আদালতের নিরাপত্তায় নেয়া পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৮ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
দেশের প্রতিটি বিচারাঙ্গনে আইনজীবী, বিচারক ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি কুমিল্লার ঘটনায় যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তাও জানাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কুমিল্লার জজ আদালতে বিচারকের সামনেই এক আসামির ছুরিতে আরেক আসামির খুন হওয়ার ঘটনার পর আদালত অঙ্গনে বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দায়ের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এ দিকে গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে হত্যা মামলার এক আসামি জামিন নেয়ার পর তার ওপর বাদিপক্ষের লোকজন হামলা করে। এ সময় আসামির উকিলও আক্রান্ত হন। পরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ করে।
রিটের শুনানিকালে ওই দুই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে আদালত বলেন, কুমিল্লার পর গতকাল (গত মঙ্গলবার) সুপ্রিম কোর্ট বারেও হামলার ঘটনা (বিবাদি ও তার আইনজীবীর ওপর হামলা) ঘটেছে। এ অবস্থায় কোর্টে বিচারক, আইনজীবী ও কর্মকর্তাদের সিকিউরিটির জন্য কী পদক্ষেপ নিলেন? তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, কুমিল্লা এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের দুটি ঘটনাই ব্যক্তিগত।
এ সময় আদালত বলেন, ব্যক্তিগত হোক, যাই হোক, কোর্টের ভেতরে ছুরি নিয়ে কিভাবে যায়? পুলিশ কী করে? অবশ্যই এটা পুলিশের দায়িত্বহীনতা।
তখন রিটকারী আইনজীবী বলেন, নিরাপত্তা তো সবার জন্য। উনিও (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী) এমন পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন। তাই আইনজীবী, বিচারকসহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এরপর আদালত ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সারা দেশের আদালতে আইনজীবী, বিচারক ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা এবং কুমিল্লার ঘটনায় যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দেন এবং মামলাটি মুলতবির আদেশ দেন। গত ১৫ জুলাই কুমিল্লা আদালতে হত্যা মামলার এক আসামি অপর আসামিকে ছুরিকাঘাতে খুন করে। কুমিল্লার তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌসের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় নিহতের নাম ফারুক হোসেন (২৭) ও ঘাতকের নাম আবুল হাসান (২৫। হাসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনার পর গত ১৬ জুলাই সারা দেশে বিচারকের নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা