তনুবিহীন পরিবারে নিরানন্দ ঈদ
- হাবিবুর রহমান চৌধুরী কুমিল্লা
- ২২ জুন ২০১৮, ০০:০০
দেশব্যাপী বহুল আলোচিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ২৭ মাস পূর্ণ হয়েছে গত ২০ জুন বুধবার। শোক আর বিচার না পাওয়ার ােভ বুকে চেপে তনুবিহীন পরিবারে এ বছরও ছিল না ঈদ আনন্দ। ২৭ মাসেও তনুর ঘাতকরা চিহ্নিত না হওয়ায় ােভ জানিয়েছেন তনুর পরিবার। দীর্ঘ এ সময়ে ঘটনার রহস্য উদঘাটন, হত্যাকারী শনাক্ত করা কিংবা মামলার তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। তনুর ঘাতকরা অধরাই রয়ে গেছে।
২৭ মাসেও মেয়ের ঘাতকদের চিহ্নিত করতে না পারায় ােভ জানিয়ে তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, মেয়ের শোকে তনুর বাবা এখন মৃত্যুশয্যায়। আমাদের পরিবারে এ বছরও ঈদের আনন্দ ছিল না। ছয় মাসের ছুটিতে থাকা তনুর বাবার (ইয়ার হোসেন) ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে মেরুদণ্ডের একটি বড় অপারেশন হয়েছে গত ২৮ এপ্রিল। আগামী রোববার তিনি কর্মস্থলে যোগ দেবেন। এসব ঝামেলায় এবারের ঈদে বাড়িতে গিয়ে মেয়ের কবরও জিয়ারত করা হয়নি। তিনি বলেন, মেয়ের হত্যার পর অনেকেই বাসায় এসে ন্যায় বিচারের আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু এখন আর কেউ আমাদের পাশে নেই, খোঁজ-খবরও নেয় না। মাঝে মধ্যে সাংবাদিকরাই খবর নিতে ফোন করেন।
তিনি আরো বলেন, দুইবার মেয়ের লাশ ময়নাতদন্ত করার পরও যখন ডাক্তার তনুর মৃত্যুর কারণ খুঁজে পায়নি, তখনই বলেছিলাম এ দেশে আর তনুর বিচার পাবো না।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহমেদ বলছেন, তনুর মামলাটি অধিক গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে অনেককে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি বলেন, যেহেতু দুটি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ নেই, তাই আমাদের ভিন্ন কৌশল নিতে হচ্ছে। সন্দেহভাজন কয়েকজনের ডিএনএ রিপোর্ট শিগগিরই হাতে পেতে পারি। এর পরই হয়তো এ মামলার একটি নির্দিষ্ট ল্েয পৌঁছাতে পারব।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার কাছ থেকে তনুর লাশ উদ্ধার করেন তার বাবা ইয়ার হোসেন। পরদিন ২১ মার্চ দুপুরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাশের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। ২১ মার্চ তনুর বাবা কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলা পুলিশ, ডিবি হয়ে সিআইডির হাতে যায়। তনুর ২৭ মাসেও হত্যাকারী শনাক্ত হয়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা