২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কে কী কেন কিভাবে গাজর কেন খাবে

-

আজ তোমরা জানবে গাজর সম্পর্কে । এটি শরীরকে নরম রাখে আর সুন্দর
করে, শরীরের ওজন বাড়ায়, শক্তিও বৃদ্ধি করে। পুষ্টি ও বুদ্ধি বিকাশের
জন্য গাজর কাজ করে। লিখেছেন লোপাশ্রী আকন্দ

গাজর একটি শীতকালীন মূলজ সবজি। তবে অন্যান্য ঋতুতেও এটি কম-বেশি পাওয়া যায়। গুণসম্পন্ন সবজি হিসেবে গাজরের জুড়ি মেলা ভার। আমাদের দেশে সাধারণত সালাদ, হালুয়া ও তরকারি করে গাজর খাওয়া হয়। পুষ্টিকর আর উপকারী হিসেবে এ সবজির পরিচিতি ও ব্যবহারও বেশ। একটি বড় গাজর থেকে প্রায় ২২ ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। জানা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে রয়েছে আঁশ ১ দশমিক ২ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮০ মিলিগ্রাম, লোহা ১ দশমিক ৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১০৮ মিলিগ্রাম, থায়ামিন দশমিক শূন্য ৪ মিলিগ্রাম, প্রোটিন শূন্য দশমিক ৯ গ্রাম, নিকোটিনিক এসিড শূন্য দশমিক ৬ মিলিগ্রাম, ফ্যাট শূন্য দশমিক ২ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১০ দশমিক ৬ গ্রাম, ভিটামিন-এ ৩১৫০ আইইউ। গাজর ভিটামিন-‘এ’ এর একটি ভালো উৎস।
গাজরের ঔষধি বা ভেষজ গুণ রয়েছে। এটি শারীরিক ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরের বৃদ্ধি ঘটাতেও এটি সহায়ক।
গাজর শরীরকে নরম রাখে আর সুন্দর করে। এটি শরীরের ওজন বাড়ায়, শক্তিও বৃদ্ধি করে।
পুষ্টি ও বুদ্ধি বিকাশের জন্য গাজর কাজ করে। নিয়মিত গাজর খেলে অর্শ, পিত্ত ও ক্ষয়রোগে সুফল পাওয়া যায়। অনেকে সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবেও গাজর ব্যবহার করে। এটি শরীরের রঙ ফরসা করে এবং মুখের সৌন্দর্য বাড়ায়। গাজরের রস পান করালে শিশুদের দাঁত বেরোতে কোনো কষ্ট হয় না। এ ছাড়া এটি দুধ হজমে বেশ সহায়ক।
ফোড়া সারাতেও গাজর কাজ করে। সেদ্ধ করে পুঁটলি বেঁধে ফোড়ায় লাগালে উপকার পাওয়া যায়, এমনকি সেরেও যায়।

 


আরো সংবাদ



premium cement