আসামে আরেকটি গণহত্যা দেখতে চাই না : নূর হোসাইন কাসেমী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, ভারতের আসামে রোহিঙ্গাদের মতো আরেকটি গণহত্যার করুণ পরিণতি আমরা দেখতে চাই না। সেখানে নাগরিকপঞ্জির নামে পুরুষানুক্রমে বসবাসকারী ৪০ লাখ মানুষকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নাগরিকত্বের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নিজ দেশে পরবাসী করা হয়েছে। অভিবাসন ক্যাম্প তৈরি করে তাদেরকে সেখানে আবদ্ধ রাখার উদ্যোগ নিশ্চিত করছে রাজ্য সরকার। তেলেঙ্গানায় বিজেপির এমএলএ রাজা সিং লোধ প্রকাশ্যেই বলেছেন, তথাকথিত ‘বাংলাদেশী সেটলাররা’ যদি স্বেচ্ছায় ফিরে না যায় তাহলে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হবে। এ কথা উল্লেখ কাশেমী বলেন, ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীদের চরম উসকানির মুখেও বাংলাদেশের জনগণ ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের নির্লিপ্ততা আমাদের বিস্মিত করেছে। ভারতীয় নাগরিকদের ‘বাংলাদেশী’ আখ্যা দিয়ে পুশব্যাক করবার প্রস্তুতি এবং স্বেচ্ছায় না গেলে গুলি করার হুমকির বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে অবশ্যই অবিলম্বে জোর প্রতিবাদ জানাতে হবে।
গতকাল এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী। তিনি হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতিও। আল্লামা কাসেমী বলেন, আসামে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বাংলাদেশী বলে নাগরিক তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে ৪০ লাখ মানুষকে, যাদের বেশির ভাগই মুসলমান। গোটা ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক ও চরম অমানবিকই শুধু নয়, বরং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপরও মারাত্মক হুমকি তৈরি করেছে। বাংলাদেশ সরকারের কর্তব্য, বিজেপির মুসলিম ও বাংলাদেশ বিরোধী এমন অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ করা। তিনি বলেন, আসামে কোনো অবৈধ বাংলাদেশী নেই। যে ৪০ লাখ মানুষের ভারতীয় নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হয়েছে, তারা পূর্বপুরুষ থেকেই ভারতে বসবাস করে আসছে। এরা অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক। এদেরকে বাংলাদেশী বলে বহিষ্কারের উদ্যোগ মুসলিম ও বাংলাদেশ বিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা