২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কসবায় স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ

কসবায় স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ - ছবি : সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় স্বামীকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে পালক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা গৃহবধূর স্বামী গত সোমবার রাতে রেজাউল (৩৫) ও আলী মিয়া (৩৭) নামের দুই যুবকের বিরুদ্ধে কসবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ মামলা রজ্জু করে মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে ধর্ষিতা গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে। তবে বুধবার পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত রোববার গভীর রাত সাড়ে ৩টার দিকে কসবা উপজেলা খাড়েরা ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের মহসিন মিয়ার ছেলে রেজাউল মিয়া (৩৫) ও কানু মিয়ার ছেলে আলী মিয়া (৩৭) সিধ কেঁটে একই গ্রামের এক রিক্সা চালকের (৫০) ঘরে প্রবেশ করে। তারা কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই গৃহস্বামীকে ধরে ঘরের বাইরে নিয়ে বাড়ির কাঁঠাল গাছের সাথে বেঁধে ফেলে। এ সময় তাদেরকে অস্ত্রের মুখে পণবন্দি করে রাখায় স্বামী-স্ত্রী কেউ চিৎকার করার সাহস পাননি।
পরে অভিযুক্তরা স্বামীকে মুখ বাঁধা অবস্থায় গাছে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে ঘরে নিয়ে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী পালক্রমে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে গৃহবধূ জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আসামিরা পালিয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ পর গৃহবধূর জ্ঞান ফিরে এলে তার স্বামীকে গাছে বাঁধা অবস্থা থেকে মুক্ত করে ঘরে আনেন।
এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী  গত সোমবার ওই দুই যুবককে আসামি করে কসবা থানায় মামলা দায়ের করেন।

কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল মালেক বলেন, ধর্ষিতা গৃহবধূর স্বামীর দায়েরকৃত এজাহার থানায় রজ্জু করে ভিকটিমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়েছে। ডাক্তারী পরীক্ষার রেজাল্ট পেলে ধর্ষণের বিষয়টি ভালোভাবে নিশ্চিৎ হওয়া যাবে। তবে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আরো পড়ুন :

বিবিসি

খ্রিস্টান বিশপের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, আন্দোলনে সন্ন্যাসিনীরা

ভারতে রোমান ক্যাথলিক চার্চের একজন নান বা সন্ন্যাসিনী ওই চার্চেরই একজন বিশপের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলার পর তাকে গ্রেফতারের দাবিতে নানরা আন্দোলন শুরু করেছেন।

কেরালার কোচিতে বেশ কয়েকজন নান এই দাবি নিয়ে পথে নামলেও অভিযুক্ত যাজককে গ্রেফতার তো দূরের কথা, পুলিশ তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। ইতিমধ্যে ওই বিশপ বিবিসির কাছে দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।


ভারতের জাতীয় মহিলা কমিশন ও নারীবাদী অ্যাক্টিভিস্টরা অবশ্য আন্দোলনকারী নানদের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন।

ভারতে ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইন এখন এতটাই কড়া যে কোনো ধর্ষিতা নারী পুলিশে অভিযোগ করা মাত্র অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে আইনত বাধ্য।

অথচ রোমান ক্যাথলিক চার্চের একজন নান বেশ কিছু দিন আগে জলন্ধরের বিশপ ফ্রাঙ্কো মুল্লাক্কালের বিরুদ্ধে টানা দুবছর ধরে তাকে অন্তত ১৩ বার ধর্ষণ করার মারাত্মক অভিযোগ আনলেও পুলিশ এখনো ওই যাজককে আটক করেনি।

বিশপকে গ্রেফতারের দাবিতে কোচিতে কেরালা হাইকোর্টের কাছেই মঙ্গলবার থেকে ধরনায় বসেছেন সন্ন্যাসিনীরা।

সিস্টার অনুপমা নামে একজন নান বলছিলেন, "আমরা ন্যায় বিচার চাই - আর তাই বিশপকে গ্রেফতার করতে হবে। যারা দোষী, তাদের শাস্তি পেতেই হবে - আমরা শুধু এটুকুই বলছি।"

"আমরা আমাদের চার্চে সিস্টার রেজিনার মতো সিনিয়র নানদের কাছেও বোন-সুলভ বা মাতৃ-সুলভ সহানুভূতি পাইনি, তারাও চার্চের পুতুলের মতো ব্যবহার করছেন। এখন আমাদের দাবি আদায়ে যতদূর যেতে হয় আমরা যাব।"

যে সন্ন্যাসিনী ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন, ইতিমধ্যে তার চরিত্র নিয়ে চার্চ কর্তৃপক্ষ নানা কুৎসা প্রচার করছেন বলেও বলা হচ্ছে।

কেরালার একজন স্বতন্ত্র খ্রিষ্টান এমএলএ সাংবাদিক বৈঠক করে ওই নানকে যৌনকর্মী বলেও গালাগাল দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড়ও উঠেছে।

জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা যেমন বলছেন, "দেশের যে আইন প্রণেতাদের নির্যাতিতা নারীদের পাশে দাঁড়ানোর কথা, তারা যখন এ ধরনের মন্তব্য করেন তখন আমাদের লজ্জায় মাথা কাটা যায়।"

প্রবীণ বামপন্থী নেত্রী সুভাষিণী আলিও আন্দোলনকারী নানদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

সুভাষিণী আলির কথায়, "সন্ন্যাসিনীরা যখন এভাবে নিজের সংগঠনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলেন, তার জন্য আসলে অনেক সাহস লাগে। এটা বুঝতে হবে - একদিন নয়, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে তারা চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলেই আজ তারা নিজেদের চার্চের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন।"

তবে সুভাষিণী আলির দল সিপিএমই এখন কেরালার ক্ষমতায়, কিন্তু কেরালার প্রভাবশালী ক্যাথলিক খ্রিষ্টান লবির চাপেই তারা অভিযুক্ত বিশপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছে - এই অভিযোগও উঠছে।

এদিকে এই মুহূর্তে পাঞ্জাবে থাকা অভিযুক্ত যাজক বিবিসির কাছে দাবি করেছেন তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ।

বিশপ ফ্রাঙ্কো মুল্লাক্কাল বলছেন, "এই অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট ও এমনভাবে সাজানো যাতে লোকে বিশ্বাস করে।"

"কিন্তু এরকম কিছুই কখনও ঘটেনি - ওই নানকে কেন, আমি পৃথিবীর কোনো নারীকেই ধর্ষণ করিনি একথা আমি বাইবেল ছুঁয়ে বা নিজের বিবেক স্পর্শ করেও বলতে রাজি। কেউ যদি আমায় ধর্ষণকারী বলে প্রমাণ করতে পারে তাহলে আমি ফাঁসিতে ঝুলতেও রাজি!"

তবে নানরা কোচির রাজপথে নেমে আন্দোলন শুরু করায় যে পুলিশ-প্রশাসনের ওপর প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে সন্দেহ নেই, আর তার মুখে বুধবার জলন্ধরের ওই বিশপকে জেরার জন্য সমন করা হতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু দোয়ারাবাজারে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা : স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার ভারতে দ্বিতীয় পর্বে ৮৮ আসনে ভোট

সকল