ফিলিস্তিনি শহীদের দাফন তুরস্কের পতাকায়
- ইয়ানি শাফাক
- ২৩ জুলাই ২০১৮, ১১:৫৬
২৭ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি যুবক মোহাম্মদ বাদওয়ান। ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে সামনের সারিতে থাকতেন তিনি। ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে সম্প্রতি নিহত হয়েছেন মোহাম্মদ।
মোহাম্মদ বাদওয়ানের ইচ্ছা ছিল তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। তুরস্কের প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি সব সময় তুরস্কের পতাকা সাথে রাখতেন।
কিন্তু এরদোগানের সাথে সাক্ষাৎ তার ভাগ্যে মেলেনি। শুক্রবার ইসরাইলি সেনাদের গুলি তার বুকে বিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই শহীদ হন তিনি। নিহত হওয়ার সময়ও তুর্কি পতাকা ছিল তার সাথে।
মোহাম্মদ মারা গেলেও তুরস্কের প্রতি তার ভালবাসাকে সম্মান জানিয়েছে তার পরিবার ও ফিলিস্তিনিরা। তুর্কি পতাকার রঙে রঙিন কাপড়ে তাকে দাফন করা হয়েছে।
মোহাম্মদের খালাত ভাই ইহাব বাদওয়ান জানিয়েছেন, শুক্রবার মোহাম্মদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। প্রেসিডেন্ট এরদোগান এবং তুরস্কের প্রতি তার ভালোবাসাকে আমরা সম্মান জানাতে তুরস্কের পতাকায় তাকে দাফন করেছি।
তিনি বলেন, মোহাম্মদ সব সময় বলতেন, এরদোগান ফিলিস্তিনিদের সমর্থন দেন। এরদোগান ফিলিস্তিনিদের প্রকৃত বন্ধ।
তুরস্কের পতাকা থাকায় ফিলিস্তিনি যুবকে গুলি করল ইসরাইলি সেনা
ডেইলি সাবাহ, ০৪ জুলাই ২০১৮
ফিলিস্তিনের গাজায় সীমান্তে ইসরাইলের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের সময় এক ফিলিস্তিনি যুবক তুরস্কের পতাকা নিয়ে আন্দোলনে সামিল হলে ইসরায়েলি সেনারা তাকে লক্ষ করে গুলি করে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
আহত হওয়া সত্ত্বেও ওই ফিলিস্তিনি যুবকের হাতে তুরস্কের পতাকা দেখা গেছে। তাকে চিকিৎসাকর্মীরা এম্বেুলেন্সে উঠানোর আগের মুহুর্ত পর্যন্ত তিনি তুরস্কের পতাকা ধরে রেখে ছিলেন। ফিলিস্তিনি ঐ যুবকের পায়ে গুলি করা হয়। এখন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
কয়েক দশক ধরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসছে ফিলিস্তিনিরা। সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিস্তিনিদের ‘ঘরে ফেরার যাত্রা’ আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ফিলিস্তিনের অনেকেই তুরস্কের পতাকা ও প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের ছবি নিয়ে বিক্ষোভে শরিক হয়েছেন।এর মাধ্যমে তারা তুরস্ক ও এরদোগানের প্রতি তাদের সমর্থন ও ভালোবাসা জানিয়ে আসছেন।
গাজা সীমান্তে ইসরাইলি কাঁটা তারের বেড়ার কাছে শতাধিক ফিলিস্তিনি নারীদের বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে এঘটনা ঘটে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা