১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

যুক্তরাষ্ট্রে সেতু বিধ্বস্ত : জাহাজে ছিল বিপজ্জনক বস্তু

যুক্তরাষ্ট্রে সেতু বিধ্বস্ত : জাহাজে ছিল বিপজ্জনক বস্তু - ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বল্টিমোরের প্যাটাপস্কো নদীর ওপর নির্মিত তিন কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্রান্সিস স্কট কি সেতু মঙ্গলবার ভোরে জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে। সেতুতে ধাক্কা দেয়া পণ্যবাহী জাহাজ ‘এমভি দালি’-তে অত্যন্ত বিপজ্জনক ও দাহ্য পদার্থ ছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা।

ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের (এনটিএসবি) প্রধান জেনিফার হোমেনডি জানান, জাহাজটিতে বিপজ্জনক পদার্থ-বোঝাই ৫৬টি কন্টেনার ছিল। যার ওজন কমপক্ষে ৭৬৪ টন।

সাংবাদিক বৈঠকে জেনিফার বলেন, ‘একজন শীর্ষস্থানীয় তদন্তকারী অফিসার ওই বিপজ্জনক পদার্থগুলো চিহ্নিত করেছেন। ৭৬৪ টন পদার্থই দাহ্য, ক্ষয়কারক ও আরো নানা কারণে বিপজ্জনক। ওর মধ্যে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিও ছিল।’

এমভি দালিতে ২২ জন ভারতীয় নাবিক ছিলেন। জাহাজটিতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুতে ধাক্কা দেয়। তাতে সেতুটি কার্যত পাটকাঠির মতো ভেঙে পড়ে। তবে নাবিকরা ঠিক সময়ে বিপদবার্তা পাঠানোর জন্যই সেতুতে আগেভাগে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তবে এত সাবধানতা সত্ত্বেও মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়। চারজনের লাশ এখনো পাওয়া যায়নি। ধরে নেয়া হয়েছে, তাদেরও মৃত্যু হয়েছে।

এনটিএসবি জানিয়েছে, ঘটনার গভীরে গিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত শেষ দু’বছরও লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছে তারা। সেতুর অবস্থা নিয়েও তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এখনকার সেতু নির্মাণে যে ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়, বল্টিমোরের সেতুতে তা করা হয়নি।

জেনিফার বলেন, ‘সেতুটির অবস্থা সঙ্কটজনকই ছিল। সেতুটি এমনভাবে তৈরি যে এর কোনো একটি ছোট অংশ যদি ভেঙে পড়ে, তা হলে সেতুর অর্ধেক, কিংবা পুরো সেতুটিই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।’

এখনো ঘটনাস্থল থেকে সেতুর ভাঙাচোরা অংশ সরানোর কাজ চলছে। কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করে দেখছেন।


আরো সংবাদ



premium cement