১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


গোসল থেরাপি

-


ভাবুনতো..., আচ্ছা ভাবনাটা রেখে দেন। কী বলছি শোনেন।
নয়টিলার আস্তানা থেকে জানে আলম সরদার দীর্ঘ সিঁড়ি ভেঙে নিচে নামলেন মাত্র। নিজস্ব প্রাইভেট কারে তার প্রাইভার জিল্লু কম্বল জড়িয়ে শুয়ে আছে। নয়টিলার মাজারটা একটা বিশাল পাহাড়ের উপর। অনেক সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হয়। জানে আলম সরদার কল্পনাবিলাসী মানুষ। অর্থ বিত্ত হওয়ার পর তার অদ্ভুত রকম শখ জেগেছে। তার স্বপ্ন তিনি সব ভয়ঙ্কর ও আতঙ্কিত জায়গাগুলো আপন মনে ঘুরে দেখবেন। আজ রওনা হয়েছেন খাগড়াছড়ির আলুটিলার রহস্যময় সুরঙ্গ জয়ের জন্য। পথেই নয়টিলার মাজার। নিচ থেকে শত ফুট উপরে তাকাতে হয়। কথিত আছে নয়টিলার এ আস্তানায় সন্ন্যাসী বেশে বড় বড় কিলাররা ওঁৎ পেতে থাকে। আতঙ্কের ব্যাপার। কিন্তু জানে আলম জানেন আতঙ্ককে জয় করাই তার পণ।
আশ্চর্যের বিষয় হলো আজ নয়টিলাতে কোনো খপ্পরে তাকে পড়তে হয়নি। অবলীলায় নয়টিলার মাজার থেকে নিচে নেমে এসে দেখলেন, বিলেত থেকে কেনা কম্বল মুড়িয়ে জিল্লু শুয়ে আছে!
অ্যাই জিল্লু অ্যাই... উঠো উঠো!
কম্বলের নিচ থেকে একটা ২৪ বছরের যুবক ছেলে মাথা ঝাঁকিয়ে বলল, কে রে?
সম্পূর্ণ অপরিচিত এ ছেলেটাকে এভাবে গাড়িতে শুয়ে থাকতে দেখে জানে আলম ভূত দেখার মতো চমকে উঠলেন! অ্যাই তুমি কে? কে তুমি?
এর বেশি কিছু আর বলতে পারেননি তিনি। তার আগেই তাকে পেছন দিক থেকে জনা তিনেক ছেলে তার গলায় পেঁচিয়ে থাকা মাফলারটা দিয়ে কোমর বেঁধে ফেলেছে। এতে জানে আলমের কষ্ট হচ্ছে না ঠিক, কিন্তু আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিনি। তোমরা কই নিয়ে যাও আমাকে? অ্যাই ছেলেরা অ্যাই?
গজ কয়েক দূরে ছোটো কুয়ার মতো একটা পুকুরের সামনে এসে ছেলেগুলো দাঁড়াল। শোনেন স্যার!
আমরা হইলাম মৌসুমি সন্ত্রাসী! আমরা বড় ভালো মানুষ স্যার। শীতকালডাতেই শুধু আপনাগর থেইকা মালপানি কামাই!
আপনার ড্রাইভার জিল্লুরে এর মধ্যেই পুকুরে চুবানো হয়েছে দুই বার। আফনে সম্মানিত মানুষ! আফনারে আমরা ধরব না, শুধু এই ঠাণ্ডায় পুকুরে নেমে আমাদের সামনে গোসলটা করে নেবেন!
গোসলের কথা শুনেই জানে আলমের জানে আতঙ্ক বিরাজ করতে লাগল। চিন্তায় তার কপাল থেকে বিন্দু বিন্দু ঘাম গড়িয়ে পড়ছে। বাবারা তোমরা কী চাও? যা চাইবে সব দেবো একদম সব দেবো!
দলের লিডার পার্সন ছেলেটা সোল্লাসে বলে উঠল, স্যার আমরা শুধু আপনার গাড়িটা নিতে চাচ্ছি। আর কিছুই লাগবে না!
বাঁ পাশে থরথর করে কাঁপা জিল্লুর দিকে একবার তাকালেন জানে আলম সরদার। জিল্লু চিৎকার করে বলে উঠল, স্যার এই নেন চাবি, দিয়ে দেন দিয়ে দেন। তবু গোসল থেরাপির জাঁতাকলে পড়িয়েন না!
জানে আলম সরদার তা-ই করলেন। গাড়ি গেছে যাক, এমন তীব্র শীতে গোসল তো আর করতে হয়নি।
জানে আলম এই ভেবে মনে মনে কিছুটা আনন্দ পাচ্ছেন হ


আরো সংবাদ



premium cement
এভারেস্ট জয় করলেন বাবর আলী বায়ুদূষণে আজ দ্বিতীয় ঢাকা অপরাজেয় থেকেই বুন্দেসলিগার শিরোপা বুঝে নিল লেভারকুসেন যুদ্ধের সময় নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষের ভাগ্য সম্পর্কে শ্রীলঙ্কাকে স্পষ্ট জানাতে হবে : জাতিসঙ্ঘ অনুমোদন ছাড়া কিভাবে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বিক্রি করছিল কোম্পানিগুলো সরকারি কেন্দ্রে কৃষকেরা ধান বেচতে পারে না, লাভ খাচ্ছে দালালরা গরুর নাম উড়াল সড়ক, ওজন ৩৫ মণ ইরান ২ সপ্তাহের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারবে! বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক, মোট সম্পত্তি ৭.৫ কোটি ভারতের কোভ্যাক্সিনেও রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইসরাইল সরকারে ভয়াবহ দ্বন্দ্ব : নেতানিয়াহুকে গাঞ্জের পদত্যাগের আলটিমেটাম

সকল