২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেন ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প - ছবি : সংগৃহীত

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা নারীকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বৃহস্পতিবার আদালতে একটি ভিডিও টেপ করা জবানবন্দিতে তার যৌন নিপীড়ন এবং মানহানির দেওয়ানী বিচারে বিচারকরা এটাকে মানহানিকর হিসেবে ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেন।

ট্রাম্প সাবেক আমেরিকান কলামিস্ট ই. জিন ক্যারল সম্পর্কে বলেছেন, ‘সে একজন মিথ্যাবাদী এবং সে সত্যিই একজন অসুস্থ ব্যক্তি। আমি মনে করি তিনি অসুস্থ, মানসিকভাবে অসুস্থ।’

সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ক্যারলের মামলায় জবানবন্দি দেয়ার জন্য তিনি অক্টোবরে এই মন্তব্য করেছিলেন।

ক্যারল ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে নিউইয়র্কের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে গত বছর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

তিনি আরো দাবি করেছেন, ২০১৯ সালে অভিযোগটি প্রকাশ্যে আসার পরে ট্রাম্প যখন তাকে মিথ্যা বলার জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন তখন তিনি তার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ করেছিলেন।

ট্রাম্প বারবার এবং কঠোরভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আদালতে বিচার করা হয়নি।

জবানবন্দি দেয়ার সময় ট্রাম্প তার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন যে, তিনি ক্যারলকে চিনেন না এবং এর আগে তিনি কয়েকবার মন্তব্য করেছেন যে ‘সে আমাকে আকৃষ্ট করার মতো কেউ নয়।’

ক্যারলের এক বন্ধু গতকাল সাক্ষ্য দিয়েছেন যে ক্যারল তাকে ধর্ষণের পরপরই বলেছিলেন, ট্রাম্প তাকে আক্রমণ করেছেন।

‘আমি যুদ্ধ করছিলাম, আমি যুদ্ধ করছিলাম’ অবসরপ্রাপ্ত সাংবাদিক ক্যারল মার্টিন ক্যারলকে স্মরণ করে বলেছেন, ক্যারল ধর্ষণ শব্দটি ব্যবহার করেননি।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা বলেছেন, বিচার চলাকালে সাবেক মার্কিন নেতা আদালতে দাঁড়াবেন না।

২০১৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দৌড়ে প্রায় এক ডজন নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন।

তাদের মধ্যে সাবেক ব্যবসায়ী জেসিকা লিডসও ছিলেন। তিনি ক্যারলের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে ট্রাম্প ১৯৭০-এর দশকে একটি বিমানে তাকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন।

ট্রাম্প বারবার যৌন নিপীড়নের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং এই ধরনের কোনো দাবির জন্য কখনো ফৌজদারিভাবে বিচার করা হয়নি।

ক্যারলের মামলা অনির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ চায় এবং ট্রাম্পকে তার মন্তব্য প্রত্যাহার করতে বলে।

ট্রাম্পকে দায়ী করা হলে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তিনি প্রথমবারের মতো আইনি পরিণতির মুখোমুখি হবেন।

ট্রাম্পের মামলাটির মুখোমুখি হওয়া বেশ কয়েকটি আইনি চ্যালেঞ্জের মধ্যে একটি। কারণ ৭৬ বছর বয়সী রিপাবলিকান নেতা আগামী বছরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে হোয়াইট হাউসে ফিরে যেতে চান।

ট্রাম্প অঙ্গীকার করে বলেছেন, গত মাসে ২০১৬ ভোটের ঠিক আগে একজন পর্ন তারকাকে গোপনে অর্থ প্রদানের সাথে সম্পর্কিত ফৌজদারি মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হননি।

দক্ষিণাঞ্চলীয় জর্জিয়া রাজ্যে ২০২০ সালের নির্বাচনে তার পরাজয়ের প্রচেষ্টা, হোয়াইট হাউস থেকে নেয়া শ্রেণিবদ্ধ নথিগুলোর ভুল ব্যবস্থাপনা এবং ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি তার সমর্থকদের যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হামলা চালানোর সাথে জড়িত থাকার বিষয়েও ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সূত্র : এএফপি/বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলি হামলায় আহত শিশুর মুখে ২০০ সেলাই বিষখালীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান : জেলে নিখোঁজ, আহত ২ দক্ষিণ এশিয়ার যে শহরগুলোর তাপমাত্রা এখন সর্বোচ্চ গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানে অটোরিকশার ধাক্কায় হতাহত ৫

সকল