তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে অনৈক্য রয়েছে। বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে একটু ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। বর্তমানে তাদের কাছে আন্দোলনের অন্য কোনো ইস্যু নেই। ঐক্যফ্রন্ট এ ইস্যুটা নিয়ে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে। এটি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদের জন্য নয়, বরং এ ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করার স্বার্থেই এটি করার চেষ্টা করছে।
গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে টেলিভিশন ক্যাবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনার লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যার পর সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে এগুলোতে সন্তুষ্ট হয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। মূলত ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য ধরে রাখার চেষ্টা চালানোর স্বার্থেই তারা এ সভার আহ্বান করেছে। তবে আমি ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বলবো, যেই ইস্যু সমাধান হয়ে গেছে, সেই ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমে হালে পানি পাবেন না।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একটি চলচ্চিত্র বানানোর পর সেন্সরবোর্ডে অনুমোদন দিয়ে সম্প্রচারে আসতে হয়। তেমনি বিদেশী সিরিয়াল ডাবিং করে প্রচার করতে হলে সেন্সরবোর্ডের অনুমোদন নিয়ে চালাতে হবে। বর্তমানে দেশের কিছু চ্যানেলে বিদেশী সিরিয়াল ডাবিং করে প্রচার করছে। তিনি আরো বলেন, বিদেশী ডিটিএইচের বিরুদ্ধে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পর অভিযান শুরু হবে। এর মধ্যে এসব সংযোগ সরিয়ে নিতে হবে। অভিযানে যাদের কাছে ডিটিএইচ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের দেশের দুটি কোম্পানিকে ডিটিএইচের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। তবে বিদেশী ডিটিএইচ প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো অনুমোদন নেই। কিন্তু অনেক জায়গায়ই দেখা যাচ্ছে বিদেশী ডিটিএইচ ব্যবহার করা হচ্ছে। যেগুলো সম্পূর্ণ অবৈধ। শাস্তি বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো ব্যক্তি অপরাধ সংগঠন করলে অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড, অনধিক এক লক্ষ টাকা অন্যূন ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড। আর দ্বিতীয়বার এই অপরাধ করলে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা, অন্যূন ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান আছে।
বাংলা চ্যানেলগুলো প্রথম দিকের সিরিয়ালে আছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, কয়েক মাস আগেও চ্যানেলগুলোর সিরিয়াল মানা হচ্ছিল না। পরে আমরা ক্যাবল অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছি বাংলা চ্যানেলগুলো শুরুর দিকে রাখার জন্য। এজন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এখন ৯৮ ভাগ ক্ষেত্রে সিরিয়াল মানা হচ্ছে। যারা এখনো মানেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিরিয়াল মানা শতভাগ কার্যকর করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা