২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
চাষাড়ায় আ’লীগ অফিসে বোমা হামলার ১৮ বছর

রাজনীতি হয়েছে বিচার হয়নি এখনো কাঁদে নিহতদের স্বজনরা

-

২০০১ সালের ১৬ জুন থেকে ২০১৯ এর ১৬ জুন। কেটে গেছে ১৮টি বছর। কিন্তু আজো জানা যায়নি নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে ভয়াবহ বোমা হামলার রহস্য। বর্বরতম এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন। স্বজন হারানোর বেদনায় আজো ডুকরে কাঁদে নিহতের পরিবার। চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছে অনেকে। অসহায় জীবনযাপন করছে পঙ্গু হওয়া মানুষ। নিহতের স্বজনদের দাবি, চাষাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনা নিয়ে ১৮ বছর ধরে রাজনীতি হয়েছে, বিচার হয়নি। এ কারণে আজো উন্মোচিত হয়নি নারকীয় এ হত্যাযজ্ঞের প্রকৃত রহস্য।
বোমা হামলার ঘটনায় সেদিনই নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় দুটি মামলা (একটি বিস্ফোরক ও অন্যটি হত্যা) দায়ের করেন। মামলায় জেলা বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক তৈমুর আলম খন্দকারকে প্রধান করে বিএনপি ও এর অঙ্গ দলের মোট ২৭ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনার ২২ মাস পর ২০০৩ সালের এপ্রিল মাসে বোমা ট্র্যাজেডি মামলা দুটির ফাইনাল রিপোর্টে দেয়া হয়। এতে বলা হয়, উল্লিখিত ২৭ জনের কেউই চাষাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে ১৬ জুন ২০০১ সালের বোমা হামলায় জড়িত নয়। যদি ভবিষ্যতে এ মামলার তথ্যসংবলিত ক্লু পাওয়া যায় তবে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
২০০১ সালে বোমা হামলার ঘটনায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। বোমা হামলায় নিহত চা দোকানি হালিমা বেগমের ছেলে আবুল কালাম বাদি হয়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৫৮ নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলাটি আবারো পুনরুজ্জীবিত করা হয়। ছয় বছর মামলাটি হিমাগারে থাকার পর সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ২ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য সরকারকে আদেশ দেন।
দুটি মামলায় সাতবার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। ঘটনার দীর্ঘ ১২ বছর পর সিআইডি দুটি মামলায় ২০১৩ সালের ২ মে ৬ জনকে অভিযুক্ত ও ৩১ জনকে অব্যাহতি প্রদান করে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুটি মামলার প্রত্যেকটির ৯৪৭ পাতার চার্জশিট দাখিল করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন নারায়ণগঞ্জে ক্রসফায়ারে নিহত যুবদল ক্যাডার মমিনউল্লাহ ডেভিডের ভোট ভাই শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান, ওবায়দুল্লাহ, ভারতের দিল্লি কারাগারে আটক আনিসুল মোরসালিন, মুহিবুল মুত্তাকিন এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু। অভিযুক্তদের মধ্যে জামিনে থাকা কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু ও ওবায়দুল্লাহ ছাড়া অন্যরা গ্রেফতার রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলাটি বর্তমানে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে বিচারাধীন আছে এবং তা সাক্ষী পর্যায়ে আছে। মামলার অন্যতম আসামি হুজি নেতা মুফতি হান্নানের একটি মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এবং তার প্রতিবেদন আদালতে জমা না দেয়ায় বারবার মামলার তারিখ পড়ছে।
নারায়ণগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, ২০০১ সালের ১৬ জুনের বোমা হামলার ঘটনার প্রধান আসামি হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের বিরুদ্ধে সারা দেশে ৫১টি মামলা ছিল। সে কারণে ২০১৭ সালের এপ্রিল তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে যথাসময়ে তাকে নারায়ণগঞ্জ হাজির করা হয়নি। এ কারণে বারবার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানো হয়। তবে আমরা চেষ্টা করছি নারায়ণগঞ্জের বোমা হামলার মামলাটি যেন দ্রুত শেষ করা যায়। অচিরেই এটি দৃশ্যমান হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের

সকল