কিশোর মুসা রবিনের অভিযান
- রকিব হাসান
- ২৪ জুন ২০১৮, ০০:০০
চুয়ান্ন
‘মায়ানকেড়েতে রূপ নিচ্ছেন,’ মুসা বলল। ‘ভাবছি, পুরোপুরি নেকড়ে হয়ে যেতে কতক্ষণ লাগবে?’
‘যে হারে লোম গজাচ্ছে, খুব বেশিক্ষণ লাগবে না।’
ঘড়ি দেখল মুসা। চমকে গেল। ‘বাপরে, অনেক রাত! বারোটা বাজে প্রায়। দেখো, মিস্টার উলফ জুতো খুলছেন।’
জুতো পরে থাকতে যেন প্রচণ্ড অস্বস্তি হচ্ছে তার, এমন ভঙ্গিতে টান দিয়ে জুতো খুলে ছুড়ে ফেলে দিলেন রাস্তার পাশে। তারপর পরম স্বস্তিতে পা ফেলে এগোতে থাকলেন কাঁচা রাস্তা ধরে।
তার এই দ্রুত পরিবর্তন কিশোর-রবিন, মুসা ও ফারিহা ছাড়া আর কেউ লক্ষ করেছে বলে মনে হলো না। নিশ্চিন্তে হইচই করতে করতে চলেছে একটা অংশ, বাকি অংশের এত ঘুম পেয়েছে, পথের ওপর শুয়েই এখন ঘুমিয়ে পড়তে রাজি। এত রাত পর্যন্ত জেগে থাকার অভ্যাস নেই তাদের। তা ছাড়া হেঁটে হেঁটে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। মিস্টার উলফ এসব খেয়ালই করছেন না যেন।
‘কেউ তো কিছু বুঝতে পারছে না,’ কিশোর বলল। ‘ওদেরকে বাঁচানোর দায়িত্ব এখন আমাদের।’
অনেকটাই পেছনে ছিল চার গোয়েন্দা। আগে আগে চলা ছেলেমেয়েদের পাশ কাটিয়ে, কাউকে গুঁতো দিয়ে সরিয়ে একেবারে সামনে চলে এলো। এখনো ওদের চারজনের সামনে রয়েছেন শুধু মিস্টার উলফ।
দ্রুত হেঁটে তার ঠিক পেছনে চলে এলো কিশোর। ইঞ্চি ইঞ্চি করে আরো কাছে যাচ্ছে। উত্তেজনায় দম আটকে ফেলেছে। বহু চেষ্টায়, বহু কায়দা-কসরত করে মিস্টার উলফকে ফাঁকি দিয়ে তাঁর পিঠে বাঁধা ব্যাকপ্যাকের চেন খুলল। খোলা ব্যাগের মধ্যে ফেলে দিলো কয়েকটা মিসল্টের পাতা। বন্ধুদের কাছে পিছিয়ে এসে তারপর দম ছাড়ল।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা