২১ মে ২০২৪, ০৭ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫
`


নদী মরে গেলে খাল খনন করে কিছুই হবে না : আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি

-

আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির উদ্যোগে মতবিনিময়ে পরিবেশবাদীরা বলেছেন, নদী মরে গেলে খাল খনন করে কিছুই হবে না। এতে সাময়িক লাভ হতে পারে কৃষি বা মাছ চাষের ক্ষেত্রে। তবে দীর্ঘ মেয়াদের কথা চিন্তা করলে দেশের নদ-নদী বাঁচাতে পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
গতকাল আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তারা এ কথা বলেন। এতে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. এস আই খান, নিউ ইয়র্ক শাখার মহাসচিব সৈয়দ টিপু সুলতান, ফারাক্কা কমিটির সমন্বয়ক সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, আইএফসির সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান আতা বক্তব্য রাখেন।
আলোচকরা বলেন, উজানে একের পর বাঁধ দেয়ার কারণে ভাটির দেশ হিসেবে নদী মরে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশ। তারা বলেন, উজান থেকে আসা নদীগুলো মরে যাচ্ছে বা এগুলো প্রবাহ কমে যাচ্ছে কেন সে কারণ আগে পর্যালোচনা করতে হবে। বাংলাদেশের নদী মরে যাওয়ার জন্য এদেশের কেউ দায়ী নন। আসলে গঙ্গার পর তিস্তাসহ অভিন্ন সব নদীর প্রবাহ উজানে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কারণে এ দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শুকিয়ে যাচ্ছে নদী। বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে এ দেশের প্রবাহ। তাই নদী খনন করে এসব নদীর জীবন দেয়া সম্ভব নয়। এতে কারো পকেট ভারী হতে পারে। অথবা ভুল পরামর্শ দিচ্ছেন কেউ প্রধানমন্ত্রীকে।
আলোচকরা বলেন, হিমালয়ের নদীগুলোর অপমৃত্যরোধে বাংলাদেশকে সোচ্চার হতে হবে। কেননা বিশ্বের সব পানি বিশেষজ্ঞ মনে করেন নদীগুলোকে জীবন্ত রাখতে হলে সেগুলোকে সাগর পর্যন্ত প্রবহমান রাখতে হবে। তাই গ্লোবাল ওয়াটার পার্টনারশিপের সুপারিশ হচ্ছে সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা। তারা বলেন, এখন কারো একটি আন্তর্জাতিক নদীকে নিয়ে এককভাবে চিন্তা করার অবকাশ নেই। অববাহিকাভিত্তিক পানি ব্যবস্থাপনা ছাড়া কোনো দেশই এখন লাভবান হবে না। তবে অববাহিকাভিত্তিক নদী ব্যবস্থপনায় গেলে উজান এবং ভাটির দেশের নদীই শুধু বাঁচবে না, সৃষ্টি হবে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে মৈত্রীর বন্ধন। রক্ষা পাবে নদীর পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যও। আর এ জন্য অববাহিকাভিত্তিক নদী ব্যবস্থাপনায় ভারত, নেপাল, চীন ভুটান বাংলাদেশকে একযোগে কাজ করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement