২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান অভিযান

-

চব্বিশ.

সিংহাসনের মতো একটা চেয়ারে বসা মহিলা। পোশাকটাও রানীর মতো। চেয়ারের পাশে দাঁড়ানো পুরুষটি হিরণ কুমার। কিন্তু মহিলাটি কে?
ছবিটার দিকে তাকিয়ে থেকে সুজা জিজ্ঞেস করল, ‘হিরণ কুমারের স্ত্রী নাকি?’
‘হ্যাঁ। নাম কারিনা।’ মনি চাচী জানালেন। ‘খুব সুন্দরী, তাই না? একটা ছবিতে হিরণ কুমারের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয়ও করেছিলেন। তবে হিরণ কুমারের চাপাচাপিতে। সিনেমার জগৎকে ঘৃণা করতেন মহিলা। স্বামীকে ফেরানোর বহু চেষ্টা করেছিলেন। না পেরে রাগ করে একদিন মাদ্রাজে নিজের দেশে চলে যান। আর আসেননি। কিছু দিন মনমরা হয়ে পড়ে থাকলেন হিরণ কুমার। শেষে আবার অভিনয় জগতে ডুবে গিয়ে স্ত্রীর দুঃখ ভুলে থাকার চেষ্টা করলেন। কিন্তু দুঃখ ভুলতে তিনি কোনো দিনই পারেননি।’
কোনায় রাখা একটা পিয়ানো দৃষ্টি আকর্ষণ করল রেজার। এগিয়ে গেল। ‘হিরণ কুমার কি পিয়ানো বাজাতেন নাকি?’
‘মনে হয়,’ গেদু চাচা বললেন। ‘কিন্তু তাঁর পরে বোধহয় আর কেউ বাজায়নি পিয়ানোটা। আমি চেষ্টা করে দেখেছি। কিন্তু চাবিগুলো লক করা। কিভাবে খুলতে হয় কেউ জানে না। যে দালাল জলিল সাহেবকে বাড়ি বেচতে সাহায্য করছে, সে-ও খোলার চেষ্টা করেছিল। পারেনি। বাজাতে চাইলে চাবি খোলার জন্য মিস্ত্রি ডেকে আনা ছাড়া গতি নেই।’
গেদু চাচা ওদেরকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাতে লাগলেন।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement