১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

হাট কাঁপাবে ২৫ মণ ওজনের ‘জায়েদ খান’

- ছবি : নয়া দিগন্ত

এবার শায়েস্তাগঞ্জের বাজার কাঁপাতে তৈরি করা হয়েছে ২৫ মণ ওজনের ‘জায়েদ খান’কে। অতি যত্নে ও গরু পালনে দক্ষ লোক দ্বারা বিক্রির উপযুক্ত করা হয়েছে এই গরুটিকে।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বাজারগুলোতে এখনো গরু কেনা-বেচা শুরু না হলেও আগ্রহী ক্রেতারা গরুর খামারগুলোতে যাতায়াত বৃদ্ধি করেছেন। ইতোমধ্যে খামারগুলোতে গরু দেখাশোনার পাশাপাশি চলছে পশু কেনা-বেচাও।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি পরিবেশ থাকায় পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে কোরবানির পশু কেনার সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে খামারগুলোতে। বিচিত্র নাম ও নয়নাভিরাম আকার সমৃদ্ধ গরুগুলোই এখন খামারের মূল আকর্ষণ।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সবচেয়ে বড় গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘জায়েদ খান’। জায়েদ খানকে দেখতে ভীড় করছেন ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নিশাপট গ্রামে সুজন মিয়ার খামারে গত এক বছর যাবত পরম যত্নে লালন-পালন করা হচ্ছে শাহীওয়াল জাতের জায়েদ খানকে। তার খাদ্য তালিকায় রয়েছে ভুসি, খইল, সবুজ ঘাস ও খড়সহ পুষ্টিকর দেশীয় দানাদার খাবার। লাল রঙের ২৫ মণ ওজনের ‘জায়েদ খান’ লম্বায় ১০ ফুট ও উচ্চতা সাড়ে পাঁচ ফুট ছাড়িয়েছে। ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুত করা জায়েদ খানের দাম হাঁকা হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। জায়েদ খান ছাড়াও তার খামারে বিক্রি যোগ্য ছয়টি শাহীওয়াল ও দেশী জাতের গরু রয়েছে।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যে জানা গেছে, এ বছর শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে মোট ২৪৭৯টি। যার মধ্যে গরু ২০২১টি, ছাগল ৩৮১টি এবং ভেড়া ৭৭টি।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘সুজন মিয়ার গরুটি এ বছর প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এটিই শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু। আশা করি, তিনি আশানুরূপ মূল্য পাবেন।’


আরো সংবাদ



premium cement