২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কেমব্রিজে বাংলাদেশী-আমেরিকান শিক্ষার্থী নিহত : বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

বিক্ষোভকারীরা ‘জাস্টিস ফর ফয়সাল’ ইত্যাদি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ জানান। - ছবি : ইউএনবি

কেমব্রিজের বোস্টন শহরে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশী-আমেরিকান শিক্ষার্থীর নিহতের বিচার দাবিতে কয়েক শ’ মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। গত সপ্তাহের এই ঘটনায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে স্থানীয় সময় সোমবার তারা বিচারের দাবিতে বিক্ষোভে নামেন।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব নিউ ইংল্যান্ড আয়োজিত কেমব্রিজ সিটি হলের বাইরে সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা ‘জাস্টিস ফর ফয়সাল’ ও ‘ফয়সালের বুলেট নয়, সাহায্যের প্রয়োজন’ সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ জানান।

এ সময় তার বন্ধু ও শিক্ষকরা তার বন্ধুত্ব, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও বুদ্ধিমত্তার কথা স্মরণ করেন।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাঈদ ফয়সাল (২০) ম্যাসাচুসেটস বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ৪ জানুয়ারি এক পুলিশ অফিসারের ছোড়া গুলিতে তিনি নিহত হন।

পুলিশের ভাষ্যমতে, নিহত ফয়সালের হাতে কুকরি ছিল। তিনি পুলিশদের দিকে এগিয়ে আসছিলেন। তাকে থামাতে ব্যর্থ হলে তার দিকে গুলি ছোড়া হয়।

উল্লেখ্য, কুকরি হল একটি ধরনের ছোট ছুরি, যার প্রচলন দক্ষিণ এশিয়ায় (নেপালে)।

এ ঘটনায় একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এই তদন্তের ফলাফল মিডলসেক্স জেলার অ্যাটর্নির অফিসে পাঠানো হবে। অভিযোগগুলোর নিশ্চয়তার বিষয় সেখানেই যাচাই করা হবে এবং এই প্রক্রিয়ায় এক বছর বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।

তবে, গুলি চালানো অফিসারের নাম প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।

পুলিশের মুখপাত্র জেরেমি ওয়ার্নিক সোমবার বলেন, বেতনভুক্ত প্রশাসনিক ছুটিতে থাকা ওই কর্মকর্তার ওই বিভাগে সাত বছর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর আগে কখনো তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের বিষয় ঘটেনি।

প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, বুধবার বিকেলে পুলিশ একজন বাসিন্দার কাছ থেকে ৯১১-এ কল পায়।

তিনি পুলিশকে জানান, এক ব্যক্তিকে একটি অ্যাপার্টমেন্টের জানালা থেকে ছুরি নিয়ে লাফ দিতে দেখা যায়।

অফিসার ও প্যারামেডিকরা ফয়সালকে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন।

ফয়সালের মা-বাবা আমেরিকান-ইসলামিক সম্পর্কবিষয়ক কাউন্সিলের এক বিবৃতিতে বলেন, ফয়সাল পরিবারে ‘প্রিন্স’ নামে পরিচিত, সে তাদের একমাত্র সন্তান। তাকে কখনো সহিংস হতে দেখা যায়নি এবং এর আগে কখনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে কোনোভাবে জড়িত হতে হয়নি তাকে।

কেমব্রিজের বাসিন্দারা জানান, ‘আমরা সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত এবং বিশ্বাসই হচ্ছে না যে আমাদের ছেলে চলে গেছে। প্রিন্স ছিল বিস্ময়কর, মায়াময়, যত্নশীল, উদার, সহায়ক ও অত্যন্ত পরিবারকেন্দ্রিক একজন মানুষ।’

কেমব্রিজের মেয়র সুম্বুল সিদ্দিকী, সিটি ম্যানেজার ই-আন হুয়াং, মিডলসেক্স জেলার অ্যাটর্নি মারিয়ান রায়ান ও কেমব্রিজ পুলিশ কমিশনার ক্রিস্টিন এলো- সকলেই এই ঘটনায় আলোচনা করতে এবং জনসাধারণের প্রশ্নের উত্তর দিতে বৃহস্পতিবার একটি কমিউনিটি মিটিংয়ে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র : এপি/ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
‘রাফা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা’ ৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায়

সকল