পঞ্চাশ.
একজন অফিসার বলল, ‘পারতপক্ষে কাউকে বেরোতে দিচ্ছি না আমরা। যদি একান্তই জরুরি কোনো কাজ না থাকে...’
চিৎকার করে কথা বলছে লোকটা, কিন্তু বাতাসের গর্জনে চাপা পড়ে যাচ্ছে।
নিজেদের পরিচয় দিলো রেজা। আলিশাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসার কথা বলল।
আলিশা কে, সেটা জানার প্রয়োজন বোধ করল না অফিসার। তবে রেজা-সুজার নাম মনে করতে পারল। ‘ও, তোমাদের নাম শুনেছি আমাদের চিফের কাছে। খুব প্রশংসা করেন। যাও। তবে সাবধান। রাস্তাঘাটের অবস্থা কিন্তু ভালো না।’
তাকে ধন্যবাদ দিয়ে আবার গাড়ি চালাল রেজা। মুষলধারা বৃষ্টির মধ্যে এগিয়ে চলল। ওয়াইপারে কোনো কাজ হচ্ছে না। সামনে মাত্র কয়েক গজ দূর পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছে। ধীরে ধীরে গাড়ি চালাচ্ছে সে। সামনে ঝুঁকে পড়েছে। রাস্তার যে সামান্য একটুখানি নজরে আসছে, সেটার দিকে চোখ।
রাস্তার পাশ থেকে তীক্ষè একটা শব্দ শোনা গেল। সামনের রাস্তায় একটা মস্ত ছায়া পড়তে দেখা গেল। যেন বিশাল কোনো দানবের থাবা। আরো খানিকটা এগিয়ে চিনতে পারল রেজা। গাছ। ঝড়ে উপড়ে পড়েছে। ব্রেক কষল। গাছটার মাত্র ফুটখানেক দূরে থেমে গেল গাড়ি।
গাড়ি থেকে বেরিয়ে এলো দুই গোয়েন্দা। সুজা বলল, ‘এইবার সত্যিই ভাগ্য ভালো আমাদের। আর একটা সেকেন্ড পরে পড়লেই একেবারে আমাদের গাড়ির ওপর পড়ত।’
টর্চ জ্বেলে ভালোমতো দেখল রেজা। রাস্তা জুড়ে পড়েছে গাছ। মাথার দিকে সামান্য একটু ফাঁক আছে, যেখান দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া সম্ভব। ‘এবারের মতো তো পার পেয়ে গেলাম। তবে সামনে আরো গাছ পড়ে থাকতে পারে। যাওয়ার জায়গা না থাকলেই পড়ব বিপদে।’ (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা