০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কম্বল স্টোর

-

মাঘ মাস। কুয়াশা বেড়েই চলেছে। কিন্তু সেই হিসেবে যদু মিয়ার কম্বল স্টোরে বিক্রি বাড়েনি। বাড়িতে গেলেই বউয়ের কসমেটিকসের লিস্ট, শীতের সময় লোশন চাই, নতুন মডেলের সোয়েটার চাই, নতুন সু চাই আরো কত কী! যদু মিয়ার রীতিমতো মাথা খারাপ হওয়ার কথা। সে কম্বলের বিক্রি বাড়াতে দোকানে সাইবোর্ড ঝুলিয়ে দিল। তাতে লেখাÑ এখানে সুলভ মূল্যে কম্বল পাওয়া যায়। একটি কম্বল কিনলে দু’টি কম্বল ফ্রি।

এই দেখে লোকের ভিড় পড়ে গেল যদুর দোকানে।
ক্রেতা : ভাই দাম কত?
যদু : মাত্র তিন হাজার টাকা ভাই।
ক্রেতা : এত দাম বেশি।
যদু : ভাই এটা ভালো জিনিস। কালারটা দেখেন, কত সুন্দর। সাইডে দেখেন, কত সুন্দর পাইপিন আর জিনিস ভারীও। ঠাণ্ডা লাগবে না।
ক্রেতা : আচ্ছা দেন দেড় হাজার টাকা দেব।
যদু : না ভাই একদাম পঁচিশ শ’। একটা কিনলে দুইটা ফ্রি।
ক্রেতা : ভাই একুশ শ’ দেবো? দেন। না হলে আসি।
যদু : এই যে ভাই শোনেন। আপনার জন্য চব্বিশ শ’। কেনা দামে দিলাম।
ক্রেতা : না ভাই, একুশ শ’ দেবো।
যদু : আচ্ছা নেন। কম দামে দিলাম।
অবশেষে এভাবেই বেশ কয়েক দিন চলছে। ভালোই বিক্রি হচ্ছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে এ ঘটনা দেখে যাচ্ছে এক ভদ্রলোক। তিনি সপ্তাহে দুই দিন মাছ কিনতে আসেন। আর খেয়াল করেন, যদু কম্বল স্টোরে ভিড়। তিনি আগে অত ভিড় দেখেননি। এক পা দুই পা করে দোকানের ভেতরে গেলেন তিনি। যেতে না যেতেই চা বিস্কিটের ব্যবস্থা করল যদু।
ভদ্রলোক : যদু ভাই, আমি কম্বল কিনতে আসিনি। আপনি যে একটা কিনলে দুইটা ফ্রি দিচ্ছেন, এর কারণ কী? এতে তো লস হবে আপনার।
যদু : নাহ ভাই। আগে কেউ এলে একটা কম্বল নিত সাতশ’ টাকা। এখন একটার দাম একুশ শ’ টাকা। একটা নিলে দুইটা ফ্রি তার মানে তিনটার দাম একুশ শ’ টাকা। তার মানে একটা কম্বল সাত শ’ করে বিক্রি। বেশি নিচ্ছি না।
ভদ্রলোক : তাহলে আপনার লাভ?
যদু : আগে একটা কম্বল কিনত সাতশ’ দিয়ে। ওতেই লাভ করতে হতো। তাই ভাবছি সাতশ’ টাকার কম্বল একুশতে বিক্রি করব। দুইটা ফ্রি দেব। তার মানে একসাথে তিনটি কম্বল বিক্রি হলো। এ সাথে লাভও হলো তিন কম্বলের।
ভদ্রলোক হাসতে হাতে বলছেন, যদু ভাই আপনার বুদ্ধি আছে।


আরো সংবাদ



premium cement