২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নারায়ণগঞ্জে ১৪ জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

নারায়ণগঞ্জে ১৪ জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার - ফাইল ছবি

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিনসহ বিভিন্ন দলের ১৪জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। যার মধ্যে ৯ জন লিখিত আবেদনের মাধ্যমে ও ৫ জন কাঠামোগতভাবে প্রত্যাহার হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার সহকারী রিটানিং অফিসার মো. আতাউর রহমান।

রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা রিটানিং অফিসার রাব্বী মিয়ার হাতে ওই ৯জন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের লিখিত আবেদন পত্র জমা দেন।

তবে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেননি নারায়ণগঞ্জ- ৩ (সোনারগাঁ) আসনের সতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। এই আসনটি মহাজোটের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ।

মনোনয়ন প্রত্যাহারকারীরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল, নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসন থেকে মোস্তফা আমীর ফয়সাল, বাংলাদেশ কল্যান পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস, নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপি প্রার্থী জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা বিএনপির সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির হিমাংশু সাহা ও নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর ও বন্দর) আসন থেকে বাংলাদেশ কল্যান পার্টির মো. আল আফতাব।

একই দলের হওয়ায় প্রার্থীতা প্রত্যাহার হয়েছে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসন থেকে জেলা বিএনপির সদস্য আতাউর রহমান খান আঙ্গুর ও নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর ও বন্দর) আসনে মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম ও ২০ দলীয় জোটের সাঈদ আহমেদ।

৫টি আসনে লড়াইয়ে ৩৭ জন প্রার্থী
নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে নির্বাচনী যুদ্ধের জন্য মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীতা চূড়ান্ত হয়েছে। তবে এর বাইরেও ইসলামী আন্দোলন, সিপিবি, বাসদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীরা রয়েছেন লড়াইয়ে।

জানা গেছে, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইস্যুতে নিজেদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন ১৪ জন প্রার্থী। লড়াইয়ে রয়েছেন ৩৭ জন প্রার্থী।

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী মহাজোটের এবং বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান মনির জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে মহাজোট ইস্যুতে প্রত্যাহারের কথা থাকলেও জাতীয় পার্টি দলীয় প্রার্থী আজম খান প্রত্যাহার করেননি। এছাড়া লড়াইয়ে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ইমদাদুল্লাহ হাসেমী, সিপিবির মোঃ মনিরুজ্জামান চন্দন, স্বতন্ত্র মোঃ হাবিবুর রহমান।

নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবুকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে নজরুল ইসলাম আজাদকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এছাড়া লড়াই রয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নাসির উদ্দিন, কমিউনিস্ট পার্টির হাফিজুল ইসলাম, জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল।

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টি দলীয় বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আজাহারুল ইসলাম মান্নানকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে এখনো অনঢ় অবস্থানে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। তিনি প্রত্যাহার করেননি। এছাড়া লড়াইয়ে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনিত আলহাজ্ব মোঃ সানাউল্লাহ নূরী, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মনোনীত প্রার্থী মজিবুর রহমান মানিক, সিপিবির আব্দুস সালাম বাবুল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির এএনএম ফখরুদ্দিন। তবে এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী এরশাদের পালিত কন্যা অনন্যা হোসাইন মৌসুমী তার বৈধতা ফিরে পাওয়া নিয়ে রয়েছে বিভ্রান্তি।

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী মুফতী মনির হোসেন কাসেমীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। লড়াইয়ে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, বাসদের সেলিম মাহমুদ, সিপিবির ইকবাল হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মাহমুদ হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশ ন্যাপ এর ওয়াজিউল্লাহ মাতব্বর অজু, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মোঃ জসিম উদ্দিন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ইস্যুতেকৃষক শ্রমিক জনতালীগের শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার ও মহাজোট ইস্যুতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালাউদ্দিন খোকা মোল্লার প্রত্যাহার করার কথা থাকলেও তারা তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেননি।

নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর ও বন্দর) আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা সাবেক এমপি এস এম আকরামকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। লড়াইয়ে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবুল কালাম মুন্সী, সিপিবির অ্যাডভোকেট মন্টুঘোষ, বাসদের আবু নাঈম খান বিপ্লব, ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের বাহাদুর শাহ মুজাদ্দেদী, খেলাফত মজলিশের মনোনিত হাফেজ মোঃ কবির হোসেন, জাকের পার্টির মোর্শেদ হাসান।

নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটানিং অফিসার মোঃ আতাউর রহমান বলেন, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন ৯জন। এছাড়াও একই দলে একাধিক প্রার্থী থাকায় এবং দল থেকে একজনকে চূড়ান্ত করাই কাঠামোগত ভাবে ৫জনের প্রার্থীতা প্রত্যাহার হয়ে গেছে। ফলে ৫টি আসনে প্রার্থী রয়েছেন ৩৭জন।


আরো সংবাদ



premium cement
মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি ইতিহাস গড়া জয় পেল পাঞ্জাব

সকল