ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে কোপাল নিজ দলের নেতাকর্মীরা

পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিককে কুপিয়ে আহত করেছে নিজ দলের নেতা কর্মীরা। সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ক্যাম্পাসে সাঁটানো জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিকের পোষ্টার ও ব্যানার ছিড়ে তছনছ করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ প্রাক্তন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন । তাকে সহপাঠীরা উদ্ধার করে প্রথমে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম টিটু জানান, হামলার ঘটনায় আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং সে সঙ্গে ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ারও দাবি করছি। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো নেতা কর্মী যদি জড়িত থাকে তাকে বহিষ্কার করা হবে বলেও জানান টিটু জানান।

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রলীগ সম্পাদক অনিক বন্ধুদের নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে যায়। এসময় ছাত্রলীগের প্রাক্তন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল অনিককে জিজ্ঞেস করে তুই নাকি বলেছিস, তোর পোষ্টার আমি ছিড়ে ফেলেছি। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায় সজলের ২০-২৫ জন কর্মী অনিকের ওপর চড়াও হয়ে লোহার পাইপ, রড ও লাঠিসোটা নিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে তাকে আহত করে। এতে অনিকের মাথার তিনটি স্থান ক্ষতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। হাসপাতালের চিকিৎসক মোঃ রাসেল মিয়া জানান, দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে তিনি জখম প্রাপ্ত হন।

পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আহত অনিকের বাবা আক্তারুজ্জামান ফুলু জানিয়েছেন অভ্যন্তরিণ কোন্দলের জেরে সজল, অপু ও নয়নের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে জানার জন্য অভিযুক্ত সজলের সেল নম্বরে ফোন দিলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রবাসী স্ত্রীর সাথে পরকীয়া, হাতেনাতে ধরে যুবলীগ নেতাকে গণধোলাই
নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে অসামাজিক কাজ করতে গিয়ে এলাকাবাসীর গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা রাসেল (২৮)।

শনিবার দিবাগত রাত দেড়টায় মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জের ৯নং ওয়ার্ড জালকুড়ে দক্ষিণপাড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। যুবলীগ নেতা রাসেল জালকুড়ি দক্ষিণপাড়া এলাকার সফি উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জালকুড়ি দক্ষিণপাড়া এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। স্বামী বাইরে থাকার সুযোগে ঐ গৃহবধূর উপর চোখ পড়ে স্থানীয় নামধারী যুবলীগ নেতা রাসেলের। তিনি তার মনের কামনা চরিতার্থ করার জন্য মোবাইলের বাহানা দিয়ে ঐ রাতে ৭টার দিকে ওই প্রবাসীর বাড়িতে প্রবেশ করে কথাবার্তা বলে কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে যান।

বিষয়টি স্থানীয়দের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করে। পরে রাত সোয়া ১টায় তিনি আবারো ওই বাড়িতে প্রবেশ করার পর দেড়টার দিকে স্থানীয় লোকজন গিয়ে তাকে হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দেয়। এলাকাবাসী গৃহবধূর দুটি সন্তানের কথা চিন্তা করে লম্পট রাসেলকে গণধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নামধারী যুবলীগ নেতা রাসেল জালকুড়ি এলাকার এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় এলাকায় নানা অপকর্ম করে বেড়ায়।