২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্ত্রীর অপমানের প্রতিশোধে লাঞ্চিত স্বামি, অতঃপর গলায় ফাঁস

স্ত্রীর অপমানের প্রতিশোধে লাঞ্চিত স্বামি, অতঃপর গলায় ফাঁস - সংগৃহীত

ঢাকার শহরতলী আশুলিয়ায় টর্ক ফ্যাশন লিমিটেড নামের একটি পোশাক তৈরীর কারখানায় নারী পোশাক শ্রমিক সাবিনা খাতুন মীম (২০) তার স্বামীকে ফোন করায় কর্মকর্তারা তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। বিষয়টি ওই নারী পোশাক শ্রমিকের স্বামী অনিক মিয়া জানতে পেরে কারখানায় গিয়ে এর প্রতিবাদ করে। পরে কারখানার ৫ কর্মকর্তা তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করলে বাসায় গিয়ে সে লজ্জায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। ঘটনায় আশুলিয়া থানায় ওই কারখানার ৫ কর্মকতার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা (নং ৩২) দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় আশুলিয়ার সাধুপাড়া টর্ক ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মামলায় আসামীরা হলো- টর্ক ফ্যাশন লিঃ এর এ্যাডমিন অফিসার পিন্টু (৫০), সহকারি এ্যাডমিন অফিসার রুবেল, ফ্লোর ইনচার্জ হারুন (৪৫), সুপারভাইজার পারভেজ এবং অপারেটর রাকিব (২৫)।

নিহত অনিক মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলাধীন আড়াইসিদা গ্রামের আনিস মিয়ার ছেলে এবং সে স্ত্রীকে নিয়ে আশুলিয়ার সাধুপাড়া এলাকার মনিরের ভাড়া বাড়িতে থেকে রং মিস্ত্রীর কাজ করতো। তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন মীম আশুলিয়ার সাধুপাড়া এলাকার টর্ক ফ্যাশন লিঃ কারখানার অপারেটর পদে চাকুরী করে।

নিহত অনিকের স্ত্রী সাবিনা খাতুন মীম জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় তার স্বামীর সাথে মোবাইলে কথা বলেন। বিষয়টি কারখনার এ্যাডমিন অফিসার পিন্টুসহ পারভেজ, রুবেল, রাকিব ও হারুন দেখতে পেয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় মোবাইলে তার স্বামী গালিগালজ শুনতে পান। পরে অনিক কারখানার গেইটে স্ত্রীকে আনতে যায়। এসময় কারখানার ওই কর্মকর্তারা অনিককে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং হুমকি দেয়।

এতে অনিক অপমানিত হয়ে বাসায় ফিরে যায়। এরপর আবার দুপুর ১টায় পূণরায় তাকে আনতে যায় অনিক। বিষয়টি ওই কর্মকর্তারা জানতে পেরে আবারও তাকে পিটিয়ে আহত করে এবং গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। এ অপমান সহ্য করতে না পেরে অনিক বাসায় গিয়ে ঘরের আড়ার সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগায়। এসময় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে তুরাগ থানা এলাকার ইষ্ট ওয়েষ্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ঘটনায় বুধবার রাতেই আশুলিয়া থানায় ওই কারখানার ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রকিবুল ইসলাম জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় থানায় হত্যার প্ররোচনায় মামলা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন

সকল