরেÑ
সে পারে বিজয়ী হতে, তার নাম লিখে মহাকাল
তেমনি বীরের পাশে বেঁচে রবে তুমি চিরকাল।

অমিতাভ মীর
অনুভবে তুমি

তুমি দ্যাখোÑ দৃশ্যহীন রেখায় বয়ে যাওয়া স্বপ্ন,
আমি যেদিকে তাকাই, সব কিছুই তো দৃশ্যমান দেখি;
থ্রি ডাইমেনশনাল ইমেজে প্রকৃতি মগ্ন।
তুমি বর্ণহীনের কথা বললে, তাই না?
এত বর্ণালী তবুও, রঙ চোখে পড়ে না তোমার?

দৃশ্যমান না হলে, তা দৃশ্যহীন,
অথবা বর্ণালী নেই বলে, তা নিছক বর্ণহীন,
এমন কথা, আমি কিন্তু মানি না;
এ যুগে এমন কথা মানাও যায় না।
এত বর্ণ ও দৃশ্যের যিনি স্রষ্টাÑ
তিনিও কি তবে দৃশ্যমান নন?

অগণিত বর্ণ ও দৃশ্যের গভীর আড়ালেÑ
অতি বর্ণিল ও অতি দৃশ্যমান সেই সত্তা,
নিছক ধারণায় বর্ণহীন, দৃশ্যহীন, অস্তিত্বহীন।
অনপেক্ষ চেতনার অনুভবে সে দৃশ্যহীন সত্তাÑ
হৃদয়ের গভীরে অতিসংবেদনশীল, বিচিত্র,
আর প্রচণ্ড দৃশ্যমান, মূর্তিমান সে তো বটেই;
যদি নিজেকে নিরিখ করে থাকো দেখতে পাবেই।

আরিফ বখতিয়ার
প্রেতের আবাস

দখিনা হাওয়ার স্রোত ঢেলে যায় একবিন্দু ক্ষোভ
সভ্যতা! কখনো ছিলো না ঢের,
দু’খণ্ড নালার জমি কাঠফাটা রোদে পোড়ে ফের।
দড়িছেঁড়া বাছুর ছোটে ওলানের বাঁটের খোঁজে
কাছে পেয়ে চুষে দেখে পচা পুঁজ জমা আছে তাতে
কার ক্ষোভে জমা হয় পচা পুঁজ দুধের বদল?

বীভৎস সাপের চোখ হাঁ করে তেড়ে আসে শহরের দিকে
মৃত্যুর মিছিল গেছে পাহাড়ি ঢলের মতো অস্বাভাবিক বেগে
কেনই বা স্বাভাবিক হলো না মিছিল?
কেন এই পথ কাঁপে নেকড়ের থাবায়?
এই শহরে আত্মা নেই, প্রেতেরাই করে বসবাস
মানুষের রূপ ধরে মানুষের মন করে চাষ।

খুরশীদ আলম সাগর
মানুষ চেনা দায়

সুযোগ বুঝেই কেউ বা খুঁজে কলাপাতায় খির
মণ্ডামিঠাই বোঝে না কী চাই রে, হাওয়া মিঠাই?
হায়রে খোদা পালের গোদা অযথা সব ছিটাই
দিন শুরুতেই যেমন তেমন বিকালে অস্থির।

কেউবা আবার করে সাবাড় নাড়িয়ে দেয় ভিত
আগুন নেশায় কেউবা মেশায় প্রীতির সাথে বিষ
সুখের আশায় মুখের ভাষায় বাজিয়ে চলে শিস
তারপরেও পদলেহীর ঘুণাক্ষরে ফেরে না সম্বিৎ।

কেউবা বানায় রঙ্গশালা কেউবা ছোটে দিগবিদিক
কেউবা আবার পাশাখেলায় দেয় কাঁপিয়ে চতুর্দিক
জীবন বাঁকে পড়ে থাকে যায় না বলা কোনটি ঠিক
এলো-চালে লুকিয়ে হাসে ঘৃণিত ঐ মোনাফিক।

খুব সকালে নতুন হালে লাফায় কয়েক ফন্দিবাজ
তাদের পেশায় ভাবের নেশায় কেউ বোঝে না কিছু
তারাই আবার লক্ষ্মী বাবার হাটে পিছু পিছু
আট কপালে যারা আছে তাদের মাথায় পড়ে বাজ।

এ বাজারে হাজার হাজার বসন্ত কোকিল মেলা
অকারণে লাগায় আগুন সাপলুডু তার খেলা।


আরো সংবাদ



premium cement
দেশের জন্য কাজ করতে আ’লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর শনিবার যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ ওলামা দলের আংশিক কমিটি ঘোষণা নোয়াখালীতে ইয়াবাসহ গৃহবধূ গ্রেফতার জুলাইয়ে ব্রাজিল সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিলো ভানুয়াতু বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার

সকল