০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সাইবার হামলা চালিয়ে ২০০ কোটি ডলার চুরি করে অস্ত্র তৈরী করছে উ. কোরিয়া

- ছবি: সংগৃহীত

সাইবার হামলার মাধ্যমে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার চুরি করেছে উত্তর কোরিয়া। নিজেদের অস্ত্র তৈরির কার্যক্রমে ব্যবহার করতেই দেশটির এ অর্থ চুরি। জাতিসংঘের ফাঁস হওয়া এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গোপন এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুরির জন্য বিভিন্ন ব্যাংক ও ডিজিটাল মুদ্রা (ক্রিপ্টোকারেন্সি) এক্সচেঞ্জ ছিল পিয়ংইয়ংয়ের টার্গেট।

৩৫টি সাইবার আক্রমণের বিষয়ে জাতিসংঘ তদন্ত করেছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে চতুর্থ দফা মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া।

এ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি হিসেবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে বলে আজ বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন।

এ ধরনের সামরিক মহড়াকে শান্তিচুক্তির পরিপন্থী বলে দাবি পিয়ংইয়ংয়ের।

জাতিসংঘের ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনটি উত্তর কোরিয়াকে নিষেধাজ্ঞা প্রদানকারী নিরাপত্তা পরিষদের কমিটিকে পাঠানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইবার স্পেস ব্যবহার করে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জের তহবিল থেকে সূক্ষ্ম কায়দায় অর্থ চুরি করত পিয়ংইয়ং।

বিদেশি মুদ্রা উপার্জনের জন্য সাইবার-মাইনিং কার্যক্রমের পরিকল্পনার ব্যাপারেও তদন্ত করছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, অর্থ চুরির জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জকে বেছে নেওয়ার পেছনে উত্তর কোরিয়ার একটি বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। ডিজিটাল মুদ্রার বিষয়ে বিভিন্ন দেশের সরকারি নজরদারি ও আইনের শিথিলতার সুযোগ থাকায় এ ধরনের চুরি শনাক্ত করাটা তুলনামূলকভাবে কঠিন হওয়ার সুযোগটাই নিত উত্তর কোরিয়া।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, চুরি করা অর্থ এবং গণধ্বংসাত্মক মারণাস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার্য উপকরণ স্থানান্তরে অবৈধভাবে জাহাজের ব্যবহার করত উত্তর কোরিয়া, যা জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ২০০৬ সালে উত্তর কোরিয়ার ওপর কয়লা, লৌহ, বস্ত্র ও সামুদ্রিক খাবার রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক বৈঠকে পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ করতে সম্মত হন কিম জং-উন।

এ ছাড়া আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ না করার বিষয়েও অঙ্গীকার করেন কিম।

চলতি বছর ভিয়েতনামের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ট্রাম্প-কিম বৈঠক শেষ হয় কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই।

এর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে আলোচনা থমকে আছে। তবে দুই দেশই বলছে, তারা এ বিষয়ে কূটনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছাতে আগ্রহী।

এদিকে জাতিসংঘের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা সাইবার কার্যক্রমের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও অবৈধ গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র তৈরির মতো বিপজ্জনক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’


আরো সংবাদ



premium cement
নওগাঁয় ইট ভাঙার মেশিনের চাপায় নিহত ১ গণতন্ত্র-সুশাসনের জন্য সর্বশেষ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান রিজভীর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ভারতের রেজিস্ট্রিবিহীন হজ পালন কমাতে নতুন পদক্ষেপ ঘোষণা সৌদি আরবের নির্বাচনের কথা আপনাদের মুখে মানায় না : মির্জা আব্বাস তেল আবিবে ইরাকি গ্রুপের হামলা ফিলিস্তিন সঙ্কট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে মুসলিম উম্মাহ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী নোয়াখালীতে সিএনজি-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৩ কোভিড ভ্যাকসিনে মস্তিষ্কে ক্ষতি, মামলা জয়ে এগিয়ে ভুক্তভোগী যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করলে হামাসকে বহিষ্কার : যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি বুমেরাং হতে পারে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে রাজধানীতে শিবিরের বিক্ষোভ

সকল