রোববার আবার মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছেন ব্লিংকেন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৮ জুন ২০২৪, ১০:১২
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরাইল ও হামাস স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের অস্ত্র বিরতি প্রস্তাবে রাজি করানোর আশায় রোববার আবার মধ্যপ্রাচ্যের দিকে রওনা হচ্ছেন। ওই অস্ত্রবিরতির লক্ষ্য হচ্ছে লড়াই থামানো, পণবন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করা এবং যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় আরো মানবিক সহায়তা পাঠানো।
শুক্রবার পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কূটনৈতিক হামাসের তরফ থেকে সরাসরি এই অস্ত্রবিরতি প্রস্তাব মেনে নেয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেবেন। এক সপ্তাহ আগে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার ভাষণে এই অস্ত্রবিরতির রূপরেখা তুলে ধরেন যা কিনা গত মাসে হামাসের মেনে নেয়া প্রস্তাবের প্রায় কাছাকাছি। ব্লিংকেনের এই তিন দিনের সফরে তিনি মিশর, ইসরাইল, জর্দান ও কাতারে থামবেন।
ব্লিঙ্কেনের সর্ব সাম্প্রতিক সফরটি ওই অঞ্চলে এমন এক সময় হয় যখন ইসরাইল পুরোদমে গাজায় আক্রমণ চালাচ্ছিল। রাতের বেলায় এবং পরের দিন, শুক্রবারেও ইসরাইলের ট্যাংক ও যুদ্ধ জাহাজগুলো গাজার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে আক্রমণ চালায়।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, এতে কমপক্ষে ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন।
ফিলিস্তিনের জরুরি পরিষেবা কর্মীরা বলেন, জাতিসঙ্ঘ পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরাইলি বিমান আক্রমণে তিনজন নিহত হন। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলছে যে তাদের লক্ষ্য ছিল স্কুলের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কয়েকজন হামাস বন্দুকধারী।
ইসরাইল বৃহস্পতিবারও একই ধরনের ব্যাখ্যা দেয় যখন জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থা, ইউএনআরব্লিউএ পরিচালিত গাজার মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি স্কুলের ওপর তারা বিমান আক্রমণ চালায়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ওই হামলায় ৪০ জন প্রাণ হারান।
ইউএনআরব্লিউএ’র কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি বলেন যে হামাস ওই স্কুল থেকে তৎপরতা চালাচ্ছিল ইসরাইলের এই দাবি তাকে বিস্মিত করেছে এবং এটি তিনি নিশ্চিত নন।
শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার দফতর বলেছে, নুসেইরাত শিবিরের স্কুলটিতে বিমান হামলায় এটাই বোঝা যাচ্ছে যে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মান্য করতে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে।
শুক্রবার জাতিসঙ্ঘ ও ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পায় যখন জাতিসঙ্ঘের দূত গিলাড ইরদান বলেন যে তাকে জানানো হয়েছে যে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরাইলের সামরিক বাহিনীকে ওই অপরাধীদের আন্তর্জাতিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছেন যারা শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতেনিয়াহু এক্স-এর একটি পোস্টে তার উস্মা প্রকাশ করে লিখেন, ‘আজ জাতিসঙ্ঘ নিজেকেই ইতিহাসের কালো তালিকায় যুক্ত করেছে যারা হামাস ঘাতকদের সমর্থন করে। ইসরাইলের প্রতিরক সেই বাহিনী হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নৈতিক বোধ সম্পন্ন সেনাবাহিনী। জাতিসঙ্ঘের কোনো ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত তা পরিবর্তন করবে না।’
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা