দুই গোয়েন্দার অভিযান
- রকিব হাসান
- ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০
দুই.
‘ও এখন যাচ্ছে কোথায়? আমি এদিকে জমে মরছি!’ চিৎকার করে বলল সুজা।
‘তোমাকে বাঁচানোর জিনিস আনতে গেছে,’ রেজা বলল। ‘নড়াচড়া কোরো না। চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকো।’
‘পা অবশ! সাড়া পাচ্ছি না!’ দাঁতে দাঁতে বাড়ি খাচ্ছে সুজার।
হামাগুড়ি দিয়ে সুজার দিকে এগোতে শুরু করল রেজা। দূরত্ব মাত্র কয়েক ফুট, কিন্তু সেটাও বিশাল ব্যাপার এ মুহূর্তে। চড়চড় শব্দ করে উঠল বরফ।
‘ফিরে যাও, রেজা!’ চিৎকার করে উঠল সুজা। ‘বরফ তোমার ভার সইতে পারছে না।’
‘চুপ করে থাকো। আমার কাজ আমাকে করতে দাও।’
‘তুমিও যদি পানিতে পড়ে যাও, তাতে আমার কোনো উপকার হবে না। তার চেয়ে জোসির জন্য অপেক্ষা করো। ও জানে, এখন কী করা দরকার, আমরা জানি না।’
ঠিকই বলেছে সুজা। অনিচ্ছা সত্ত্বেও পিছিয়ে গেল রেজা। বার্চের একটা লম্বা ডাল হাতে ছুটে বেরোতে দেখা গেল জোসিকে। দৌড়ে আসতে লাগল।
‘রেজা, নদীর পাড়ে পা রেখে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ো,’ জোসি বলল। ‘শক্ত করে আমার গোড়ালি চেপে ধরে রাখবে।’
‘কী করতে চাও?’
‘বরফের স্তরে দেহের ওজন সমানভাবে ছড়িয়ে দেয়া গেলে সহজে ভাঙবে না বরফ।’ উপুড় হয়ে শুয়ে খুব সাবধানে ইঞ্চি ইঞ্চি করে সুজার দিকে এগোতে শুরু করল জোসি। ডালটা সামনে বাড়িয়ে দিলো। ‘সুজা, দেখো তো নাগাল পাও নাকি?’
ডান হাত যতটা সম্ভব লম্বা করে দিলো সুজা। আঙুলের মাথা থেকে মাত্র কয়েক ইঞ্চি দূরে রয়েছে ডালের মাথা। কিন্তু এখন এটাকেও বিশাল দূরত্ব মনে হচ্ছে। ‘পারছি না তো!’
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা